হইচই-এ ‘একাত্তরে’র প্রদর্শন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ২২:৩৬
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’ । শিবব্রত বর্ম চিত্রনাট্যে থ্রিলার ঘরানার সিরিজটি পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। সিরিজটি বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট হইচই-এ দেখা যাচ্ছে।
‘একাত্তর’-এ অভিনয় করেছেন মুস্তাফা মনোয়ার, ইরেশ যাকের, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তারিক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, দীপান্বিতা মার্টিন।
‘একাত্তর’র কাহিনির সূচনা হয় ১৯৭১ সালের শুরুতে, যখন আন্দোলনে পুরো দেশ। এ দেশের মানুষেদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে করতে ‘অপারেশন ব্লিটজ’ নামে একটি অপারেশনের প্ল্যান করে পাকিস্তান আর্মি। ক্যাপ্টেন সিরাজ নামের (মোস্তাফিজুর নূর ইমরান) এক বাঙালি অফিসার গোপনে সেই ফাইল জোগাড় করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিতে চায়। তার পেছনে ধাওয়া করে পাকিস্তানি মেজর ওয়াসিম (ইরেশ যাকের)। এ সময় ক্যাপ্টেন সিরাজ জীবন বাঁচাতে সেলিমের (মুস্তাফা মনোয়ার) গ্যারেজে আশ্রয় নেয়। ফাইলটি গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছাতে ক্যাপ্টেন সিরাজ মেজর ওয়াসিমের স্ত্রী সাংবাদিক রুহি বাট (মিথিলা) এর সাহায্য চায়। রুহি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সেলিমের সঙ্গে জয়িতা (তিশা), প্রদীপ (শতাব্দী ওয়াদুদ) এবং অন্যান্যরা ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এমনই এক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘একাত্তর’।
একাত্তর ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে ইরেশ যাকের বলেন, ‘নানা ব্যস্ততার কারণে প্রায় এক বছর আমি কাজ থেকে দূরে ছিলাম। তারপর আমি তানিমের কাছ থেকে এই কাজটার প্রস্তাব পাই। ও আমাকে Stranger in my own country বইটা তখন পড়তে দেয়। এই অ্যাপ্রোচ এখনকার যেকোনো ডিরেক্টর থেকে পাওয়া আসলেই বিরল। পুরো টিম অনেক পরিশ্রম করেছে এই কাজটা সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য। কারও চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল না।’
মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ‘এই পুরো টিমটাই আসলে আমার জন্য খুব কম্ফোর্টেবল। তানিমের সঙ্গে খুবই রিলাক্স হয়ে আমি কাজটা করতে পেরেছি। স্ক্রিপ্টটা যখন প্রথম হাতে পাই তখনই আমি খুব খুশি হই যে এ রকম একটা ক্যারেক্টারের জন্য তানিম আমার ওপর আস্থা রেখেছে। পুরো ক্যারেক্টারটা শুরু থেকে শেষ অব্দি নানান ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।খুবই উপভোগ করেছি আমি চরিত্রটা।’
মোস্তাফিজুর নূর ইমরান বলেন, ‘একটি কাজ তখনই ভালো হয় যখন ভালো কাহিনি এবং ভালো বাহিনী এই দুইয়ের সম্মিলন ঘটে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হয় প্রোফেশনালিজম এবং অনারের। হইচই এবং এই টিমের সঙ্গে আমার একাধারে কয়েকটি কাজের পেছনের মূল কারণ আসলে এটাই। এই সবগুলোই এই টিমের মধ্যে আছে। হইচইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই চমৎকার কাজটির জন্য। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দিতে চাই পরিচালক তানিম নূরকে। তার সঙ্গে এত কম্ফোর্টেবলি কাজ করতে পেরেছি বলেই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার জন্য সহজ হয়েছে।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ২২:৩৬

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত ওয়েব সিরিজ ‘একাত্তর’ । শিবব্রত বর্ম চিত্রনাট্যে থ্রিলার ঘরানার সিরিজটি পরিচালনা করেছেন তানিম নূর। সিরিজটি বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট হইচই-এ দেখা যাচ্ছে।
‘একাত্তর’-এ অভিনয় করেছেন মুস্তাফা মনোয়ার, ইরেশ যাকের, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরান, তারিক আনাম খান, শতাব্দী ওয়াদুদ, দীপান্বিতা মার্টিন।
‘একাত্তর’র কাহিনির সূচনা হয় ১৯৭১ সালের শুরুতে, যখন আন্দোলনে পুরো দেশ। এ দেশের মানুষেদের তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে করতে ‘অপারেশন ব্লিটজ’ নামে একটি অপারেশনের প্ল্যান করে পাকিস্তান আর্মি। ক্যাপ্টেন সিরাজ নামের (মোস্তাফিজুর নূর ইমরান) এক বাঙালি অফিসার গোপনে সেই ফাইল জোগাড় করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের হাতে তুলে দিতে চায়। তার পেছনে ধাওয়া করে পাকিস্তানি মেজর ওয়াসিম (ইরেশ যাকের)। এ সময় ক্যাপ্টেন সিরাজ জীবন বাঁচাতে সেলিমের (মুস্তাফা মনোয়ার) গ্যারেজে আশ্রয় নেয়। ফাইলটি গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছাতে ক্যাপ্টেন সিরাজ মেজর ওয়াসিমের স্ত্রী সাংবাদিক রুহি বাট (মিথিলা) এর সাহায্য চায়। রুহি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। সেলিমের সঙ্গে জয়িতা (তিশা), প্রদীপ (শতাব্দী ওয়াদুদ) এবং অন্যান্যরা ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এমনই এক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘একাত্তর’।
একাত্তর ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে ইরেশ যাকের বলেন, ‘নানা ব্যস্ততার কারণে প্রায় এক বছর আমি কাজ থেকে দূরে ছিলাম। তারপর আমি তানিমের কাছ থেকে এই কাজটার প্রস্তাব পাই। ও আমাকে Stranger in my own country বইটা তখন পড়তে দেয়। এই অ্যাপ্রোচ এখনকার যেকোনো ডিরেক্টর থেকে পাওয়া আসলেই বিরল। পুরো টিম অনেক পরিশ্রম করেছে এই কাজটা সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য। কারও চেষ্টায় কোনো ত্রুটি ছিল না।’
মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ‘এই পুরো টিমটাই আসলে আমার জন্য খুব কম্ফোর্টেবল। তানিমের সঙ্গে খুবই রিলাক্স হয়ে আমি কাজটা করতে পেরেছি। স্ক্রিপ্টটা যখন প্রথম হাতে পাই তখনই আমি খুব খুশি হই যে এ রকম একটা ক্যারেক্টারের জন্য তানিম আমার ওপর আস্থা রেখেছে। পুরো ক্যারেক্টারটা শুরু থেকে শেষ অব্দি নানান ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।খুবই উপভোগ করেছি আমি চরিত্রটা।’
মোস্তাফিজুর নূর ইমরান বলেন, ‘একটি কাজ তখনই ভালো হয় যখন ভালো কাহিনি এবং ভালো বাহিনী এই দুইয়ের সম্মিলন ঘটে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হয় প্রোফেশনালিজম এবং অনারের। হইচই এবং এই টিমের সঙ্গে আমার একাধারে কয়েকটি কাজের পেছনের মূল কারণ আসলে এটাই। এই সবগুলোই এই টিমের মধ্যে আছে। হইচইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই চমৎকার কাজটির জন্য। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ দিতে চাই পরিচালক তানিম নূরকে। তার সঙ্গে এত কম্ফোর্টেবলি কাজ করতে পেরেছি বলেই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার জন্য সহজ হয়েছে।’