আরও দুই কিস্তিতে জয়া আহসান
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৫০
‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রে পদ্মা চরিত্রে জয়া আহসান। ছবি: ওপেরা মুভিজ
কলকাতার ‘বিসর্জন’ সিনেমায় পদ্মা চরিত্রে অভিনয় করে সফল জয়া আহসান। সিনেমাটির সিক্যুয়াল ৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে, একই সময় বাংলাদেশের দর্শকরা দেখতে পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এবার পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি জানালেন, এখানেই শেষ হচ্ছে না পদ্মার গল্প। আরও দুই কিস্তিতে তিনি সেই কাহিনি দেখাতে চান।
সিনেমাটিতে জয়ার বিপরীতে নাসির আলী ও গণেশ মণ্ডল চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে আবির চ্যাটার্জি ও কৌশিক গাঙ্গুলি।
সম্প্রতি কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা শোনালেন কৌশিক। ‘বিসর্জন’-এর ট্রিলজি বানানোর কথা ভাবছেন বলে শুনছি?
এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আসলে ‘বিসর্জন’-এর চারটি পার্ট আছে। ‘বিজয়া’র পরেও চমৎকার একটা গল্প রয়েছে, যেটা পুরোটাই বাংলাদেশে হবে। সেখানে যারা বেঁচে থাকবে সেই সব চরিত্ররাও থাকবে। তবে নামধাম ঠিক নেই। আশা করছি, এক বছর পরে করব।”
কৌশিক আরও বলেন, “লোকে সাহিত্যনির্ভর ফ্র্যাঞ্চাইজি করে, আমি ভাবলাম নিজের তৈরি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি করব! ‘বিসর্জন’ একটা দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য পেয়েছিল বলে আমাদের সাহসটাও বেড়ে গিয়েছিল ‘বিজয়া’য় বাকি গল্পটা বলার। ইছামতীর ধারে যে চরিত্রগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারা এমন সুন্দর করে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল যে, মনে হলো যেন আমারই সন্তানরা ফিরে এসেছে। তাদের সঙ্গে কোথাও একাত্ম হয়ে গিয়েছি।”
চতুর্থ কিস্তি প্রসঙ্গে বলেন, “বিসর্জন’-এ নাসির আলীকে এক দিন সকালে ওই গ্রামে পাওয়া, তার আগে পদ্মার ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে আসা গণেশ মণ্ডলের সঙ্গে তার আলাপ- এগুলো কী করে হলো, সেটা বলার জন্য একটা প্রিক্যুয়ালও আছে। তবে পুরোটাই দর্শক কতটা আমাদের ভালোবাসা দিচ্ছেন, তার নিরিখে হবে।”
নাসির আলীর সঙ্গে পদ্মাকে মিলিয়ে দিতেই হতো? “এই উত্তরটা দিলে কেউ আর ছবি দেখবে না! তবে নাসির আলী আর পদ্মা তো মিলিত হতেই চায়। দর্শকও কিছুতেই চান না, পদ্মা গণেশ মণ্ডলের হাতেই পড়ে থাকুক! যদিও গণেশ মণ্ডলকে দর্শক অগাধ ভালোবাসা দিয়েছেন। কিন্তু সে দুষ্টু না ভালো লোক, সেটা ‘বিসর্জন’-এ হয়তো দর্শক বুঝতে পারেননি। ‘বিজয়া’তে বুঝতে পারবেন।” হাসতে হাসতে বলেন কৌশিক।
২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘বিসর্জন’। মুক্তির আগে জয় করে নেয় সেরা বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের ৬৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জয়া অর্জন করেন জি সিনে ও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক স্বীকৃতি।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১২:৫০

কলকাতার ‘বিসর্জন’ সিনেমায় পদ্মা চরিত্রে অভিনয় করে সফল জয়া আহসান। সিনেমাটির সিক্যুয়াল ৪ জানুয়ারি মুক্তি পাবে, একই সময় বাংলাদেশের দর্শকরা দেখতে পাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এবার পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি জানালেন, এখানেই শেষ হচ্ছে না পদ্মার গল্প। আরও দুই কিস্তিতে তিনি সেই কাহিনি দেখাতে চান।
সিনেমাটিতে জয়ার বিপরীতে নাসির আলী ও গণেশ মণ্ডল চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে আবির চ্যাটার্জি ও কৌশিক গাঙ্গুলি।
সম্প্রতি কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা শোনালেন কৌশিক। ‘বিসর্জন’-এর ট্রিলজি বানানোর কথা ভাবছেন বলে শুনছি?
এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আসলে ‘বিসর্জন’-এর চারটি পার্ট আছে। ‘বিজয়া’র পরেও চমৎকার একটা গল্প রয়েছে, যেটা পুরোটাই বাংলাদেশে হবে। সেখানে যারা বেঁচে থাকবে সেই সব চরিত্ররাও থাকবে। তবে নামধাম ঠিক নেই। আশা করছি, এক বছর পরে করব।”
কৌশিক আরও বলেন, “লোকে সাহিত্যনির্ভর ফ্র্যাঞ্চাইজি করে, আমি ভাবলাম নিজের তৈরি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি করব! ‘বিসর্জন’ একটা দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য পেয়েছিল বলে আমাদের সাহসটাও বেড়ে গিয়েছিল ‘বিজয়া’য় বাকি গল্পটা বলার। ইছামতীর ধারে যে চরিত্রগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল, তারা এমন সুন্দর করে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল যে, মনে হলো যেন আমারই সন্তানরা ফিরে এসেছে। তাদের সঙ্গে কোথাও একাত্ম হয়ে গিয়েছি।”
চতুর্থ কিস্তি প্রসঙ্গে বলেন, “বিসর্জন’-এ নাসির আলীকে এক দিন সকালে ওই গ্রামে পাওয়া, তার আগে পদ্মার ওই গ্রামে বিয়ে হয়ে আসা গণেশ মণ্ডলের সঙ্গে তার আলাপ- এগুলো কী করে হলো, সেটা বলার জন্য একটা প্রিক্যুয়ালও আছে। তবে পুরোটাই দর্শক কতটা আমাদের ভালোবাসা দিচ্ছেন, তার নিরিখে হবে।”
নাসির আলীর সঙ্গে পদ্মাকে মিলিয়ে দিতেই হতো? “এই উত্তরটা দিলে কেউ আর ছবি দেখবে না! তবে নাসির আলী আর পদ্মা তো মিলিত হতেই চায়। দর্শকও কিছুতেই চান না, পদ্মা গণেশ মণ্ডলের হাতেই পড়ে থাকুক! যদিও গণেশ মণ্ডলকে দর্শক অগাধ ভালোবাসা দিয়েছেন। কিন্তু সে দুষ্টু না ভালো লোক, সেটা ‘বিসর্জন’-এ হয়তো দর্শক বুঝতে পারেননি। ‘বিজয়া’তে বুঝতে পারবেন।” হাসতে হাসতে বলেন কৌশিক।
২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল মুক্তি পায় ‘বিসর্জন’। মুক্তির আগে জয় করে নেয় সেরা বাংলা চলচ্চিত্র বিভাগে ভারতের ৬৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। জয়া অর্জন করেন জি সিনে ও ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ একাধিক স্বীকৃতি।