২০০ বছরের পুরনো অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১২
‘মনিকর্নিকা- দ্য কুইন অব ঝাঁসি’ চলচ্চিত্রে কঙ্গনা রনৌত। ছবি: ফেসবুক থেকে
ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ‘মনিকর্নিকা- দ্য কুইন অব ঝাঁসি’র টিজার মুক্তি পেয়েছে কিছুদিন আগে। সেই ভিডিওতে স্থান পাওয়া অ্যাকশন দৃশ্য দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। এমনও বলা হচ্ছে, ভারতীয় সিনেমার সেরা কিছু অ্যাকশন ও যুদ্ধের দৃশ্য দেখা যাবে সিনেমাটিতে।
কইমই ডটকমের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, দৃশ্যগুলো নিখুঁত করার জন্য নির্মাতাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বাস্তবের সঙ্গে মিল রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮৫৭ সালের যুদ্ধাস্ত্র।
‘মনিকর্নিকা’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাকশন ডিরেক্টর নিক পাওয়েল। যুদ্ধের দৃশ্যের জন্য তিনি ১ হাজারের বেশি শিল্পীর অডিশন নেন। প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নেন ২০০ জনকে। পরে আরও ২০০ অভিনেতাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহৃত ঘোড়াগুলোকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ওই টিমকে প্রস্তুত করতে ৪ মাস সময় লাগে।
সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। তিনি সত্যিকারের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের এক গুলির ক্যাপলক পিস্তল ও ক্যাভালরি রাইফেল।
অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে কঙ্গনা বলেন, “ওই সময় রাইফেল লোকজনের কাছে একদমই নতুন ছিল। অল্প কিছু লোক ব্যবহার করত। ব্রিটিশ আর্মি তখন ব্যবহার করত রাইফেল, লক্ষ্মীবাঈয়ের পছন্দ ছিল তরোয়াল।”
আরও জানান, সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে ১৮৫৭ সালের অস্ত্র। ১৫০-২০০ বছরের পুরনো এসব অস্ত্র দেখে তিনি খুবই মুগ্ধ হয়েছেন।
‘মনিকর্নিকা’য় ব্যবহৃত বর্মের ওজন ছিল ৫ কেজি। অভিনেতাদের প্রস্তুতি শুরু হতো সকাল ৩টা থেকে। তাদের সময় লাগত ৬-৭ ঘণ্টা। সে কারণে দিনে মাত্র এক বা দুটি দৃশ্যের ধারণ হতো।
চলতি মাসেই ‘মনিকর্নিকা’র ট্রেলার প্রকাশ হবে। আর বড়পর্দায় মুক্তি পাবে জানুয়ারিতে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:১২

ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত ‘মনিকর্নিকা- দ্য কুইন অব ঝাঁসি’র টিজার মুক্তি পেয়েছে কিছুদিন আগে। সেই ভিডিওতে স্থান পাওয়া অ্যাকশন দৃশ্য দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। এমনও বলা হচ্ছে, ভারতীয় সিনেমার সেরা কিছু অ্যাকশন ও যুদ্ধের দৃশ্য দেখা যাবে সিনেমাটিতে।
কইমই ডটকমের একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, দৃশ্যগুলো নিখুঁত করার জন্য নির্মাতাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। বাস্তবের সঙ্গে মিল রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮৫৭ সালের যুদ্ধাস্ত্র।
‘মনিকর্নিকা’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাকশন ডিরেক্টর নিক পাওয়েল। যুদ্ধের দৃশ্যের জন্য তিনি ১ হাজারের বেশি শিল্পীর অডিশন নেন। প্রশিক্ষণের জন্য বেছে নেন ২০০ জনকে। পরে আরও ২০০ অভিনেতাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহৃত ঘোড়াগুলোকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে ওই টিমকে প্রস্তুত করতে ৪ মাস সময় লাগে।
সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। তিনি সত্যিকারের অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৫৭ সালের এক গুলির ক্যাপলক পিস্তল ও ক্যাভালরি রাইফেল।
অ্যাকশন দৃশ্য নিয়ে কঙ্গনা বলেন, “ওই সময় রাইফেল লোকজনের কাছে একদমই নতুন ছিল। অল্প কিছু লোক ব্যবহার করত। ব্রিটিশ আর্মি তখন ব্যবহার করত রাইফেল, লক্ষ্মীবাঈয়ের পছন্দ ছিল তরোয়াল।”
আরও জানান, সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে ১৮৫৭ সালের অস্ত্র। ১৫০-২০০ বছরের পুরনো এসব অস্ত্র দেখে তিনি খুবই মুগ্ধ হয়েছেন।
‘মনিকর্নিকা’য় ব্যবহৃত বর্মের ওজন ছিল ৫ কেজি। অভিনেতাদের প্রস্তুতি শুরু হতো সকাল ৩টা থেকে। তাদের সময় লাগত ৬-৭ ঘণ্টা। সে কারণে দিনে মাত্র এক বা দুটি দৃশ্যের ধারণ হতো।
চলতি মাসেই ‘মনিকর্নিকা’র ট্রেলার প্রকাশ হবে। আর বড়পর্দায় মুক্তি পাবে জানুয়ারিতে।