বরেণ্য নির্মাতা আমজাদ হোসেন আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৫৬
ছবি: নূর
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫৭ মিনেটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল দেশ রূপান্তরকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, “দেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ব্যাংককে তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান আছেন। এখন মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা জানাব মরদেহ কবে দেশে আনা হবে।”
১৮ নভেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। শুরু থেকে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
এই নির্মাতার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয়।
আমজাদ হোসেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখেন। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে’র (১৯৮৪) মতো কালজয়ী সিনেমা নির্মাণ করে প্রশংসিত হন।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
তার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৬:৫৬
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫৭ মিনেটে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল দেশ রূপান্তরকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য ভক্ত।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, “দেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। ব্যাংককে তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান আছেন। এখন মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা জানাব মরদেহ কবে দেশে আনা হবে।”
১৮ নভেম্বর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। শুরু থেকে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
এই নির্মাতার শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয়।
আমজাদ হোসেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক ও লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে বড়পর্দায় পা রাখেন। পরবর্তীতে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন।
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে’র (১৯৮৪) মতো কালজয়ী সিনেমা নির্মাণ করে প্রশংসিত হন।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
তার জন্ম ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট জামালপুরে।