এক ঝলকে
দুবাই যাচ্ছেন দেব-মিতু
কলকাতার অভিনেতা দেব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘কমান্ডো’তে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে দেখা যাবে জাহারা মিতুকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া জানিয়েছে, শিগগিরই দুবাইয়ে সিনেমাটির শ্যুটিং শুরু হবে।
১৪ অক্টোবর কলকাতার টিম নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন দেব। বাংলাদেশ থেকে সিনেমার পরিচালক শামীম আহমদে রনিও হাজির হন সেখানে। টানা পাঁচ দিন লোকেশন দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন, ১ নভেম্বর থেকে শ্যুটিং শুরু করবেন। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানায়, টানা ১৫ দিন শ্যুট হবে সেখানে। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশের ইউনিট ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবে।
জাহারা মিতু বলেন, ‘এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১২ কেজি ওজন কমাতে হয়েছে। চেয়েছি সিনেমার জন্য আরও ফিট হতে। পাশাপাশি সবাই বেশ পরিশ্রম করেছেন। তাই আশা করছি সিনেমাটি নিয়ে ভালো সাড়া পাব।’ চলতি বছরের মার্চে সিনেমাটির জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন ‘সুপার মডেল বাংলাদেশ-২০১৭’ ও ‘সুপার মডেল ইন্টারন্যাশনাল-২০১৭’ বিজয়ী এই শিল্পী। পরে করোনার কারণে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায়। তাই এবার টানা দৃশ্যধারণে সিনেমাটির কাজ শেষ করা হবে।
স্টার সিনেপ্লেক্সে দুই সিনেমা
করোনার কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল স্টার সিনেপ্লেক্স। অবশেষে ২৩ অক্টোবর থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা। হলিউডের দুটি আলোচিত সিনেমার মাধ্যমে চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
দুটি সিনেমার একটি হচ্ছে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘টেনেট’, অন্যটি ডিজনির লাইভ অ্যাকশন ‘মুলান’। সিনেমাগুলোর জন্য রীতিমতো মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। করোনাভাইরাসের কারণে দুটি ছবিরই মুক্তি আটকে যায়। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের বেশ ভালো সাড়া লক্ষ করা যায়।
বিশে^র অনেক দেশেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিপুলসংখ্যক দর্শক সিনেমা হলে ভিড় করেন। এবার বাংলাদেশের দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে মাল্টিপ্লেক্সটি। প্রতিটি হলের আসনসংখ্যার ৪০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ লেনদেন না করে অনলাইনে টিকিট নেওয়াকে উৎসাহিত করছে তারা।
এলো ‘হরিবোল’ সিনেমার থিম সং
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের থিম সং। এর শিরোনাম ‘বন্ধু এ মনে ভয় কাটে’। দেশের অন্যতম অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ব্যানারে গানটি ইউটিউবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার গুণী সংগীতশিল্পী অংশুমান। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অংশুমান, অর্পিতা, সিনজিনী, অরুন্ধতি ও অনিমেষ।
লিরিক্যাল ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে ‘হরিবোল’ সিনেমার গানটি। তবে ভিডিওতে রাখা হয়েছে সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্যপট। যার ফলে গানটি আরও বেশি অর্থবহ হয়ে উঠেছে। ‘হরিবোল’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজা ঘটক। আনিসুজ্জামান নিবেদিত এই সিনেমা প্রযোজনা করেছে বলেশ্বর ফিল্মস। পুরো চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন অংশুমান।
এই চলচ্চিত্রের গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউলশিল্পী সফি মণ্ডল ও বাউল নলিনী মণ্ডল এবং ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জি, অংশুমান, অর্পিতা, অনিমেষ, অরুন্ধতি ও সিনজিনী। গানগুলোর গীতিকার ও সুরকার হলেন লালন শাহ, ভবা পাগলা ও অংশুমান। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ প্রসঙ্গে নির্মাতা রেজা ঘটক বলেন, এটা আমাদের সিনেমার থিম সং। এবারের দুর্গাপূজার আনন্দকে শতগুণ বাড়িয়ে দেবে গানটি। শ্রোতাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় গানটি জায়গা করে নেবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।
শেয়ার করুন

দুবাই যাচ্ছেন দেব-মিতু
কলকাতার অভিনেতা দেব প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘কমান্ডো’তে অভিনয় করছেন। তার বিপরীতে দেখা যাবে জাহারা মিতুকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়া জানিয়েছে, শিগগিরই দুবাইয়ে সিনেমাটির শ্যুটিং শুরু হবে।
১৪ অক্টোবর কলকাতার টিম নিয়ে দুবাই গিয়েছিলেন দেব। বাংলাদেশ থেকে সিনেমার পরিচালক শামীম আহমদে রনিও হাজির হন সেখানে। টানা পাঁচ দিন লোকেশন দেখে তারা সিদ্ধান্ত নেন, ১ নভেম্বর থেকে শ্যুটিং শুরু করবেন। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানায়, টানা ১৫ দিন শ্যুট হবে সেখানে। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশের ইউনিট ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবে।
জাহারা মিতু বলেন, ‘এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ১২ কেজি ওজন কমাতে হয়েছে। চেয়েছি সিনেমার জন্য আরও ফিট হতে। পাশাপাশি সবাই বেশ পরিশ্রম করেছেন। তাই আশা করছি সিনেমাটি নিয়ে ভালো সাড়া পাব।’ চলতি বছরের মার্চে সিনেমাটির জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন ‘সুপার মডেল বাংলাদেশ-২০১৭’ ও ‘সুপার মডেল ইন্টারন্যাশনাল-২০১৭’ বিজয়ী এই শিল্পী। পরে করোনার কারণে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায়। তাই এবার টানা দৃশ্যধারণে সিনেমাটির কাজ শেষ করা হবে।
স্টার সিনেপ্লেক্সে দুই সিনেমা
করোনার কারণে প্রায় সাত মাস বন্ধ ছিল স্টার সিনেপ্লেক্স। অবশেষে ২৩ অক্টোবর থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখা। হলিউডের দুটি আলোচিত সিনেমার মাধ্যমে চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
দুটি সিনেমার একটি হচ্ছে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘টেনেট’, অন্যটি ডিজনির লাইভ অ্যাকশন ‘মুলান’। সিনেমাগুলোর জন্য রীতিমতো মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা। করোনাভাইরাসের কারণে দুটি ছবিরই মুক্তি আটকে যায়। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের বেশ ভালো সাড়া লক্ষ করা যায়।
বিশে^র অনেক দেশেই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বিপুলসংখ্যক দর্শক সিনেমা হলে ভিড় করেন। এবার বাংলাদেশের দর্শকদের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে যাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে মাল্টিপ্লেক্সটি। প্রতিটি হলের আসনসংখ্যার ৪০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ লেনদেন না করে অনলাইনে টিকিট নেওয়াকে উৎসাহিত করছে তারা।
এলো ‘হরিবোল’ সিনেমার থিম সং
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রকাশ হয়েছে ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের থিম সং। এর শিরোনাম ‘বন্ধু এ মনে ভয় কাটে’। দেশের অন্যতম অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ব্যানারে গানটি ইউটিউবে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কলকাতার গুণী সংগীতশিল্পী অংশুমান। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অংশুমান, অর্পিতা, সিনজিনী, অরুন্ধতি ও অনিমেষ।
লিরিক্যাল ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে ‘হরিবোল’ সিনেমার গানটি। তবে ভিডিওতে রাখা হয়েছে সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্যপট। যার ফলে গানটি আরও বেশি অর্থবহ হয়ে উঠেছে। ‘হরিবোল’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রেজা ঘটক। আনিসুজ্জামান নিবেদিত এই সিনেমা প্রযোজনা করেছে বলেশ্বর ফিল্মস। পুরো চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন অংশুমান।
এই চলচ্চিত্রের গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত বাউলশিল্পী সফি মণ্ডল ও বাউল নলিনী মণ্ডল এবং ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জি, অংশুমান, অর্পিতা, অনিমেষ, অরুন্ধতি ও সিনজিনী। গানগুলোর গীতিকার ও সুরকার হলেন লালন শাহ, ভবা পাগলা ও অংশুমান। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের গান প্রকাশ প্রসঙ্গে নির্মাতা রেজা ঘটক বলেন, এটা আমাদের সিনেমার থিম সং। এবারের দুর্গাপূজার আনন্দকে শতগুণ বাড়িয়ে দেবে গানটি। শ্রোতাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় গানটি জায়গা করে নেবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।