বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত অভিনেতা দিলু
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৯
বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বনানীতে বাবার কবরে সমাহিত করা হয় তাকে। বনানী কবরস্থানের বাইরে এই মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে দিলুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে কিছু সময় রাখার পর নিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বজনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বিকাল ৩টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।
২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৯ বছর বয়েসি এই অভিনেতা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
বিটিভিতে প্রচারিত শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ নাটকে বড় মালু চরিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন মজিবুর রহমান দিলু। অনেকে তাকে বড় মালু নামেই চেনেন।
খ্যাতিমান এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দিলু। মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনেতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ঢাকার ড্রামা’ নামে একটি নাট্যগোষ্ঠী।
স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন দিলু। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন তিনিও।
দিলু ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
অনলাইন ডেস্ক | ১৯ জানুয়ারি, ২০২১ ২২:৩৯

বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বনানীতে বাবার কবরে সমাহিত করা হয় তাকে। বনানী কবরস্থানের বাইরে এই মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে হাসপাতাল থেকে দিলুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে কিছু সময় রাখার পর নিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানেই তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সর্বজনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য বিকাল ৩টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। এ সময় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে।
২০০৫ সালে গুলেন বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৯ বছর বয়েসি এই অভিনেতা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
বিটিভিতে প্রচারিত শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ নাটকে বড় মালু চরিত্রে অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন মজিবুর রহমান দিলু। অনেকে তাকে বড় মালু নামেই চেনেন।
খ্যাতিমান এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক হচ্ছে- ‘আমি গাধা বলছি’, ‘নানা রঙ্গের দিনগুলি’, ‘জনতার রঙ্গশালা’, ‘নীল পানিয়া’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘ওমা কী তামাশা’ প্রভৃতি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় নাটক ‘তথাপি’, ‘সময় অসময়’ ও ‘সংশপ্তক’-এ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন দিলু। মুক্তিযোদ্ধা এই অভিনেতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘ঢাকার ড্রামা’ নামে একটি নাট্যগোষ্ঠী।
স্কুলে পড়ার সময়ই স্বাধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন দিলু। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে যে মিছিলে গুলিতে আসাদ শহীদ হয়েছিলেন সেই মিছিলে ছিলেন তিনিও।
দিলু ১৯৭০ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েই যুদ্ধে চলে যান। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে ঢাকায় সরাসরি রণাঙ্গনে ছিলেন তিনি। নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। সেসময় তিনি ঢাকায় কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।