টেলিফিল্মের জন্য ট্রেন ভাড়া
| ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০
মুক্তিযুদ্ধের রোমহর্ষক এক সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে টেলিফিল্ম ‘শ্বাপদ’। গল্পটি ফুটিয়ে তুলতে বেছে নেওয়া হয়েছে রেলের শহর পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরকে। টানা তিন দিন সেখানে শ্যুটিং করা হয়। চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম আর পরিচালনা করেছেন শাহরীয়ার। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন পিকলু চৌধুরী। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, শম্পা রেজা, শতাব্দি ওয়াদুদ, এফ এস নাইম, শবনম ফারিয়া, আবুল কালাম আজাদ সেতু, রওনক রিপনসহ অনেকে। গল্পে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালে ওয়াজিউল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তান রেলওয়েতে বিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ছটফট করে। যদি কোনোভাবে কেউ জানতে পারে সরকারি কর্মচারীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, তাহলে সবার জীবন বিপন্ন। একদিন আলবদর বাহিনী তাকে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের কাছে। তাকে বলা হয় ট্রেনে একটা খালি বগি জুড়তে হবে। কুমিল্লার বাইরে একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সেই বগিতে কিছু মাল তোলা হবে। সবার অজান্তে রাতের মধ্যেই আরেক জায়গায় তা ডেলিভারি দিতে হবে। ক্যাপ্টেনের আদেশ অমান্য করার উপায় নেই। মাল তুলতে গিয়ে ওয়াজিউল্লাহ দেখেন কয়েকশো মানুষের লাশ। তার মনে হয়, লাশগুলোর মধ্যে কেউ হয়তো বেঁচে আছে এখনো। সে হ্যাজাক বাতি নিয়ে লাশের বগিতে ঢোকে। সতেরোটা শরীরে প্রাণের স্পন্দন পায়। কী করবে বুঝতে পারে না। ৪টার মধ্যে তাকে পৌঁছাতে হবে। ওখানেও নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছে কিছু শ্বাপদ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর টেলিফিল্মটি প্রচার হবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে।
শেয়ার করুন
| ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধের রোমহর্ষক এক সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে টেলিফিল্ম ‘শ্বাপদ’। গল্পটি ফুটিয়ে তুলতে বেছে নেওয়া হয়েছে রেলের শহর পার্বতীপুর ও সৈয়দপুরকে। টানা তিন দিন সেখানে শ্যুটিং করা হয়। চিত্রনাট্য লিখেছেন মাসুম আর পরিচালনা করেছেন শাহরীয়ার। টেলিফিল্মটি প্রযোজনা করেছেন পিকলু চৌধুরী। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, শম্পা রেজা, শতাব্দি ওয়াদুদ, এফ এস নাইম, শবনম ফারিয়া, আবুল কালাম আজাদ সেতু, রওনক রিপনসহ অনেকে। গল্পে দেখা যাবে, ১৯৭১ সালে ওয়াজিউল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তান রেলওয়েতে বিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। বড় ছেলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ছটফট করে। যদি কোনোভাবে কেউ জানতে পারে সরকারি কর্মচারীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে, তাহলে সবার জীবন বিপন্ন। একদিন আলবদর বাহিনী তাকে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক ক্যাপ্টেনের কাছে। তাকে বলা হয় ট্রেনে একটা খালি বগি জুড়তে হবে। কুমিল্লার বাইরে একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সেই বগিতে কিছু মাল তোলা হবে। সবার অজান্তে রাতের মধ্যেই আরেক জায়গায় তা ডেলিভারি দিতে হবে। ক্যাপ্টেনের আদেশ অমান্য করার উপায় নেই। মাল তুলতে গিয়ে ওয়াজিউল্লাহ দেখেন কয়েকশো মানুষের লাশ। তার মনে হয়, লাশগুলোর মধ্যে কেউ হয়তো বেঁচে আছে এখনো। সে হ্যাজাক বাতি নিয়ে লাশের বগিতে ঢোকে। সতেরোটা শরীরে প্রাণের স্পন্দন পায়। কী করবে বুঝতে পারে না। ৪টার মধ্যে তাকে পৌঁছাতে হবে। ওখানেও নিশ্চয়ই অপেক্ষা করছে কিছু শ্বাপদ। আগামী ১৬ ডিসেম্বর টেলিফিল্মটি প্রচার হবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে।