দু’দিন জ্যোতির একক অভিনয়
| ২১ মে, ২০২২ ০০:০০
শুভাশিস সিনহার নির্দেশনায় ‘হ্যাপি ডেজ’ মঞ্চ নাটকে একক অভিনয় করেন জ্যোতি সিনহা। প্রশংসিত এ নাটকটির ২৫তম প্রদর্শনী হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। আগামীকাল একই হলে একই সময়ে রয়েছে আরেকটি শো। ফরাসি দূতাবাস প্রযোজিত এ নাটকটি পরিবেশন করছে মণিপুরী থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ। অ্যাবসার্ড নাটকের জন্য বিখ্যাত ‘ওয়েটিং ফর গডো’খ্যাত নোবেলজয়ী নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের লেখা ‘হ্যাপি ডেজ’ অবলম্বনে নাটকটি নির্মিত। নাটকটির বাংলা অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী। নাটকটিতে উইনি নামের এক নারীর নিঃসঙ্গ কিন্তু স্বপ্নময় জীবনের দৈনন্দিন সব ছেলেখেলার মতো ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে মানুষের এক অভিনব মানসপটকে আঁকা হয়েছে। পুরো নাটকে উইনি তার স্বামী উইলির সঙ্গে অনর্গল কথা বলে যায়, প্রলাপের মতো। নস্টালজিয়া, অভিযোগ, আকাক্সক্ষা সবকিছু ছাপিয়ে তার শরীর-মনের তীব্র প্রেমাকুতি। মূল নাটকে দু’-একটি সংলাপের মধ্য দিয়ে অথর্ব, অক্ষম পুরুষ-চরিত্র উইলি উপস্থিত থাকলেও এ প্রযোজনায় তাকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী উইনির ঘণ্টাব্যাপী কথা-ক্রিয়ার মধ্যে সে বর্তমান থাকে। সে জীবিত নাকি মৃত, সে প্রশ্নের মীমাংসাও হয়তো হয় না। কিন্তু উইনি তাকে নিয়ে জীবনের এক আনন্দময় দিনের স্বপ্ন দেখে চলে, তাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে চলে, যা কোনোদিনই তার জীবনে আসে না। এক ঘণ্টার এই নাটকে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। ‘কহে বীরাঙ্গনা’র পর এটি তার দ্বিতীয় একক অভিনয় বা মনোড্রামা। মঞ্চে একই অভিনয়শিল্পীর দুটো একক নাটকের ঘটনা দেশে এটাই প্রথম।
শেয়ার করুন
| ২১ মে, ২০২২ ০০:০০

শুভাশিস সিনহার নির্দেশনায় ‘হ্যাপি ডেজ’ মঞ্চ নাটকে একক অভিনয় করেন জ্যোতি সিনহা। প্রশংসিত এ নাটকটির ২৫তম প্রদর্শনী হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। আগামীকাল একই হলে একই সময়ে রয়েছে আরেকটি শো। ফরাসি দূতাবাস প্রযোজিত এ নাটকটি পরিবেশন করছে মণিপুরী থিয়েটার ও হৃৎমঞ্চ। অ্যাবসার্ড নাটকের জন্য বিখ্যাত ‘ওয়েটিং ফর গডো’খ্যাত নোবেলজয়ী নাট্যকার স্যামুয়েল বেকেটের লেখা ‘হ্যাপি ডেজ’ অবলম্বনে নাটকটি নির্মিত। নাটকটির বাংলা অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী। নাটকটিতে উইনি নামের এক নারীর নিঃসঙ্গ কিন্তু স্বপ্নময় জীবনের দৈনন্দিন সব ছেলেখেলার মতো ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে মানুষের এক অভিনব মানসপটকে আঁকা হয়েছে। পুরো নাটকে উইনি তার স্বামী উইলির সঙ্গে অনর্গল কথা বলে যায়, প্রলাপের মতো। নস্টালজিয়া, অভিযোগ, আকাক্সক্ষা সবকিছু ছাপিয়ে তার শরীর-মনের তীব্র প্রেমাকুতি। মূল নাটকে দু’-একটি সংলাপের মধ্য দিয়ে অথর্ব, অক্ষম পুরুষ-চরিত্র উইলি উপস্থিত থাকলেও এ প্রযোজনায় তাকে অনুপস্থিত রাখা হয়েছে। কিন্তু স্ত্রী উইনির ঘণ্টাব্যাপী কথা-ক্রিয়ার মধ্যে সে বর্তমান থাকে। সে জীবিত নাকি মৃত, সে প্রশ্নের মীমাংসাও হয়তো হয় না। কিন্তু উইনি তাকে নিয়ে জীবনের এক আনন্দময় দিনের স্বপ্ন দেখে চলে, তাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে চলে, যা কোনোদিনই তার জীবনে আসে না। এক ঘণ্টার এই নাটকে একক অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। ‘কহে বীরাঙ্গনা’র পর এটি তার দ্বিতীয় একক অভিনয় বা মনোড্রামা। মঞ্চে একই অভিনয়শিল্পীর দুটো একক নাটকের ঘটনা দেশে এটাই প্রথম।