
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি গান গেয়েছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী। ‘ভোরের আলোয় ঝিকিমিকি’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন সুলতানা নূরজাহান রোজ। সুর ও সংগীত করেছেন সজীব দাস। অডিও রেকর্ডিং শেষে এখন চলছে ভিডিও নির্মাণের কাজ। ইয়ামিন এলানের পরিচালনায় মিউজিক ভিডিওটিতে ফাহমিদা নবীও আছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুন্দর একটি গান করলাম। দেশ রাগের সুরে গানটি করা হয়েছে। এতে ঢোল, বাঁশি, তবলাসহ দেশীয় সংগীতের ছোঁয়া পাবেন শ্রোতারা। সুরকার সজীব দাস অনেক যত্ন নিয়ে গানটি করেছেন। আশা করছি গানের সুর ও মিউজিক ভিডিওটি শ্রোতা-দর্শকদের মন জয় করবে।’ গতকাল গানটি সুলতানা নূরজাহান রোজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি ফাহমিদা নবীর নতুন আরও ২টি গান প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জানান দিয়ে এখন আর গান হয় না। আমি নীরবে নিভৃতে থাকা মানুষ। বাংলা আধুনিক গান করার চেষ্টা করি। গান গেয়ে যাওয়ার চেষ্টা আছে। এখন আমার মনে হয় একসময় থাকব না, কিন্তু এই গানগুলোই থেকে যাবে। সেই ধারাবাহিকতায় ‘জোনাকি আহারে’ ও ‘শহর ছেড়ে’ নামে নতুন গান ২টি প্রকাশিত হয়েছে। ‘জোনাকি আহারে’ গানটি লিখেছেন হোসনে আরা জলি। আর ‘শহর ছেড়ে’ গানটি লিখেছেন সুলতানা নূরজাহান রোজ। গানটির সুর-সংগীত করেছেন সজীব দাস।
আগে গানের আ্যালবাম প্রকাশিত হতো। একেকটা অ্যালবামে ১০-১২টা গান থাকত। কিন্তু, এখন আর সেই অ্যালবাম প্রকাশিত হয় না। এখন ১টা গান প্রকাশিত হয়। বিষয়টি কীভাবে দেখেন? জানতে চাইলে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘এক সময় রের্কডিং স্টুডিওগুলোতে গীতিকার, সুরকার মিউজিশিয়ান মিলে প্রতিদিন কোনো না কোনো গান করতে হতো। অনেক ব্যস্ততা থাকত সবার। অনেক আনন্দ হতো অ্যালবামের গান করতে। সেই আনন্দ এখন আর নেই। কষ্ট হয় বিষয়গুলো ভাবলে। যুগের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই বদল মেনে নিতে হয়। এটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু, দেখার বিষয় আমার রুচির অবক্ষয় হয়েছে কি না। রুচির জায়গায় আমি আগেও যেমন ছিলাম এখনো তেমন আছি।’
এখন আর রাস্তাঘাটে সবখানে গান বাজতে শোনা যায় না। এখন গান চলে এসেছে কানে কানে হেডফোনে। এই বিষয়টি মন খারাপ করে শিল্পীর। তিনি বলেন, ‘সত্যি কিন্তু, আগে সবসময় গান বাজতে শোনা যেত কোথাও না কোথাও। এখন সেটা কল্পনা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কোথাও গান শোনা যায় না। এক সময় এলিফ্যান্ট রোডের ওদিকে গেলে ‘গানের ডালি’ নামের অ্যালবামের দোকান থেকে সবধরনের গান শোনা যেত, নতুন গান প্রকাশিত হলে সেগুলো শোনা যেত। এখন আর শোনা যায় না। গান এখন কানে কানে হেডফোনে চলে গেছে। অ্যালবামের দোকানগুলো একে একে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সবকিছু বদলে গেছে এটা মেনে নিতে হচ্ছে।’
গান ছাড়া জীবনটাই কল্পনা করতে পারেন না এই শিল্পী। বললেন, ‘এক জীবনে আমার শুধু গান করতেই ইচ্ছা করেছে। গান ছাড়া আর কিছুই ভাবিনি। গানই আমার জীবন মরণ, গানই আমার প্রাণ। ছোটবেলায় আমাকে আর সোমাকে (সামিনা চৌধুরী) জিজ্ঞাসা করা হতো আমরা কী হবো? সোমা বলত, ডাক্তার হবে। আমি সবসময় বলে এসেছি গানের শিল্পী হব। গানের শিল্পী হওয়াতে কিন্তু সংগ্রাম আছে। সেই সংগ্রাম আজও করে যাচ্ছি। গানের শিল্পীদের কোনো অবসর বা রিটায়ারমেন্ট বলে কিছু নেই। প্রকৃত শিল্পী তার সাধনা এবং মেধা নিয়েই জীবন কাটিয়ে দেয়। গানের শিল্পীদের সিনিয়র-জুনিয়ার বলে কোনো কথা নেই। তাদের গান করে যেতে হয়। আমিও ভালোবেসে গান করে যেতে চাই আজীবন।’
ফাহমিদা নবীর উল্লেখযোগ্য অ্যালবামগুলো হলো ‘এক মুঠো গান’, ‘দুপুরে একলা পাখি’, ‘তুমি কি সেই তুমি’, ‘মনে কি পড়ে না’, ‘চারটা দেয়াল হঠাৎ খেয়াল’, ‘তবু বৃষ্টি চাই’, ‘ইচ্ছে হয়’, ‘আমারে ছুঁয়েছিলে (নজরুলগীতি)’, ‘তুমি অভিমানে’।
ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গে চলচ্চিত্রের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নিশিতা বড়ুয়া। ‘মেইড ইন চিটাগং’ চলচ্চিত্রে পার্থ বড়ুয়া ও নিশিতার গাওয়া চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার গান ‘ফেট ফুরেদ্দে তোঁয়াল্যাই’ জনপ্রিয় হয়েছে। এবার পার্থ বড়ুয়া ও নিশিতা নতুন করে গাইলেন কালজয়ী ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি। এই গানে তাদের সঙ্গী শত শিশুশিল্পী। গত শুক্রবার স্টুডিওতে শত শিশুশিল্পীর কণ্ঠে ধারণ করা হয়েছে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ঐতিহাসিক গানটি যার সুর করেছিলেন আনোয়ার পারভেজ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গানটি নতুনভাবে সংগীতায়োজন করেছেন পার্থ বড়ুয়া। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির তত্ত্বাবধানে গানটি তৈরি হয়েছে। গানটির সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন গীতিকার আশরাফ বাবু। শত শিশুদের সঙ্গে গানটি গাওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘শিশুশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তাদের সঙ্গে এই গানের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। আশা করছি, গানটি শত শিশুর কণ্ঠে বেশ ভালো লাগবে।’ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক ছড়াকার আনজীর লিটন বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শত শিশুর কণ্ঠে জয় বাংলা গানটি করার পরিকল্পনা করেছিলাম। আমাদের আয়োজনটি সত্যিই ভালো হয়েছে।’
গতকাল ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বেলা ১১টায় শিশু একাডেমিতে আলোচনা সভা, পুরস্কার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে শত শিশুশিল্পীর সঙ্গে ‘জয় বাংলা’ গানটি পরিবেশন করেন পার্থ বড়ুয়া ও নিশিতা বড়ুয়া। এর আগেও ছোটদের নিয়ে গান করেছেন পার্থ বড়ুয়া। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগে ১২টি জনপ্রিয় ছড়ায় কণ্ঠ দিয়েছে জাতীয় শিশু পুরস্কারপ্রাপ্ত ১২ শিশুশিল্পী।
‘অন্যরকম একটা দিন আজ, প্রথম রোজা। বড় মেয়ে অন্য দেশে, পড়াশোনার জটিল চাপে নাজেহাল প্রায়। তার মধ্যে রোজা, সাহরি, ইফতার জানি না কী করে সব করবে। আমি জানি আমাকে মুখে বলবে না যে, সে আমাদের কতটা মিস করছে, কতটা কষ্ট করছে। শুধু একজন মা-ই বোঝে এই দোটানা, এই শূন্যতা। আমরা যারা অনেক দেখা, অনেক অভিজ্ঞতায় বড় হওয়া, জীবনের এই অংশে এসে ভাবি, আর কী, সবই হয়ে গেছে, সব বুঝি, সব কষ্ট পাওয়া শেষ। আমিও এ রকমই ভাবতাম এক সময়, কোনো কষ্টই আমাকে আর ক্ষত করতে পারবে না। আমি ভুল ছিলাম। শুধু মায়ের কষ্টের কোনো শেষ নেই।’
সন্তানের প্রতি মায়ের আবেগ চিরাচরিত। সেই মায়ের অবস্থান যা-ই হোক না কেন? শোবিজ তারকাদের নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি থাকে। কিন্তু কিছু কিছু আবেগের জায়গায় সব মানুষই সমান। সে কথাই উঠে এসেছে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের ফেসবুক পোস্টে। তিনি প্রথম রোজার ইফতারির সময় এই হৃদয়ঘন কথাগুলো তার ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেন।
এদিকে আঁখির গানের ব্যস্ততা বরাবরের মতোই চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি দারুণ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন জনপ্রিয় এই গানের তারকা। একটি কনসার্টে ২৫ হাজার দর্শকের সামনে গাইলেন তিনি। গত ১৮ মার্চ এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। আঁখির সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আঁখি জানান, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা বণিক সমিতির ৫০ বছর পূর্তি ও নতুন কমিটির অভিষেক উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানেই পারফর্ম করেন তিনি ও ফেরদৌস। জানা যায়, এই অনুষ্ঠান দেখতে এত লোকের ভিড় হয় যে অনেকে জায়গা না পেয়ে গাছের ডালে, ভবনের ছাদে উঠেও দেখেন অনুষ্ঠানটি। আঁখি বলেন, ‘এত বিপুল পরিমাণ শ্রোতার মধ্যে লাইভ পারফরমেন্স করার মজাই আলাদা। ওখানকার অডিয়েন্স দারুন ছিল। খুব ভালো লেগেছে গানে গানে তাদের সুরের মূর্ছনায় মাতিয়ে দিতে।’
‘এই ছবিতে এমন ধরনের অ্যাকশন আছে যা আগে দর্শক দেখেননি’ অ্যাকশন ছবি মুক্তির আগে এ ধরনের কথা অনেক তারকাকেই বলতে শোনা যায়। এবার এই উক্তি করেছেন কিয়ানু রিভস। ‘জন উইক ৪’ মুক্তির আগে ছবিটির অ্যাকশন নিয়ে কথাটি বলেছেন তিনি। জন উইকের ভক্তমাত্রই জানেন, কতটা সত্যি বলেছেন তিনি। গত শুক্রবার বিশ্বজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ‘জন উইক’ সিনেমা সিরিজের চতুর্থ কিস্তি। ভক্তদের প্রশংসার সঙ্গে সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে ছবিটি। কিয়ানু রিভসের ক্যারিয়ার নিয়ে লিখতে গেলে অবধারিতভাবেই আসবে ‘জন উইক’ প্রসঙ্গ। ২০১৪ সালে মুক্তির পর অভিনেতার প্রায় ডুবতে বসা ক্যারিয়ারকে চাঙ্গা করেছে এই সিনেমা সিরিজ। ২০১৯ সালে ছবিটির তৃতীয় কিস্তি মুক্তির পর সেটিকেই জন উইক সিরিজের সেরা বলে রায় দিয়েছিলেন দর্শক-সমালোচক। তবে চতুর্থটি মুক্তির পর তারা মত বদলে বলছেন, এটাই সেরা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চলচ্চিত্র রিভিউ সাইট রটেন টোম্যাটোজে ছবিটির রিভিউ খুবই ইতিবাচক, ৯৫ শতাংশ। আগে ‘জন উইক ২’ ও ‘জন উইক ৩’ পেয়েছিল ৮৯ শতাংশ। রোলিং স্টোনের সমালোচক ডেভিড ফিয়ার লিখেছেন, ২০১৪ সালে যখন ছবিটির প্রথম কিস্তি মুক্তি পায়, তখন কে ভেবেছিল এটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকশন সিনেমার ইতিহাস বদলে দেবে! চ্যাড স্ট্যাহেলস্কি পরিচালিত এবারের কিস্তিতে গুপ্তঘাতক জন উইককে দেখা যাবে কুখ্যাত অপরাধী সংগঠন দ্য হাই টেবলের মুখোমুখি হতে। ছবিটি আরও আগে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও কভিডের কারণে কয়েক দফায় বিলম্বিত হয়েছে। ২০২১ সালের জুনে শ্যুটিং হয় ১০০ মিলিয়ন বাজেটের ছবিটির। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া শ্যুটিং হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপানেও। ছবিটি মুক্তির মাত্র এক সপ্তাহ আগে মারা যান অভিনেতা ল্যান্স রেডডিক। ১৭ মার্চ অভিনেতার মৃত্যুর পর ছবিটিকে প্রয়াত অভিনেতার প্রতি উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন নির্মাতা। মুক্তির আগে প্রিমিয়ারে কিয়ানু রিভস বলেন, তার হঠাৎ চলে যাওয়া অবিশ্বাস্য। প্রায় দশ বছর ধরে তার সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আনন্দের।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ সিনেমাতেই সালমান খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। ‘ম্যায়নে পিয়ার কিউ কিয়া’র পর আরও অনেক সিনেমায় দর্শকের মন জয় করেছেন এই জুটি। চলতি বছর দিওয়ালিতে টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘টাইগার থ্রি’ দিয়ে আবারও পর্দায় আসতে চলেছে ক্যাটরিনা-সালমান জুটি। তবে এটাই নাকি এই জুটির শেষ সিনেমা। এমনই ইঙ্গিত দিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র বিশ্লেষক উমাইর সান্ধু। সালমান খানের সঙ্গে ক্যাটরিনা কাইফের প্রেমের গুঞ্জন কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল সে কথা কারও অজানা নয়। তাদের প্রেম না টিকলেও দিব্যি একসঙ্গে জুটি বেঁধে সিনেমা করে গেছেন তারা। ২০২১ সালের শেষ দিকে ভিকি কৌশলের সঙ্গে ঘর বাঁধেন ক্যাটরিনা। বিয়ের পর ‘টাইগার থ্রি’তে সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ক্যাটরিনা। এতেই নাকি আপত্তি ভিকি কৌশলের। তাই সালমানের সঙ্গে আর অভিনয় করবেন না ক্যাট। উমাইর সিন্ধু তার টুইটে লিখেন, ‘‘ক্যাটরিনা কাইফ বলেছেন, ‘টাইগার থ্রি’ সালমান খানের সঙ্গে তার শেষ সিনেমা। এরপর তার সঙ্গে আর কোনো কাজ করবেন না।’’ ভিকি কৌশল ক্যাটরিনাকে সালমানের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে সতর্ক করেছেন। এ কারণেই নাকি ক্যাটরিনা এই সিদ্ধান্ত নেন। তবে এখন পর্যন্ত ক্যাটরিনা কাইফ নিজে কিছু বলেননি। তবে এ নিয়ে এখন বিটাউনে আলোচনা চলছে। টাইগার ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের দুই সিনেমা ‘এক থা টাইগার’ ও ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো ‘টাইগার থ্রি’তেও সালমানের বিপরীতে অভিনয় করছেন ক্যাটারিনা কাইফ। সুপার স্পাই জোয়া চরিত্রে দেখা যাবে ক্যাটরিনাকে। সিনেমায় খলচরিত্রে দেখা যাবে ইমরান হাশমিকে। এই সিনেমার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ শাহরুখ খান। অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে বলিউডের বাদশাকে। চলতি বছরের দিওয়ালিতে সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।
মুখে টক দই মাখার চল বহুদিনের। আগে ঘন ঘন পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করার চল ছিল না। নানি-দাদিরা ভরসা করতেন ঘরোয়া কিছু জিনিসের ওপর। ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে দই অন্যতম। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ থেকে দই তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়ায় কিছু ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়া দইয়ে তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য তো বটেই, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও আদর্শ। শুষ্ক ত্বক, রোদে পোড়া ত্বক, মুখের ব্রণÑ সব সমস্যার একমাত্র সমাধান টক দই। এ ছাড়া দই আর কী কী উপকারে লাগে?
র্যাশের সমস্যা দূর
স্পর্শকাতর ত্বকের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা হলো কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করতে না পারা। তার মধ্যে যদি সেই প্রসাধনী হয় রাসায়নিকনির্ভর, সে ক্ষেত্রে ত্বকে জ্বালা বা র্যাশের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু দই মাখলে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ কমায়
মুখে দই মাখলে ত্বকে স্বাভাবিকভাবেই ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড’ নামে যৌগের উৎপাদন বেড়ে যায়। এই যৌগটি মুখে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে দিতে পারে। অতএব তৈলাক্ত ত্বকেও দই মাখতে পারেন নিশ্চিন্তে।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায়
শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে গেলে মুখে ময়েশ্চারাইজার মাখতে হয়। কিন্তু তা-ও কিছুক্ষণ পরই আবার যেই সেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ময়েশ্চারাইজার মেখে ত্বক পেলব করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা। দইয়ে থাকা ‘প্রোবায়োটিক’ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আগের ইনিংসের মতোই ব্যর্থ উসমান খাজা। পারেননি ডেভিড ওয়ার্নারও। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ানও ফিরে গেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে তাই খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই অস্ট্রেলিয়া। তবুও তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে আছে তারা।
ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে ২৯৬ রানে আটকে দেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে অসিরা। এগিয়ে আছে ২৯৬ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরেছে তারা।
দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাজা ফেরেন ২৪ রানের মধ্যেই। মারনাস লাবুশান ও স্টিভেন স্মিথের ৬২ রানের জুটি ভাঙেন রবীন্দ্র জাদেজা, পরে ট্রাভিস হেডকেও ফেরান এই স্পিনার। টেস্ট ক্যারিয়ারে অষ্টমবারের মতো স্মিথকে আউট করেছেন জাদেজা।
তৃতীয় দিন শেষে মারনাস লাবুশানের সঙ্গে অপরাজিত আছেন ক্যামেরুন গ্রিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া: ৪৬৯ ও ৪৪ ওভারে ১২৩/৪ (লাবুশেন ৪১*, স্মিথ ৩৪; জাদেজা ২/২৫, উমেশ ১/২১)ভারত ১ম ইনিংস: ৬৯.৪ ওভারে ২৯৬ (রাহানে ৮৯, শার্দূল ৫১, জাদেজা ৪৮; কামিন্স ৩/৮৩, গ্রিন ২/৪৪, বোল্যান্ড ২/৫৯)।
বাসায় তেলাপোকা মারার ওষুধ দেওয়ার পর বিষক্রিয়ায় মারা গেছে রাজধানীর বারিধারা এলাকার ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষারের দুই ছেলে। তার মেয়ে এখনো অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। গত শনিবার ‘ডিসিএস অরগানাইজেন লিমিটেড’ নামের একটি পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা বাসায় ওষুধ দিয়ে ছয় ঘণ্টা পরে ঢুকে ঘর পরিষ্কার করতে বলেছিলেন। পরিবারটি ৯ ঘণ্টা পরে বাসায় ঢুকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ সময় তাদের সবারই পেট খারাপ, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
ওই পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সেই পেস্ট কন্ট্রোল কোম্পানি পোকামাকড় নিধনের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করেছিল, যেটা থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাসের বিষক্রিয়াতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে রাজধানীতে গত পাঁচ বছরে এই বিষক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চমাত্রার এই কীটনাশক বাসায় ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ বিভিন্নভাবে সাধারণ কীটনাশক হিসেবে দেদার বিক্রি হচ্ছে সারা দেশে।
সূত্র বলছে, রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েক শতাধিক পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানির প্রায় ৯৫ ভাগের কোনো অনুমোদন নেই। কৃষি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এসব দেখভাল করার কথা থাকলেও তারাও খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিস প্রতিষ্ঠান সেবা নিন প্ল্যাটফর্ম লি.-এর চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। অধিক মুনাফার আশায় তারা এক ধরনের নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ব্যবহার করে। আবার অনেকে লিকুইড কেমিক্যাল ব্যবহার করে। কিন্তু কোন মাত্রায় এসব ব্যবহার করতে হয় তার প্রশিক্ষণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।
রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে দেয়াল লিখন ও অনলাইনের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে চটকদার বিজ্ঞাপন। অথচ চাষাবাদ ছাড়া অন্য কাজে যার ব্যবহার নিষিদ্ধ। বদ্ধ ঘরে এই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করলে যে কারও বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাইকিং করে এসব কীটনাশক বিক্রি করছিলেন কাঞ্চন মিয়া। এ ধরনের কীটনাশক বিক্রির অনুমতি তার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের অনুমতি লাগে না। দশ বছর ধরে এই ব্যবসা করি। কেউ তো কিছু বলে না। কোথা থেকে এসব পণ্য সংগ্রহ করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশিরভাগ পুরান ঢাকা থেকে সংগ্রহ করি। গাজীপুর সাভার থেকেও এসে দিয়ে যায়। এসব ব্যবহারে মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে তা জানেন না বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কীটনাশক জাতীয় একপ্রকার ওষুধের জেনেটিক বা গ্রুপ নাম হলো অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড। বাজারে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট আকারে ফসটক্সিন, সেলফস, কুইকফস, কুইকফিউম, ডেসিয়াগ্যাস এক্সটি ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট গ্যাস ট্যাবলেট নামেও পরিচিত। বাতাসের সংস্পর্শে এসে জীবনবিনাশী ভয়াবহ টক্সিক গ্যাস ফসফিন উৎপাদন করে। এই ট্যাবলেট সাধারণত গুদামজাত শস্যের পোকা দমন, ধান ক্ষেতের পোকা দমন, কলাগাছের পোকা দমন ও ইঁদুর দমনে ব্যবহার হয়ে থাকে। গত এক দশকে দেশে এই বিষাক্ত কীটনাশক মানুষের বাসাবাড়িতে ব্যবহার বাড়ছে। দেশের বাজারে ট্যাবলেট আকারে সহজলভ্য। রাজধানীতে ছারপোকা দমনে প্রায় যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে এই ট্যাবলেট।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে বালাইনাশক গ্রহণ করলে সেটা দ্রুত ফুসফুসে শোষিত হয় এবং রক্তে মিশে যায়। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ বালাইনাশক শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয় তাহলে নাক, গলা ও ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারের যে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসব বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোন কোন কীটনাশক কোন মাত্রায় কোন কোন কীটপতঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে সেটি নির্দিষ্ট করে নিশ্চিত করতে হবে। আমদানির সময়ও বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। অথবা দেশেই যদি তৈরি করতে হয় তাহলে যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে উৎপাদন করতে হবে। এটির গুণগত মান থাকছে কি না তারও পরীক্ষা করতে হবে।
পরিবেশ গবেষক পাভেল পার্থ বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি ওই বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল প্রতিষ্ঠানটি অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ব্যবহার করেছে। যদিও আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত না। আমার মতে এটা আরও বেশি তদন্ত করা উচিত। সরকারের যে প্রতিষ্ঠান এসব বিক্রির অনুমোদন দেয় তাদের এই তদন্ত করে জানানো দরকার কী ধরনের কেমিক্যাল সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। কারণ পেস্ট কন্ট্রোলের নামে কী ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এটা জানাটা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোন ধরনের কীটনাশক কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার কোনো নীতিমালা নেই। কীটনাশকগুলো সাধারণ কৃষিজমিতে ব্যবহৃত হয়। ঢাকা শহরে এরকম বিষ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত। তাছাড়া রাস্তাঘাটে এসব জিনিস অহরহ বিক্রি হচ্ছে। এসবও তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
আরও এক কর্মী গ্রেপ্তার : দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় টিটু মোল্লা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বালাইনাশক কোম্পানিটির কর্মকর্তা। গত সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভাটারা থানার ওসি আবুল বাসার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, ওই ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের মেয়ে অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে বনানীর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শুক্রবার সকালে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বনানীর একটি বাসা থেকে অর্পিতা শাহরিয়ার কবির মুমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পরে রাতেই পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে স্ত্রী হারান শাহরিয়ার কবির।
নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এরপর দুপুরে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। এই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তিন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এখানে মূলত আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে দেশের রাজনীতিতে যে উত্তাপ দেখা দিয়েছে তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আনিসুল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, তাদের এ বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত শ্রম আইন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরামর্শ ছিল। বৈঠকে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এ মাসেই জেনেভা যাওয়ার কথা রয়েছে।
পরে বেলা ১টা ১০ মিনিটে মার্কিন দূতাবাসে প্রবেশ করেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে তিনি দূতাবাস থেকে বের হন। রাতে মির্জা ফখরুল দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই নীতি দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে আমরা মনে করি বলে রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতকে আমি জানিয়েছি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। দেশের জনগণও তাই মনে করে। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমাদের কোনো আলাপ হয়নি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সম্প্রতি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছিলেন, “নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন।” তার এমন বক্তব্য নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলে পরে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশের সংবিধানে কী আছে তা-ও জানতে চেয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।’
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আরও বেশি দৌড়ঝাঁপ শুরু করছেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের দূরত্ব এখন স্পষ্ট। আলোচনা আছে, সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পশ্চিমা এ দেশটি হঠাৎ আরও ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের মতপার্থক্য ছিল না। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করছে দেশটি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও এ নিয়ে কোনো দ্বিমত করেনি। এরই মধ্যে, ভিসানীতি ঘোষণা করে সরকারকে বড় চাপ দেওয়ার পূর্বাভাস দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি একে অন্যকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। তবে ভিসানীতি যে সরকারের ও আওয়ামী লীগের ওপরই বেশি চাপ তৈরি করেছে, সেটা ভেতরে-বাইরে আলোচনা আছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায় ও কূটনীতি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান পাল্টে নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনে সংবিধানের বাইরে যেতে হবে সরকারকে এমন প্রস্তাব দিতে চলেছে। ওই সূত্রগুলো দাবি করেছে, গত মাসের শেষের দিকে অথবা চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বাসভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পিটার হাস ওই বৈঠকে রাজনৈতিক সমঝোতায় না আসলে সব দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকারের আদলে একটা কিছু করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। তা না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানসম্মত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাব সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও দেওয়া হয়েছে। আনিসুল হকের সঙ্গে শ্রম আইন নিয়েও দীর্ঘ আলাপ করেন এ রাষ্ট্রদূত।
আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, পিটার হাসের ওই প্রস্তাব নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেলে তাতে বড় আপত্তি তোলা হয়। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পাওয়া যাবে না এটা ধরেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরুর বার্তা দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। তারা স্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ক্রমেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। তবে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগিতা করবে ধরে নিয়েই সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পিটার হাস সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও নির্ধারিত-অনির্ধারিত বৈঠক করা শুরু করেছেন। গত সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাষ্ট্রদূতরা সীমা লঙ্ঘন করলে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, পিটার হাসের দৌড়ঝাঁপ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘নাহি ছাড়ি’ অবস্থান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।
সরকারের দুই মন্ত্রীও দেশ রূপান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সরকারের বিপক্ষে যেতে শুরু করেছে। ‘অন্যায় হস্তক্ষেপ’ বেড়েছে পিটার হাসের।
আওয়ামী লীগের কূটনীতিসম্পৃক্ত এক নেতা বলেন, সরকার বিকল্প হিসেবে শক্তিশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করে চলেছে। বিকল্প দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্বাচন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে মাইনাস করে চলার এক ধরনের কৌশল গ্রহণ করা হবে। এ কৌশলে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালাই করা হবে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভিসানীতি মূলত সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ভিসানীতিকে সব গেল বলে ধরে নিয়ে অবস্থান টলমলে করে তুলতে চায়। এরকম অবস্থা আওয়ামী লীগকে একটু চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা যেন সাহস হারিয়ে না ফেলে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করার কৌশল গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমন কথা শোনা যাচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ কি তাদের অবস্থান থেকে সরতে শুরু করবে? আবার প্রশ্নও আছে যে, নির্বাচন কি হবে? জাতীয় সরকার আসবে খুব শিগগিরই, এমন গুঞ্জনও রয়েছে জোরালোভাবে। শুধু তাই নয়, বাতিল হওয়া নির্বাচন পদ্ধতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। যদিও এসবে কোনো ভিত্তি রয়েছে মনে করেন না আওয়ামী লীগ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তারা দাবি করেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। এ ইস্যুতে কোনো শক্তির সঙ্গেই আপস করবেন না আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য ফারুক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, কোনো দেশের চাওয়ায় বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষের চাওয়া অনুযায়ী সংবিধানসম্মতভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, সবার মতো করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বদ্ধপরিকর।
কূটনীতিসম্পৃক্ত আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আরেক নেতা বলেন, দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সরকারের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে মনে করা হলেও সেপ্টেম্বরের আগে পশ্চিমা এ দেশটি তার চূড়ান্ত অবস্থান পরিষ্কার করবে না বলে তারা মনে করছেন। ওই নেতা বলেন, সেপ্টেম্বরে ভারত সফর রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মূলত সেই সফরেই বোঝা যাবে সরকার কোনদিকে যাবে। এ নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের ডিপ্লোম্যাসি (পররাষ্ট্রনীতি) পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি। কূটনীতিতে প্রধানমন্ত্রী দেশি-বিদেশি অনেক নেতাকে ছাড়িয়ে গেছেন। সেই আস্থা-বিশ্বাসও প্রধানমন্ত্রীর ওপর আমাদের রয়েছে।’
এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার হয়ে না ওঠায় সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করতেন, দেশটিকে তারা বোঝাতে পেরেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা প্রমাণ করে না যে, ক্ষমতাধর দেশটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বোঝাপড়া ঠিক আছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি ঘোষণার পরই দেশটির অবস্থান আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে এমন কথা কেউ আর বিশ্বাস করছে না।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমেরিকাকে মাইনাস ধরেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগের চেয়ে বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠায় রাজনীতিতে তারা ‘ব্যাকফুটে’ চলে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমি একটাই বুঝি, একটাই জানি, আগামী নির্বাচন সংবিধানসম্মতভাবেই হবে। এ জায়গা থেকে একটুও নড়বে না সরকার।’
নিজের বিদায়ী ম্যাচ বলেই কিনা জ্বলে উঠলেন সার্জিও রামোস। শুরুতেই পেয়ে যান গোলের দেখা। কিলিয়ান এমবাপ্পে আছেন তার আগের মতোই। তিনিও ডাবল লিড এনে দেন। তবে বিদায়ী ম্যাচে নিষ্প্রভ রইলেন লিওনেল মেসি। তাতেই কিনা শুরুতেই এগিয়ে যাওয়া ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করেছে পিএসজি।
লিগ ওয়ানের শেষ ম্যাচে ক্লেরমো ফুতের সঙ্গে ৩-২ গোলে হেরে গেছে প্যারিসিয়ানরা। তাতে রাঙানোর বদলে বিষাদভরা বিদায় হলো মেসি-রামোসদের।
আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করা পিএসজি মৌসুমে নিজেদের এই শেষ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। হুগো একিতেকে ও আশরাফ হাকিমিকে ফেরান কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
শুরুতে গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটের পর ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২১ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ২-০ গোলে। রামোস ১৬ মিনিটে হেড থেকে এবং তার ৫ মিনিট পর কিলিয়ান এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্লেরম ফুতের পাল্টা লড়াই শুরু করতে সময় নিয়েছে মাত্র ৩ মিনিট। ২৪ মিনিটে গোল করেন ক্লেরমঁর গাস্তিয়েন। এর প্রায় ১২ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেরমঁ স্ট্রাইকার কেয়ি। পরে অবশ্য ৬৩ মিনিটে তাঁর গোলেই জিতেছে ক্লেরমঁ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ক্লেরমঁর হয়ে সমতাসূচক গোলটি জেফানের।
বিরতির পর গোলের দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৫৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এমবাপ্পে ঢুকে পড়েন ক্লেরমঁর বিপদসীমায়। তাঁর ক্রস পেয়ে যান ডান প্রান্ত দিয়ে দৌড় বক্সে ঢোকা মেসি। সামনে গোলকিপার একা, কিন্তু মেসি অবিশ্বাস্যভাবে বলটা পোস্টের ওপর দিয়ে মারেন।
সতীর্থ গোলকিপার সের্হিও রিকোর সুস্থতা কামনা করে বিশেষ জার্সি পরে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি-এমবাপ্পেরা। ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন রিকো। ম্যাচে বিশেষ জার্সি পরে খেলেছে পিএসজি। মেসি-রামোসদের জার্সির পেছনে রিকোর নাম লেখা ছিল।
৩৮ ম্যাচে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে মৌসুম শেষ করল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লেঁস। তৃতীয় মার্শেইয়ের সংগ্রহ ৭৩ পয়েন্ট। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ইউরোপা লিগ নিশ্চিত করা রেঁনে।