আগামী বছর নতুন চমক আসছে
মাসিদ রণ | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সময়টা বেশ ভালো কাটছে তার। এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘সাপলুডু’ সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করেছেন। প্রথমবারের মতো পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কিছু চমক নিয়ে হাজির হবেন সামনে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?
অনুভূতি অবশ্যই ভালো। তবে কোনো কাজ করার সময় আমি পুরস্কারের কথা চিন্তা করি না। এমনকি সিনেমাটি ব্যবসাসফল হবে কি না তা নিয়েও ভাবি না। যে গল্পটি আমাকে টানে সেই গল্পেই কাজ করি। বলতে পারেন, নিজের শিল্পসত্তাটাই এখানে বেশি প্রাধান্য পায়। সেই কাজগুলো যখন দর্শক পছন্দ করেন, সেটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। তার ওপর যদি পুরস্কার জোটে, সেটি হয় সোনায় সোহাগা।
‘সাপলুডু’ কি প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে?
সাপলুডু একটি থ্রিলার সিনেমা। এই ঘরানা আমাদের দেশে খুব বেশি পূরণ নয়। তাই এ ধরনের সিনেমায় সব শ্রেণির দর্শক থাকবেন না বলেই আমরা জানতাম। যারা থ্রিলার সিনেমা পছন্দ করেন, সিনেমা দেখার সময় টেনশন করতে ভালোবাসেন যে একটু পরে গল্পে কী হতে চলেছে, তাদের কাছে এটি ভালো লেগেছে। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে কিছু বলুন...
সিনেমাটি এ বছরই মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কাজে বেশি সময় লাগায় তা আর হলো না। কিন্তু তারপরও দর্শকের মধ্যে আগ্রহ দেখছি সিনেমাটি নিয়ে। তাদের কথা মাথায় রেখেই আসছে ৩০ নভেম্বর এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ হবে। আশা করছি তাতে নতুন এক শুভকে খুঁজে পাবে দর্শক, যা এদেশের সিনেমায় আগে কখনোই দেখেনি দর্শক। এ সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশাও অনেক। এর জন্য ৮ মাস সময় দিতে হয়েছে। আরও ৩ মাস দিতে হবে। শুধু চরিত্রটির প্রস্তুতির জন্যই আমি ৭-৮ মাস সময় দিয়েছি। আমরা বাইরের সিনেমার ক্ষেত্রে দেখি, একটি সিনেমার জন্য একজন তারকা দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুত হন। কারণ, তাদের সেই সুযোগ-সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তারপরও দর্শককে ভালো কিছু দিতে আমি এই ত্যাগ স্বীকার করেছি। শুধু প্রস্তুতি নয়, সিনেমার শু¨টিংয়ে অনেক কষ্ট করেছি। কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে মরুভূমিতে। সেখানে শু¨টিং করতে গিয়ে সেটের সবাই প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। তারপরও আমরা কাজ শেষ করেছি।
আপনার নায়িকা মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ঐশী সিনেমায় নতুন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আসলে প্রথম সিনেমাতেই যদি কেউ ঐশীর কাছ থেকে শাবানা ম্যাডামের মতো অভিনয় আশা করেন, তাহলে তা ভুল করবেন। প্রথম সিনেমা হিসেবে সে খুব ভালো কাজ করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো দিক হলো– কোনো কিছুতে না নেই। যেখানে বুঝতে পারত না, আমার সাহায্য চাইত। আমি সাধ্যমতো তাকে সাহায্য করেছি। পরিচালক তাকে যখন যেভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সে সেভাবেই করার চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা যদি আগামীতেও থাকে তাহলে ঐশীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। সব মিলিয়ে তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে।
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ সিনেমায় ভিলেনের চরিত্র করে প্রশংসা পান। আবার সেই পথে হাঁটার ইচ্ছা আছে?
অভিনেতা হিসেবে আমার কাছে নায়ক-ভিলেন বলে কোনো কথা নেই। যে চরিত্রটি আমাকে টানে তাই করি। সে রকম কোনো নেগেটিভ চরিত্র পেলে অবশ্যই করব। ২০২০ সালে বেশ চমক পাবেন দর্শক, এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি।
শেয়ার করুন
মাসিদ রণ | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সময়টা বেশ ভালো কাটছে তার। এ বছর মুক্তি পাওয়া ‘সাপলুডু’ সিনেমাটি দর্শক পছন্দ করেছেন। প্রথমবারের মতো পাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। কিছু চমক নিয়ে হাজির হবেন সামনে। তার সঙ্গে কথা বলেছেন মাসিদ রণ
প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি কেমন?
অনুভূতি অবশ্যই ভালো। তবে কোনো কাজ করার সময় আমি পুরস্কারের কথা চিন্তা করি না। এমনকি সিনেমাটি ব্যবসাসফল হবে কি না তা নিয়েও ভাবি না। যে গল্পটি আমাকে টানে সেই গল্পেই কাজ করি। বলতে পারেন, নিজের শিল্পসত্তাটাই এখানে বেশি প্রাধান্য পায়। সেই কাজগুলো যখন দর্শক পছন্দ করেন, সেটাই আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। তার ওপর যদি পুরস্কার জোটে, সেটি হয় সোনায় সোহাগা।
‘সাপলুডু’ কি প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে?
সাপলুডু একটি থ্রিলার সিনেমা। এই ঘরানা আমাদের দেশে খুব বেশি পূরণ নয়। তাই এ ধরনের সিনেমায় সব শ্রেণির দর্শক থাকবেন না বলেই আমরা জানতাম। যারা থ্রিলার সিনেমা পছন্দ করেন, সিনেমা দেখার সময় টেনশন করতে ভালোবাসেন যে একটু পরে গল্পে কী হতে চলেছে, তাদের কাছে এটি ভালো লেগেছে। সেদিক থেকে বলতে গেলে আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।
‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে কিছু বলুন...
সিনেমাটি এ বছরই মুক্তির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কাজে বেশি সময় লাগায় তা আর হলো না। কিন্তু তারপরও দর্শকের মধ্যে আগ্রহ দেখছি সিনেমাটি নিয়ে। তাদের কথা মাথায় রেখেই আসছে ৩০ নভেম্বর এর ফার্স্ট লুক প্রকাশ হবে। আশা করছি তাতে নতুন এক শুভকে খুঁজে পাবে দর্শক, যা এদেশের সিনেমায় আগে কখনোই দেখেনি দর্শক। এ সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশাও অনেক। এর জন্য ৮ মাস সময় দিতে হয়েছে। আরও ৩ মাস দিতে হবে। শুধু চরিত্রটির প্রস্তুতির জন্যই আমি ৭-৮ মাস সময় দিয়েছি। আমরা বাইরের সিনেমার ক্ষেত্রে দেখি, একটি সিনেমার জন্য একজন তারকা দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুত হন। কারণ, তাদের সেই সুযোগ-সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। তারপরও দর্শককে ভালো কিছু দিতে আমি এই ত্যাগ স্বীকার করেছি। শুধু প্রস্তুতি নয়, সিনেমার শু¨টিংয়ে অনেক কষ্ট করেছি। কিছু দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে মরুভূমিতে। সেখানে শু¨টিং করতে গিয়ে সেটের সবাই প্রায় অসুস্থ হয়ে যায়। তারপরও আমরা কাজ শেষ করেছি।
আপনার নায়িকা মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ঐশী সিনেমায় নতুন। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আসলে প্রথম সিনেমাতেই যদি কেউ ঐশীর কাছ থেকে শাবানা ম্যাডামের মতো অভিনয় আশা করেন, তাহলে তা ভুল করবেন। প্রথম সিনেমা হিসেবে সে খুব ভালো কাজ করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো দিক হলো– কোনো কিছুতে না নেই। যেখানে বুঝতে পারত না, আমার সাহায্য চাইত। আমি সাধ্যমতো তাকে সাহায্য করেছি। পরিচালক তাকে যখন যেভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সে সেভাবেই করার চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা যদি আগামীতেও থাকে তাহলে ঐশীর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। সব মিলিয়ে তার সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লেগেছে।
‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ সিনেমায় ভিলেনের চরিত্র করে প্রশংসা পান। আবার সেই পথে হাঁটার ইচ্ছা আছে?
অভিনেতা হিসেবে আমার কাছে নায়ক-ভিলেন বলে কোনো কথা নেই। যে চরিত্রটি আমাকে টানে তাই করি। সে রকম কোনো নেগেটিভ চরিত্র পেলে অবশ্যই করব। ২০২০ সালে বেশ চমক পাবেন দর্শক, এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি।