কিংবদন্তি বাংলা রকস্টার আইয়ুব বাচ্চু আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৩৯
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে এই রকস্টারের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়, আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর বহুদিনের ঘনিষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মইনুদ্দিন রাশেদ জানিয়েছেন, তার সহকারী সকালে মগবাজারের বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আইয়ুব বাচ্চুর ভাই এরফান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি তার মগবাজারের বাসায় একাই থাকতেন।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর কারণ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়নি। তবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে তার সতীর্থ শিল্পী, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করে আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চট্টগ্রাম শহরে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আইয়ুব বাচ্চু একই সাথে গায়ক ও লিড গিটারিস্ট হিসেবে বহু মানুষের প্রিয় শিল্পী। বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় করে তুলতে যাদের ভূমিকা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চু তাদের একজন।
১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তার প্রফেশনাল মিউজিক ক্যারিয়ারের শুরু। ৯০ এর দশকের শুরুতে তিনি তার নিজের ব্যান্ড এলআরবি প্রতিষ্ঠা করেন। এরআগে তিনি আর এক জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস এর সাথেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন।
আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে ‘ফেরারী এই মনটা আমার’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘চল বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’, ‘সেই তারা ভরা রাতে’র মত বহু গান শ্রোতাদের হৃদয়ে বাজবে বহুদিন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৩৯

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে এই রকস্টারের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
সকাল সোয়া ৯টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়, আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর বহুদিনের ঘনিষ্ঠ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার মইনুদ্দিন রাশেদ জানিয়েছেন, তার সহকারী সকালে মগবাজারের বাসায় গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। এর পর তারা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
আইয়ুব বাচ্চুর ভাই এরফান চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি তার মগবাজারের বাসায় একাই থাকতেন।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর কারণ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়নি। তবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।
আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে তার সতীর্থ শিল্পী, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভিড় করে আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চট্টগ্রাম শহরে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
আইয়ুব বাচ্চু একই সাথে গায়ক ও লিড গিটারিস্ট হিসেবে বহু মানুষের প্রিয় শিল্পী। বাংলাদেশে ব্যান্ড সঙ্গীত জনপ্রিয় করে তুলতে যাদের ভূমিকা রয়েছে আইয়ুব বাচ্চু তাদের একজন।
১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তার প্রফেশনাল মিউজিক ক্যারিয়ারের শুরু। ৯০ এর দশকের শুরুতে তিনি তার নিজের ব্যান্ড এলআরবি প্রতিষ্ঠা করেন। এরআগে তিনি আর এক জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস এর সাথেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন।
আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে ‘ফেরারী এই মনটা আমার’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘একদিন ঘুমভাঙা শহরে’, ‘চল বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হাসতে দেখ গাইতে দেখ’, ‘সেই তারা ভরা রাতে’র মত বহু গান শ্রোতাদের হৃদয়ে বাজবে বহুদিন।