
‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ভালো ছবির জন্য তৃষ্ণার্ত দর্শকদের নীরবতায় তিনি খুবই আশ্চর্য হয়ে পোস্টটি করেছেন। গত শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতে মুক্তি পেয়েছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পে নির্মিত যৌথ প্রযোজনার সিনেমাটি। গত সোমবার সকালে জয়া আহসান লেখেন, ‘মায়ার জঞ্জাল ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের সিনেমা হলে চলছে। আমাদের দেশে যারা ভালো ছবির জন্য তৃষ্ণার্ত, এমন একটি অপূর্ব ছবি নিয়ে তাদের নীরবতায় আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি।’
বাংলাদেশের দর্শকদের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি তো আমাদেরও, নাকি? অপি করিম আর সোহেল ম-ল এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটির মূলে আছে বাংলা ভাষার জাদুকর লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।’
চলচ্চিত্রটি নিয়ে বাংলাদেশের কলাকুশলীদের প্রতিও ক্ষোভ ঝাড়েন জয়া। তিনি লেখেন, ‘ভালো ছবি নিয়ে আমাদের পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলীরা সরবে কথা বলতে থাকলে তবেই না ভালো ছবির আবহাওয়াটা গড়ে উঠবে, দর্শকদের তৃষ্ণা বাড়বে।’
জয়া আরও বলেন, ‘আমাদের নাগরিক সমাজের একেবারে প্রান্তে জীবনযাপন করা কিছু মানুষের এমন মায়াভরা সিনেমা আমি দেখিনি। জীবনের কঠিন কশাঘাত তাদের ম্রিয়মাণ, তিক্ত আর বাঁকা করে তুলেছে; কিন্তু সব ছাপিয়েও মমতা কীভাবে শেষ পর্যন্ত মানুষকে মানুষের সঙ্গে বেঁধে রাখে সেই গল্পই দেখিয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। ভালো বাংলা ছবির চৌহদ্দি বড় করতে চাইলে আমাদের মনটাও তো প্রসারিত করতে হবে। আমরা সবাই যেন ভালো ছবির সঙ্গে থাকি।’
ভারতীয় নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী নির্মিত সিনেমাটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৯ বছর পর বড়পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপি করিম। অপি করিম ছাড়াও বাংলাদেশের সোহেল ম-ল ও কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তী, ব্রাত্য বসুসহ দুই বাংলার আরও অনেক শিল্পী এতে অভিনয় করেছেন। ২০২০ সালে চীনের ‘সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিশিয়াল সিলেকশনে আলোচিত মায়ার জঞ্জালের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার হয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। একই বছর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জোগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ১৫তম আসরে এশিয়ান পারসপেকটিভ বিভাগে আমন্ত্রণ পায় ছবিটি। এ ছাড়া ইতালির রোমে এশিয়াটিকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২১তম আসরের প্রতিযোগিতা বিভাগ অ্যানকাউন্টার উইথ এশিয়ান সিনেমায় আমন্ত্রিত হয়ে বেস্ট ফিচার ফিল্ম জুরি অ্যাওয়ার্ড জেতে মায়ার জঞ্জাল।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ব্যাচেলর মুক্তির ১৫ বছর পর মায়ার জঞ্জালের মাধ্যমে বড়পর্দার জন্য কাজ করেন অপি করিম। ছবিটিতে তার চরিত্রের নাম সোমা। মেয়েটি কলকাতার। সে বিবাহিত। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। তবে স্বামী বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে বর্ষীয়ান অভিনেতা পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় চাকরি করেন সোমা। তার স্বামী চাঁদু চরিত্রে আছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। গণেশ বাবু চরিত্রে ব্রাত্য বসু, বিউটির ভূমিকায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং সত্য চরিত্রে আছেন সোহেল রানা। ছবিটির শ্যুটিং হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়।
স্বাধীনতার মাস মার্চেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চার সিনেমা। প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত দুই সিনেমা। আগামী ৩ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে খিজির হায়াত খানের ‘ওরা ৭ জন’ ও ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভিন্ন ভিন্ন পেশা থেকে আসা সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার গল্প তুলে ধরা হয়েছে ‘ওরা ৭ জন’ সিনেমায়। কেউ পুলিশ, কেউ চিকিৎসক, কেউ সামরিক বাহিনীর মেজর, কেউবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেশের জন্য সবাই হাতে তুলে নিয়েছে অস্ত্র। যুদ্ধের সময় তারা যখন একটি মিশনে যায়, মিশনে কী হয়, তা নিয়েই গল্পটা। সাত বীর মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, ইমতিয়াজ বর্ষণ, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, সাইফ খান, খালিদ মাহবুব তূর্য, নাফিজ আহমেদ ও খিজির হায়াত খান। তাদের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। পরিচালনা ও অভিনয়ের পাশাপাশি কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন খিজির হায়াত খান নিজেই। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়। একই দিনে মুক্তি পাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা ‘জেকে ১৯৭১’। বানিয়েছেন ফাখরুল আরেফীন খান। যুদ্ধ চলাকালীন শরণার্থীশিবিরে থাকা শিশুদের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখা ফরাসি যুবক জ্যঁ ক্যুয়েরকে নিয়ে সিনেমা। শরণার্থীদের জন্য চিকিৎসাসামগ্রীর জোগান দিতে আস্ত এক বিমান ছিনতাই করেন জ্যঁ ক্যুয়ের। সেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন ফাখরুল আরেফীন খান। নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন পশ্চিমবঙ্গের শুভ্র সৌরভ দাশ। পাইলটের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী। ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বিশেষ অডিয়েন্স পুরস্কার জিতেছে জেকে ১৯৭১। আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। জেকে ১৯৭১ এরই মধ্যে মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে নিয়েছে সেরা ঐতিহাসিক সিনেমার পুরস্কার। ১০ মার্চ মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনন্য মামুন পরিচালিত ‘রেডিও’ সিনেমাটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গণমানুষের কাছে তথ্য ও যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে রেডিও কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমায়। অভিনয় করেছেন রিয়াজ আহমেদ, জাকিয়া বারী মম, নাদের চৌধুরী প্রমুখ। সিনেমাটি বিনা কর্তনে সেন্সর পেয়েছে। নির্মাতা জানিয়েছেন ১০ মার্চ মুক্তি দিতে চান সিনেমাটি।
১৭ মার্চ মুক্তি পাবে পঙ্কজ পালিত পরিচালিত ‘একটি না বলা গল্প’। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সন্তানকে সামনে রেখে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিসূত্রে উঠে আসে ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত এ গল্প। সরকারি অনুদানের সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, রুনা খান প্রমুখ।
‘এই যে আমরা প্রবাসী শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলায় দিন রাত পরিশ্রম কইরা রেমিট্যান্স কামাই, আপনারা নাকি আমগোরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাও কন কিন্তু এয়ারপোর্টে প্লেন থেইকা নামার পর সবাই আমগো সাথে দূর দূর করে। মনে হয় যেন আমরা মানুষ না... অন্য কিছু। পারুলকথা। চ্যানেল আই।’
টিভি নাটকের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন নায়িকা সাবিলা নূর গতকাল বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই ছবিটি পোস্ট করে কথাগুলো লিখেছেন। জানা যায়, চ্যানেল আইয়ের জন্য নির্মিত ‘পারুলকথা’ নাটকে একজন প্রবাসী শ্রমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ নাটকে উঠে এসেছে একজন প্রবাসী শ্রমিকের জীবনের নানা সংগ্রামের গল্প। কাজটি নিয়ে আশাবাদাী সাবিলা। এই অভিনেত্রী আজকাল খুব বেছে কাজ করছেন। গ্ল্যামারাস নায়িকার চরিত্রের চেয়ে বৈচিত্র্যময় জীবনঘনিষ্ঠ চরিত্রের প্রতিই গত কয়েক বছর ধরে তার বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। তাকে নানা ধরনের চরিত্রে দেখে ভক্ত-দর্শকরাও খুশি।
দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপতি বিজয়ের ‘লিও’ ছবিকে ঘিরে আগ্রহ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিজয়ের এ ছবি মুক্তির আগেই প্রায় ৪০০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে বলে জানা গেছে।
‘লিও’ এ বিশাল অর্থ আয়ের মাধ্যম স্যাটেলাইট, ডিজিটাল, মিউজিক্যাল, আর থিওরিক্যাল স্বত্ব বিক্রি করে। গুঞ্জন যে, ছবির নির্মাতারা এ ছবির ডিজিটাল রাইটস এরই মধ্যে নেটফ্লিক্সকে বেচে দিয়েছেন। আর তার পরিবর্তে নির্মাতারা ভালোই অর্থ পেয়েছেন। ডিজিটাল রাইটস থেকে তারা ১২০ কোটি রুপি আয় করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আছে তামিল, তেলেগু, কন্নড় আর হিন্দি ভাষার রাইটস। নির্মাতারা সান টেলিভিশনকে ‘লিও’ ছবির স্যাটেলাইট রাইটস বিক্রি করে ৭০ কোটি রুপি মতো আয় করেছে। আর হিন্দি স্যাটেলাইট রাইটসের জন্য সেট ম্যাক্স আর গোল্ডমাইনস চ্যানেলের মধ্যে জোর প্রতিযোগিতা চলছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ের সুরাহা হবে।
হিন্দি রাইটস থেকে নির্মাতারা প্রায় ৩০ কোটি রুপি মতো আয় করেছেন। এদিকে এই প্যান ইন্ডিয়া ছবির মিউজিক রাইটস ১৮ কোটিতে বিক্রি করা হয়েছে। ছবির নির্মাতারা নন-থিওরিক্যাল রাইটস যেখানে প্রায় ২৪০ কোটির রুপি বিনিময়ে বিক্রি করেছেন, সেখানে থিওরিক্যাল রাইটস থেকে তারা আনুমানিক ১৭৫ কোটি রুপি ব্যবসা করছেন। আর এই অঙ্ক বিশ্বজুড়ে রাইটস থেকে বলা হচ্ছে। জানা গেছে, ‘লিও’ ছবির ওভারসিজ রাইটস থেকে প্রায় ৫০ কোটি পেয়েছেন নির্মাতারা।
তামিলনাড়ুতে এই রাইটসের অঙ্ক ৭৫ কোটি রুপি । তেলেঙ্গানা, কেরল, আর অন্ধ্রপ্রদেশে প্রায় ৩৫ কোটি রুপি দাবি উঠেছে। আর দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থিওরিক্যাল রাইটস থেকে ১৫ কোটি ব্যবসা করেছেন তারা।
দক্ষিণের খ্যাতনামা পরিচালক লোকেশ কনগরাজ ‘লিও’ ছবিটি পরিচালনা করছেন। এর আগে তিনি ‘কাইথি’, ‘বিক্রম’, আর ‘মাস্টার’-এর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন। লোকেশ আর থলাপতি জুটির ‘মাস্টার’ বক্স অফিসে দারুণ ঝড় তুলেছিল। তাই ‘লিও’কে ঘিরে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। ছবিতে থলাপতি বিজয় ছাড়া সঞ্জয় দত্ত, তৃষাকে মূল চরিত্রে দেখা যাবে। এ বছর অক্টোবরে ‘লিও’ মুক্তি পাওয়ার কথা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ৯ মার্চ বসছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১-এর আসর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। প্রায় এক ঘণ্টা দৈর্ঘ্যরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিভির মহাপরিচালক ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ।
জানা গেছে, পুরস্কার দেওয়ার পর হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত শিল্পীরা।
আয়োজন শুরু হবে ওয়ার্দা রিহাবের পাঁচ মিনিটের একটি নৃত্যানুষ্ঠান দিয়ে। থাকছে ‘বঙ্গবন্ধু’কে নিয়ে তার পরিবেশনা। এ ছাড়া এ আসরে মঞ্চ মাতাবেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, পূজা চেরী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, তমা মির্জা, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, সাইমন সাদিক, ইমন, নিরব ও জায়েদ খান। ‘বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘পিচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি’সহ একাধিক গানের সঙ্গে নৃত্যে অংশ নেবেন তারকা এই শিল্পীরা। এ আয়োজনের কোরিওগ্রাফি করছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। গতকাল থেকে নিকেতনে শুরু হয়েছে শিল্পীদের রিহার্সাল। কিছুদিন পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে চূড়ান্ত মহড়া। এবারের আসরে উপস্থাপনা করবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ২০২১ সা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে যা আবিষ্কার করেছি তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। পুরো বিশে্ব প্রাচীন এমন দুটি পোশাকই থাকতে পারে। আর এ দুটোই রয়েছে টেক্সালেলে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার দেওয়া হবে। মুজিববর্ষের বিশেষ সিনেমার পুরস্কার পাচ্ছে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’। যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও ডলি জহুর।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত পপ ব্যান্ড ‘বিটিএস’-এর গায়ক ও র্যাপার জে-হোপ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। এরই মধ্যে তার নাম অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জে-হোপ জানিয়েছেন, নতুন একক অ্যালবাম ‘অন দ্য স্ট্রিট’ প্রকাশের পর তিনি সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবেন। বিটিএসের সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বিগহিট মিউজিকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় সব পুরুষ নাগরিকের ২৮ বছর বয়সের মধ্যে ১৮ মাস বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। তবে ২০২০ সালে দেশটির পার্লামেন্টে পপ তারকাদের জন্য বয়সসীমা শিথিল করে ৩০ বছর করে বিল পাস হয়। বিটিএসের জ্যেষ্ঠ সদস্য ৩০ বছর বয়সী গায়ক জিনের ঠিক এক মাস পর, ২৯ বছর বয়সী জে-হোপ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়া সেনাবাহিনীর ফ্রন্ট লাইনের বুট ক্যাম্পে অংশ নেবেন।
গত সোমবার বিগহিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৩ মার্চ জে-হোপের ‘অন দ্য রোড’ একক অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে। ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ‘বিটিএস’-এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। টুইটারে তাদের ফলোয়ার ৪ কোটি ৮০ লাখের বেশি। ২০২০ সালে প্রথম গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় বিটিএস। গানের জন্য শুধু জনপ্রিয়তা নয়, বিটিএস গড়ে ৪৯ লাখ ডলার আয় করে দক্ষিণ কোরিয়ার জিডিপিতে দশমিক ৩ শতাংশ অবদান রেখে আসছে। ‘বিটিএস’ গত বছর ঘোষণা করে, সদস্যরা ব্যক্তিগত প্রকল্পের জন্য কয়েক বছর বিরতি নেবেন। বিগ হিট মিউজিক তখন জানিয়েছিল, ২০২৫ সালের দিকে তারা আবার মিলিত হবেন।
টেস্ট ক্রিকেটে সিলেটের পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। অভিজাত সংস্করণে যা ছিল দেশের অষ্টম ভেন্যু। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচ দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পা রাখে দেশের সবচেয়ে সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি। তবে মাঠের অভিষেক ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপর আর কোনো পাঁচ দিনের খেলা গড়ায়নি এই মাঠে। এ নিয়ে স্থানীয়দের আক্ষেপের শেষ নেই।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরাচ্ছে। পাঁচ বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
ক্রিকবাজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট আয়োজন করতে পারব বলে আশা করছি। এটি আমাদের জন্য খুব একটি উপলক্ষ হবে। কারণ পাঁচ বছর পর সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেট ফিরবে।’
সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল সিলেট সফর করেছে। তারা সেখানকার মাঠসহ সব সুযোগ সুবিধা পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সবকিছু দেখে তারা এখানে আরও বেশি ম্যাচ আয়োজনের জন্য উন্মুখ বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান নাদেল।
তিনি যোগ করেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতিনিধি দল আমাদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশ মুগ্ধ। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে আমরা তাদের সব প্রত্যাশা ও প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।’
এফটিপি সূচি অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজে খেলার কথা নিউজিল্যান্ডের। তবে সিরিজটি হবে দুই ভাগে। প্রথম ভাগে সেপ্টেম্বরের শেষভাগে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ানডে খেলবে কিউইরা। এই সিরিজ খেলেই বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে দুই দল।
বিশ্বকাপের পর হবে দুই দলের টেস্ট সিরিজ। নভেম্বরের শেষ দিকে আবারও বাংলাদেশে আসবে কিউইরা। বিসিবি প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী ২১ নভেম্বর ঢাকায় পা রাখার কথা সফরকারীদের। এরপর একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে দলটি। ২৮ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতিতে জোর করে হারানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
এই নিয়ে ঘনিষ্ঠ অনেকের কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিন্ন কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের যেকোনো আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে গাজীপুর সিটির ভোটে যে সংসদ সদস্য দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করার তথ্য মিলবে তাকেই বাদ দেওয়া হবে। এ সিটি ভোটে হারের কারণ জানতে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব একটি সংস্থাকে নির্ভুল তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্বও পেতে পারেন আজমত, ওই সূত্র দাবি করে। সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
নানা অব্যবস্থাপনায় এগোচ্ছে না প্রাথমিক শিক্ষা। প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির আওতায় এসেছে অনেক আগে। এরপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের কাজ অনেকটাই আটকে আছে। খোদ সরকারি সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে প্রাথমিকে চরম দুরবস্থার কথা। গবেষয়ণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাক্সিক্ষত মানের চেয়ে শিশুরা অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কথায় কথায় তাদের ওপর নেমে আসছে শাস্তির খড়গ। মানের উন্নয়ন না হলেও ঠিকই অধিদপ্তরে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সম্প্রতি এই গবেষণা করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণের আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গড়ে ইংরেজি বিষয়ে যতটা শিখত, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে তা সাড়ে ১২ শতাংশ কমে গেছে। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের হার কমেছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ। আর তৃতীয় শ্রেণির বাংলায় কমেছে ১৫ শতাংশের মতো।
গবেষণার তথ্য বলছে, করোনার আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে শিখন অর্জনের গড় হার ছিল প্রায় ৪৯ শতাংশ। করোনাকালে বন্ধের প্রভাবে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশ। একই শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ^পরিচয় বিষয়ে শিখন অর্জনের গড় হার ৫১ শতাংশের বেশি, যা আগে ছিল ৬৮ শতাংশের মতো। পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও বিজ্ঞানেও ক্ষতি বেড়েছে।
এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার ঘাটতি পূরণে এ ধরনের গবেষণার দরকার ছিল। আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখেই তা করা হয়েছে। আমরা এই গবেষণা প্রতিবেদন দু-এক দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আমরা অন্তত এক বছরের জন্য রেমিডিয়াল ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা দিন দিন পিছিয়ে পড়লেও সেদিকে তেমন একটা নজর নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। তারা ব্যস্ত আছে লাখ লাখ শিক্ষক এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি-পদায়ন নিয়ে। কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসছে শাস্তি। ফলে শিক্ষকরাও দিন দিন তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন; কোনো রকমে দিন পার করছেন।
জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষায় উদ্ভাবনী ও অনন্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হন রাজবাড়ী জেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম। একই বছর রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিক নির্বাচিত হন। সাধারণত আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এসব শিক্ষকের হাতে পদক তুলে দেন। শিক্ষকদের পাশাপাশি সেরা শিক্ষার্থীদের পদক দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু করোনাকালে তাদের হাতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষক পদক তুলে দেওয়া যায়নি। গত ১২ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তাই অনুষ্ঠানের কয়েক দিন আগে স্বাভাবিকভাবে তারা দাবি তুলেছিলেন, দেরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তারা পদক নেবেন; যা তাদের সারা জীবনের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় তারা প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে ঠিকই পদক নেন। তবে এর ৬৮ দিনের মাথায় এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবি তোলায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। একই ঘটনায় জয়পুরহাটের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কারণ তার বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এ পদক নিতে ১১ মার্চ ঢাকা এসেছিল। ওই শিক্ষকও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেওয়ার দাবিকে সমর্থন করেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও তাদের কাউকে শোকজ করা হয়নি; যা বিধিবহির্ভূত বলছেন শিক্ষকরা।
জানতে চাইলে ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সাময়িক বরখাস্তের পরবর্তী যে প্রক্রিয়া আছে, সেদিকেই আমরা যাব।’ এর বেশি কিছু তিনি বলতে রাজি হননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে এসব ব্যাপারে কথা বলার জন্য গতকাল একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেওয়া একজন শিক্ষকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে, প্রত্যাশা থাকতেই পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শিক্ষকদের যেভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়। এর প্রভাব অন্যান্য শিক্ষকের মধ্যেও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।’
শুধু তা-ই নয়, করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে কিছু শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা স্বউদ্যোগে কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেন; যাতে অনলাইন ক্লাস, শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনাসহ নানা কাজ করা হয়। এতে প্রতিটি ফেসবুক গ্রুপে লাখ থেকে হাজারো শিক্ষক যুক্ত হয়েছেন। এখনো সেসব গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু সেই গ্রুপগুলোকেই এখন শায়েস্তা করার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের অজুহাত দেখিয়ে অনলাইনে যুক্ত থাকা অনেক শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাকেই দেওয়া হচ্ছে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ)। সরকার যেখানে শিক্ষকদের ডিজিটালি আপডেট হওয়ার কথা বলছে, সেখানে প্রায় অনেকটাই উল্টো পথে হাঁটছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে আসন গেড়ে বসেছেন কিছু কর্মকর্তা। অনেকেই ৬ থেকে ১২ বছর ধরে একই দপ্তরে চাকরি করছেন। তাদের যে দায়িত্বই থাক না কেন যত লাভজনক কাজ আছে, সেগুলোতেই তারা হাত দিচ্ছেন। যোগ্য কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে আনলে তাদের সরে যেতে হবে, এ জন্য তারা নানাভাবে ঊর্ধ্বতনদের ভুল বুঝিয়ে মাঠপর্যায়ে শাস্তি দিয়ে সবাইকে ভীত করে তুলছেন। এতে পিছিয়ে পড়ছে প্রাথমিক শিক্ষার মান।
প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত মার্চ-এপ্রিলে অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলি করা হয়। যদিও নিয়ম ছিল, অনলাইনে নির্দিষ্ট মানদন্ড পূরণ ছাড়া কেউ বদলি হতে পারবেন না। কিন্তু তা মানেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নিয়ম ভেঙে কয়েক শো শিক্ষকের বদলির আদেশ জারি করা হয়। আর এই বদলি-পদায়নে বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে দাবি শিক্ষকদের; যা ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে। আবার অনেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলিতেও সমন্বয়হীনতা দেখা দিচ্ছে। কাউকে ক্ষোভের বশবর্তী হয়েও অনেক দূরে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন।
জানা যায়, চলতি বছর থেকে প্রথম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আর আগামী বছর থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ২০২৫ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু তা পড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেই অধিদপ্তরের। শিক্ষকদের নামমাত্র প্রশিক্ষণেই দায়িত্ব শেষ করা হয়েছে। আসলে এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীরা কতটুকু আত্মস্থ করতে পারছে বা এ জন্য আর কী করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারে তেমন নজর নেই।
এ ছাড়া এখনো প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা বেতন পান ১১তম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকরা পান ১৩তম গ্রেডে। দুই ধরনের প্রায় চার লাখ শিক্ষকই ১০ম গ্রেডে বেতনের দাবি করে আসছেন। এ ছাড়া সহকারী থানা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারাও দীর্ঘদিন ধরে নবম গ্রেডের দাবি করছেন। আর মাঠে কাজ করা এসব শিক্ষক ও কর্মকর্তার পদোন্নতিও নেই বললেই চলে। কিন্তু এগুলো সমাধানেও তেমন কোনো উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের; যা প্রাথমিকের মান উন্নীতের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রবীণ শিক্ষক নেতা মো. সিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনো মফস্বলে বা দুর্গম অঞ্চলের অনেক স্কুলেই এক-দুজন শিক্ষক। অনেক স্কুলে শিক্ষকের পদ তিন-চার বছর ধরে শূন্য। শিক্ষক না থাকলে এর প্রভাব শিক্ষার্থীদের ওপরও পড়ে। এ ছাড়া সরকারি প্রাথমিকে সাধারণত দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আসে। তাদের একটু আলাদা যতœ নেওয়া প্রয়োজন। সেগুলোও হচ্ছে না। শিক্ষকরাও তাদের বেতন-ভাতায় সন্তুষ্ট নন। সব মিলিয়ে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কাক্সিক্ষত মান অর্জন করতে পারছি না।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে।
গণভবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে বলেন, আজমত উল্লা খানকে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। ওই আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) গত ১৫ মে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় ওই শূন্য আসনে আজমতকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।
গাজীপুরের দ্বিধা-বিভক্ত রাজনীতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই দফায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে ভোটে পরাজিত করে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগী, দক্ষ, মেধাবী ও ভাবমূর্তি সম্পন্ন আজমত উল্লাকে বরং আরও ওপরে রাখতে চেষ্টা করছেন। দলীয় সভাপতি টের পেয়েছেন মেয়র প্রার্থী আজমত হারেননি, তাকে গাজীপুরের দলীয় রাজনীতি জোর করে হারানো হয়েছে।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরাজিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাকে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান। আজমতের সঙ্গে গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন চক্রান্তের ব্যাপারগুলো শেখ হাসিনা জানেন এবং জানান। গণভবনে পরাজিত প্রার্থী আজমতকে বোঝান পরাজয়ের কারণ আমরাই। বিএনপি-জামায়াত তাদের প্রার্থী দেয়নি গাজীপুরের সিটি ভোটে। তারা নৌকা হারাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে জাহাঙ্গীর আলম। এর সঙ্গে দলেরও কেউ কেউ রসদ জুগিয়েছে। এতে রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে এমন নয়।
সূত্রটি আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী যার ওপর ক্ষুব্ধ হন তার যেমন শাস্তি দেন তেমনি যার ওপর সন্তুষ্ট ও যিনি ধৈর্য ধারণ করেন তাকে একই সঙ্গে সব দেন। গত ১৫ বছরে বহুজন এর উদাহরণ। গাজীপুরে মেয়র পদে আজমতকে হারা বা হারানোয়, প্রধানমন্ত্রী ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীরের ভোটকে ঘিরে যে নাটকীয় আচরণ করেছেন সে সম্পর্কে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। গাজীপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আজমতকে নিয়ে যে খেলাধুলায় মেতেছে সে আজমতকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন আরও ওপরে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য নায়ক ফারুক গাজীপুরের কালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। আজমতও টঙ্গী কালিগঞ্জের। তা ছাড়া ঢাকা লাগোয়া এই জেলার বাসিন্দা আজমত। গাজীপুরের অনেক মানুষ ওই আসনে বসবাসও করেন। এসব মিলিয়ে আজমত প্রায়োরিটি পেতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে।
আজমতের বিভিন্ন ঘনিষ্ঠজনেরা এসব তথ্য দিলেও আজমত উল্লা খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, এসব ব্যাপারে তার কোনো কিছুই জানা নেই। চিন্তাও করেন না তিনি।
দুই দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক-টেলিছবি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন, উপহার দিয়েছেন হিট প্রোডাকশন। নিজেকে শুধু রোমান্টিক জনরায় আটকে না রেখে কাজ করেছেন বহুমাত্রিক ঘরানায়। নিজেকে প্রমাণ করেছেন সব্যসাচী নির্মাতা হিসেবে। নিজেকে শুধু টেলিভিশনেই আটকে রাখেননি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও পাল্টেছেন প্লাটফর্ম এবং সেখানেও দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা।
সর্বশেষ গেল ঈদে তুমুল সাড়া ফেলেছে তার নির্মিত স্পিন অফ সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’। সাফল্যের পর কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এর সাকসেস পার্টি যেখানে উপস্থিত ছিলেন টিমের কলাকুশলী থেকে শুরু করে অন্যান্য নির্মাতা ও শিল্পীরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নিয়ে আসছেন সিরিজটির সিক্যুয়াল। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে একাধিক সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে আসছেন জনপ্রিয় নির্মাতা।
শিহাব শাহীন বলেন, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ নিয়ে এতটা প্রত্যাশা ছিল না কিন্তু সে সাড়া পেয়েছি তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। দর্শকরাই কাজটিকে গ্রহণ করেছেন আর তাই এখন এর সিক্যুয়াল নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি। স্পিন অফে দেখিয়েছি অ্যালেন স্বপনের পেছনের গল্প। সিন্ডিকেটে তাকে আমরা দেখিয়েছিলাম ২০২২ সালে, সে ঢাকায় আসার পর এর মাঝের সময়টার গল্পই থাকবে সিক্যুয়ালে। যেটার সংযোগ থাকতে পারে ‘সিন্ডিকেট ২’-তে। ঈদের পরপর এটার শুট করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিক্যুয়াল ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিরিজ ও ফিল্ম নিয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে বলেও জানান এ নির্মাতা। তিনি বলেন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকির তত্ত্বাবধানে ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অফ লাভ’ সিরিজের একটা কনটেন্ট করবো। এখনও কাস্টিং চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া হইচইয়ের একটি সিরিজ ও বিঞ্জের একটি ফিল্ম করা হবে। নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দুটোতেই জিয়াউল ফারুক অপূর্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে শোনা গিয়েছিল, আফরান নিশোকে নিয়ে ‘সিন্ডিকেট ২’ নাকি হবে না, এটা কতটুকু সত্য? এমন প্রশ্নে শিহাব শাহীন বলেন, এটা ভূয়া তথ্য। ডিসেম্বরের শেষ দিকে ‘সিন্ডিকেট ২’ করবো তার আগে সেপ্টেম্বরে শুরু করবো ‘রসু খাঁ’।
জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি জমাচ্ছেন শিহাব শাহীন। দেশে ফিরবেন মাসের শেষ নাগাদ এরপর কাজে নামবেন।
দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখতে কুমিল্লায় উড়ে গেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আজ বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে শুরু হয়েছে ম্যাচটি। সালাউদ্দিন ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কুমিল্লায় পৌঁছান।
ঢাকা থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় পাড়ি দিতে মাত্র দুই ঘণ্টা সময় লাগে। তবে সালাউদ্দিন দূরত্বটা পাড়ি দিয়েছেন হেলিকপ্টারে করে। যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
টাকার অভাবে কদিন আগে নারী ফুটবলারদের অলিম্পিক বাছাইয়ে পাঠায়নি বাফুফে। অথচ ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে বাফুফে সভাপতি বেছে নিলেন হেলিকপ্টার।
হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে কুমিল্লার এই যাত্রায় বাফুফে সভাপতির সঙ্গী হয়েছেন সংস্থার নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।