‘চুটিয়ে প্রেম করছি’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৪৪
ঢাকাই ছবির সম্ভাবনাময়ী নায়িকা অমৃতা খান সাম্প্রতিক কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন দেশ রূপান্তরের সঙ্গে।
ঢাকাই ছবির সম্ভাবনাময়ী নায়িকা অমৃতা খান। পড়ালেখাজনিত বিরতি শেষে আবারো ফিরেছেন অভিনয়ে। সাম্প্রতিক কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন দেশ রূপান্তরের সঙ্গে। লিখেছেন সুদীপ্ত সাইদ খান। ছবি তুলেছেন নূর।
অমৃতা খানের শুরুটা খুব ছোটবেলায়। বলা যায়, খেলতে খেলতেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৭ কি ৮ বছর বয়সে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, টিভিসির শুটিংয়ে। শিশুশিল্পীর পাট চুকিয়ে ২০১৫ সালে অমৃতা হাজির হন চিত্রনায়িকা হিসেবে। রয়েল-অনিক পরিচালিত ‘গেম’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর ‘গুন্ডা-দ্য টেররিস্ট’, ‘পাগলা দিওয়ানা’ ছবি মুক্তি পায়। সর্বশেষ অমৃতা অভিনয় করেন ‘ময়না পাখির সংসার’ ছবিতে। কাজ শেষ হলেও প্রযোজকের হঠাৎ মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ছবিটির মুক্তি। অপরদিকে অমৃতা খানও পড়ালেখার কারণে মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন প্রায় দেড় বছর। এ বছরের মাঝামাঝিতে আবারও ফেরেন অভিনয়ে। অভিনয় করেন ‘ও মাই লাভ’ ছবিতে। দীর্ঘ বিরতিতে ছেদ ঘটালেও অনিয়মিতই রয়ে গেছেন অমৃতা। তবে তিনি জানালেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করার কথা চলছে। নির্বাচনের পরে পুরোদমে কাজ শুরু করবেন তিনি। তার আগে নিজেকে আরেকটু ফিট করে নেবেন অমৃতা। কারণ দীর্ঘদিন শরীরচর্চা না করায় বেশ মুটিয়ে গেছেন তিনি। শিগগিরই স্লিম হয়ে ফিরবেন বলেও জানালেন অমৃতা, ‘প্রতিদিনই জিম করছি । ডায়েটও করছি। এক মাস পরে আশা করছি একটা রেজাল্ট পাব।’
এবার আর শুধু শুধু ফেরা নয়, একেবারে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামবেন তিনি। জানালেন কাজ নিয়ে নিজের পরিকল্পনাও, ‘আমি কাজের মানুষ কাজ তো করবই এবং চেষ্টা করব ভালো কাজ করার। আমার ভক্তরা আমাকে ভালো মানের কোয়ালিটি ফিল্মগুলাতে দেখতে চায়। তাই দর্শকদের কথা মাথায় রেখে কাজ করব।’
এদিকে মাস খানিক আগে এ নায়িকা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রয়েল খান পরিচালিত ‘সমসাময়িক’ ছবিতে। এই ছবির কাজও শুরু হবে আগামী বছরে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সাল থেকে অমৃতাকে আবারও নিয়মিত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে দেখা যাবে। ‘সমসাময়িক’ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে অমৃতা বলেন, ‘আমার প্রথম ছবির পরিচালক রয়েল খানের সঙ্গে আবারও কাজ করতে যাচ্ছি। সত্যিই ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে ছবিটি গতানুগতিক নয়। এতে ভিন্ন এক অমৃতাকে দেখবে দর্শক।’
খুব ছোটবেলায় কাজ শুরু করায় অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি অমৃতা। সে কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, খুব ছোটবেলায় এসেছি। আগে মিডিয়াতে না বুঝেই এগিয়েছি। বলতে পারেন কোনো কিছু না বুঝেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম। তখন আমাকে গাইড করার মতোও কেউ ছিল না। ফলে না বুঝেই অনেক ভালো ভালো ছবির অফার যেমন ছেড়ে দিয়েছি তেমনি দু-একটা নিম্নমানের ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। এখন মোটামুটি বুঝি। বলতে পারেন এখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক (হাসি)। এখন যেটা উপলব্ধি করলাম যে এইখানে আসলে কাজটাই ইমপোরট্যান্ট। অনেকেই আলোচনায় আসার জন্য ভাইরাল হয় কিন্তু সেইটা ২দিনের ক্যারিয়ার । এইখানে টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে এবং কাজ করতে হবে । টিকে থাকতে হলে আস্তে ধীরে বুঝে শুনে এগিয়ে যেতে হবে। আর খুব ধৈর্য থাকতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। ফলে নিজেকে সেভাবে তৈরি করেই আ বারো শোবিজে ফিরব।’
এখনকার নায়িকারা নাকি টাকার পেছনেই বেশি ছুটছেন, অমৃতাও কি টাকার জন্যই মিডিয়ায় এসেছেন নাকি খ্যাতির জন্য? অমৃতা উত্তর দিলেন খুব মজা করে। বললেন, ‘টাকার জন্য। হা হা হা। আসলে সিনেমায় আসার পেছনে তেমন কোনো কারণ নেই। বলতে পারেন পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু কাজ করতে হবে। আর আমি তো জিম করি, শরীর চর্চা করি এগুলোর জন্য প্রচুর খরচ হয়। বাবা মা তো পড়ালেখার খরচ দেয় ভাবলাম অভিনয় করে বাড়তি টাকা আয় করে নিজের জন্য এসব করব। হা হা হা। মূল ঘটনা হচ্ছে আমাদের পুরো পরিবারই কিন্তু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। আমার চাচা ছিলেন খালেদ খান। তাঁকে মঞ্চের যুবরাজ বলা হয়। আমার এক কাজিনও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমার চাচি মিতা হক রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বলতে পারেন আমার পরিবারের সবাই কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত এবং নাটকের ঘরানার মধ্যেই আছেন। আমাদের পরিবারে ফিল্মের কেউ নেই। আমি ভাবলাম পরিবারের পক্ষ থেকে ফিল্মের প্রতিনিধিত্ব করা যায় কিনা, সেই চিন্তা থেকেই সিনেমায় আসা।
শোবিজে কাজ করার ব্যাপারে ফ্যামিলির বাধা নেই তো? অমৃতার সাফ জবাব, ‘না। তবে পরিবার চায় ভালো কাজ করি এবং নিজের সম্মান যেন রাখি। আমার কোনো কাজে যেন আমার পরিবারকে ছোট হতে না হয়।’
মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে নানা গুঞ্জনের মুখোমুখি হতে হয় নায়িকাদের। অমৃতাও এর বাইরে নন। গুঞ্জন রয়েছে অমৃতা চুটিয়ে প্রেম করছেন। জানতে চাইলাম- ঘটনা কি সত্যি? স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিলেন অমৃতা ‘হ্যাঁ, আমি চুটিয়ে প্রেম করছি তবে মানুষ এর সঙ্গে না কাজের সঙ্গে। হা হা হা।’
চারদিকে তো বিয়ের ধুম পড়ে গেছে। অমৃতার বিয়ে কবে? ‘হ্যাঁ বিয়ে তো করতে হবে। আমার পছন্দমতো ছেলে পেলেই বিয়েটা করে ফেলব। ক্যারিয়ারটা আরও সাকসেস হলে ৩ থেকে ৪ বছর পরেই বিয়ে করব। ব্যবসায়ী অথবা পাইলট ছেলে আমার পছন্দ।’
অমৃতার প্রিয় নায়কের তালিকায় রয়েছেন রিয়াজ, সালমান শাহ। সালমানকে ঘিরে অমৃতার রয়েছে আফসোসও। অমৃতা বলেন, ‘সালমান শাহ’র স্টাইলে আমি মুগ্ধ। সালমানের ছবি যখন দেখি তখন মনে হয় ইস! তিনি যদি এখনো বেঁচে থাকতেন, এখনো যদি অভিনয় করতেন তাহলে আমিও তার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম।’ এ ছাড়া প্রিয় নায়কের তালিকায় রয়েছে আরিফিন শুভর নামও।
অমৃতার ভালো লাগে বনে জঙ্গলে ঘুরতে। অমৃতা বলেন, ‘বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে আমার ভালো লাগে। দেশের নানা স্থানে তো ঘুরেছিই, দেশের বাইরেও বেশ কিছু দেশে ভ্রমণ করেছি। আমাজন বন, অ্যান্টার্কটিকাসহ নানা জায়গায় গিয়েছি।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৭:৪৪

ঢাকাই ছবির সম্ভাবনাময়ী নায়িকা অমৃতা খান। পড়ালেখাজনিত বিরতি শেষে আবারো ফিরেছেন অভিনয়ে। সাম্প্রতিক কাজ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বললেন দেশ রূপান্তরের সঙ্গে। লিখেছেন সুদীপ্ত সাইদ খান। ছবি তুলেছেন নূর।
অমৃতা খানের শুরুটা খুব ছোটবেলায়। বলা যায়, খেলতে খেলতেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ৭ কি ৮ বছর বয়সে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, টিভিসির শুটিংয়ে। শিশুশিল্পীর পাট চুকিয়ে ২০১৫ সালে অমৃতা হাজির হন চিত্রনায়িকা হিসেবে। রয়েল-অনিক পরিচালিত ‘গেম’ ছবি দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর ‘গুন্ডা-দ্য টেররিস্ট’, ‘পাগলা দিওয়ানা’ ছবি মুক্তি পায়। সর্বশেষ অমৃতা অভিনয় করেন ‘ময়না পাখির সংসার’ ছবিতে। কাজ শেষ হলেও প্রযোজকের হঠাৎ মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ছবিটির মুক্তি। অপরদিকে অমৃতা খানও পড়ালেখার কারণে মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন প্রায় দেড় বছর। এ বছরের মাঝামাঝিতে আবারও ফেরেন অভিনয়ে। অভিনয় করেন ‘ও মাই লাভ’ ছবিতে। দীর্ঘ বিরতিতে ছেদ ঘটালেও অনিয়মিতই রয়ে গেছেন অমৃতা। তবে তিনি জানালেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করার কথা চলছে। নির্বাচনের পরে পুরোদমে কাজ শুরু করবেন তিনি। তার আগে নিজেকে আরেকটু ফিট করে নেবেন অমৃতা। কারণ দীর্ঘদিন শরীরচর্চা না করায় বেশ মুটিয়ে গেছেন তিনি। শিগগিরই স্লিম হয়ে ফিরবেন বলেও জানালেন অমৃতা, ‘প্রতিদিনই জিম করছি । ডায়েটও করছি। এক মাস পরে আশা করছি একটা রেজাল্ট পাব।’

এবার আর শুধু শুধু ফেরা নয়, একেবারে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামবেন তিনি। জানালেন কাজ নিয়ে নিজের পরিকল্পনাও, ‘আমি কাজের মানুষ কাজ তো করবই এবং চেষ্টা করব ভালো কাজ করার। আমার ভক্তরা আমাকে ভালো মানের কোয়ালিটি ফিল্মগুলাতে দেখতে চায়। তাই দর্শকদের কথা মাথায় রেখে কাজ করব।’
এদিকে মাস খানিক আগে এ নায়িকা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রয়েল খান পরিচালিত ‘সমসাময়িক’ ছবিতে। এই ছবির কাজও শুরু হবে আগামী বছরে। সব মিলিয়ে ২০১৯ সাল থেকে অমৃতাকে আবারও নিয়মিত ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে দেখা যাবে। ‘সমসাময়িক’ ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে অমৃতা বলেন, ‘আমার প্রথম ছবির পরিচালক রয়েল খানের সঙ্গে আবারও কাজ করতে যাচ্ছি। সত্যিই ভালো লাগছে। সবচেয়ে বড়কথা হচ্ছে ছবিটি গতানুগতিক নয়। এতে ভিন্ন এক অমৃতাকে দেখবে দর্শক।’

খুব ছোটবেলায় কাজ শুরু করায় অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি অমৃতা। সে কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, খুব ছোটবেলায় এসেছি। আগে মিডিয়াতে না বুঝেই এগিয়েছি। বলতে পারেন কোনো কিছু না বুঝেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলাম। তখন আমাকে গাইড করার মতোও কেউ ছিল না। ফলে না বুঝেই অনেক ভালো ভালো ছবির অফার যেমন ছেড়ে দিয়েছি তেমনি দু-একটা নিম্নমানের ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। এখন মোটামুটি বুঝি। বলতে পারেন এখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক (হাসি)। এখন যেটা উপলব্ধি করলাম যে এইখানে আসলে কাজটাই ইমপোরট্যান্ট। অনেকেই আলোচনায় আসার জন্য ভাইরাল হয় কিন্তু সেইটা ২দিনের ক্যারিয়ার । এইখানে টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে এবং কাজ করতে হবে । টিকে থাকতে হলে আস্তে ধীরে বুঝে শুনে এগিয়ে যেতে হবে। আর খুব ধৈর্য থাকতে হবে। ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। ফলে নিজেকে সেভাবে তৈরি করেই আ বারো শোবিজে ফিরব।’

এখনকার নায়িকারা নাকি টাকার পেছনেই বেশি ছুটছেন, অমৃতাও কি টাকার জন্যই মিডিয়ায় এসেছেন নাকি খ্যাতির জন্য? অমৃতা উত্তর দিলেন খুব মজা করে। বললেন, ‘টাকার জন্য। হা হা হা। আসলে সিনেমায় আসার পেছনে তেমন কোনো কারণ নেই। বলতে পারেন পড়ালেখার পাশাপাশি কিছু কাজ করতে হবে। আর আমি তো জিম করি, শরীর চর্চা করি এগুলোর জন্য প্রচুর খরচ হয়। বাবা মা তো পড়ালেখার খরচ দেয় ভাবলাম অভিনয় করে বাড়তি টাকা আয় করে নিজের জন্য এসব করব। হা হা হা। মূল ঘটনা হচ্ছে আমাদের পুরো পরিবারই কিন্তু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত। আমার চাচা ছিলেন খালেদ খান। তাঁকে মঞ্চের যুবরাজ বলা হয়। আমার এক কাজিনও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। আমার চাচি মিতা হক রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। বলতে পারেন আমার পরিবারের সবাই কিন্তু রবীন্দ্র সংগীত এবং নাটকের ঘরানার মধ্যেই আছেন। আমাদের পরিবারে ফিল্মের কেউ নেই। আমি ভাবলাম পরিবারের পক্ষ থেকে ফিল্মের প্রতিনিধিত্ব করা যায় কিনা, সেই চিন্তা থেকেই সিনেমায় আসা।
শোবিজে কাজ করার ব্যাপারে ফ্যামিলির বাধা নেই তো? অমৃতার সাফ জবাব, ‘না। তবে পরিবার চায় ভালো কাজ করি এবং নিজের সম্মান যেন রাখি। আমার কোনো কাজে যেন আমার পরিবারকে ছোট হতে না হয়।’

মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে নানা গুঞ্জনের মুখোমুখি হতে হয় নায়িকাদের। অমৃতাও এর বাইরে নন। গুঞ্জন রয়েছে অমৃতা চুটিয়ে প্রেম করছেন। জানতে চাইলাম- ঘটনা কি সত্যি? স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিলেন অমৃতা ‘হ্যাঁ, আমি চুটিয়ে প্রেম করছি তবে মানুষ এর সঙ্গে না কাজের সঙ্গে। হা হা হা।’
চারদিকে তো বিয়ের ধুম পড়ে গেছে। অমৃতার বিয়ে কবে? ‘হ্যাঁ বিয়ে তো করতে হবে। আমার পছন্দমতো ছেলে পেলেই বিয়েটা করে ফেলব। ক্যারিয়ারটা আরও সাকসেস হলে ৩ থেকে ৪ বছর পরেই বিয়ে করব। ব্যবসায়ী অথবা পাইলট ছেলে আমার পছন্দ।’
অমৃতার প্রিয় নায়কের তালিকায় রয়েছেন রিয়াজ, সালমান শাহ। সালমানকে ঘিরে অমৃতার রয়েছে আফসোসও। অমৃতা বলেন, ‘সালমান শাহ’র স্টাইলে আমি মুগ্ধ। সালমানের ছবি যখন দেখি তখন মনে হয় ইস! তিনি যদি এখনো বেঁচে থাকতেন, এখনো যদি অভিনয় করতেন তাহলে আমিও তার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম।’ এ ছাড়া প্রিয় নায়কের তালিকায় রয়েছে আরিফিন শুভর নামও।

অমৃতার ভালো লাগে বনে জঙ্গলে ঘুরতে। অমৃতা বলেন, ‘বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে আমার ভালো লাগে। দেশের নানা স্থানে তো ঘুরেছিই, দেশের বাইরেও বেশ কিছু দেশে ভ্রমণ করেছি। আমাজন বন, অ্যান্টার্কটিকাসহ নানা জায়গায় গিয়েছি।’