শিমু হত্যার বিচার চাইলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৪
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয় সোমবার সকাল ১০টায়। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার ভাই সন্ধ্যায় আমার কাছে ছুটে আসে। বলে কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করলাম তথ্যের জন্য। পরে খোকন মিটফোর্ড হাসপাতলে গিয়ে শিমুর মরদেহ শনাক্ত করে আমাকে ফোন করে কাঁদছিল।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। এরপর অনেক গুণী পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তিনি। মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীনের ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিমসহ অনেক গুণী অভিনেতাদের সাথে।
এদিকে শিমু হত্যার বিচার চাইলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিমু হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। অভিনেতা ওমর সানী ফেসবুকে লেখেন, ‘শিমু অনেক ছবিতে অভিনয় করেছে, আমাদের বরিশালের মেয়ে, তাকে হত্যা করা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। প্রকৃত খুনিকে তারাই বের করবে। কিন্তু এর আগে কারো নাম বলা দণ্ডনীয় অপরাধ, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া তার ফেসবুকে লেখেছেন ‘দুঃখজনক! আপনার আত্নার শান্তি কামনা করছি আপু!’
অভিনেত্রী অঞ্জনা ফেসবুকে লেখেন, ‘নায়িকা শিমুকে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। অযথা শিল্পী সমিতির বিপক্ষে যারা শিমুর বাসায় গিয়ে বিভ্রান্ত মূলক কথাবার্তা বলেছেন তাদের শাস্তি প্রয়োজন। কেননা প্রমাণ ব্যাতিত একজনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠানো ১০০% শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৮৪ জনের সদস্যপদ কি শুধু জায়েদ খান স্থগিত করেছে? উপদেষ্টা কমিটি এবং সমগ্র কার্যকরী পরিষদ তাতে অবগত ছিল। যা করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে। এখন যদি কেউ সেটা অস্বীকার করে তাহলে কি বলার থাকবে না। কিন্তু তারা যে সিগনেচার করেছে এটাতো মিথ্যা নয়।’
অভিনেত্রী শাহনুর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাইমা ইসলাম শিমু আমাদের চলচ্চিত্রে বহু ছবির নায়িকা। তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে কেরানীগঞ্জ, আলীপুর গ্রামের ব্রীজের পাশে ফেলে রেখেছিলো।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি আমিন।’
অভিনেত্রী শিমুর মৃত্যু নিয়ে গত রাতে ফেসবুকে একটা ভিডিও বার্তায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি সবার সামনে এমন নোংরা কথা বলতে হবে। শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামি শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু ও তার ভাই দুজনেই শিল্পী সমিতির সদস্য। আমি এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৪

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয় সোমবার সকাল ১০টায়। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তার ভাই সন্ধ্যায় আমার কাছে ছুটে আসে। বলে কাল থেকে শিমুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করলাম তথ্যের জন্য। পরে খোকন মিটফোর্ড হাসপাতলে গিয়ে শিমুর মরদেহ শনাক্ত করে আমাকে ফোন করে কাঁদছিল।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। এরপর অনেক গুণী পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন তিনি। মরহুম চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীনের ছবিতে কাজ করেছেন। অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, রিয়াজ, অমিত হাসান, বাপ্পারাজ, জাহিদ হাসান, মোশারফ করিমসহ অনেক গুণী অভিনেতাদের সাথে।
এদিকে শিমু হত্যার বিচার চাইলেন চলচ্চিত্র শিল্পীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিমু হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে অনেকেই স্ট্যাটাস দিয়েছেন। অভিনেতা ওমর সানী ফেসবুকে লেখেন, ‘শিমু অনেক ছবিতে অভিনয় করেছে, আমাদের বরিশালের মেয়ে, তাকে হত্যা করা হয়েছে, রাষ্ট্রের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। প্রকৃত খুনিকে তারাই বের করবে। কিন্তু এর আগে কারো নাম বলা দণ্ডনীয় অপরাধ, আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া তার ফেসবুকে লেখেছেন ‘দুঃখজনক! আপনার আত্নার শান্তি কামনা করছি আপু!’
অভিনেত্রী অঞ্জনা ফেসবুকে লেখেন, ‘নায়িকা শিমুকে হত্যা করেছেন তার স্বামী। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার করে কেরানীগঞ্জ থানায় রাখা হয়েছে। অযথা শিল্পী সমিতির বিপক্ষে যারা শিমুর বাসায় গিয়ে বিভ্রান্ত মূলক কথাবার্তা বলেছেন তাদের শাস্তি প্রয়োজন। কেননা প্রমাণ ব্যাতিত একজনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উঠানো ১০০% শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ১৮৪ জনের সদস্যপদ কি শুধু জায়েদ খান স্থগিত করেছে? উপদেষ্টা কমিটি এবং সমগ্র কার্যকরী পরিষদ তাতে অবগত ছিল। যা করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সংবিধানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে। এখন যদি কেউ সেটা অস্বীকার করে তাহলে কি বলার থাকবে না। কিন্তু তারা যে সিগনেচার করেছে এটাতো মিথ্যা নয়।’
অভিনেত্রী শাহনুর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাইমা ইসলাম শিমু আমাদের চলচ্চিত্রে বহু ছবির নায়িকা। তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে কেরানীগঞ্জ, আলীপুর গ্রামের ব্রীজের পাশে ফেলে রেখেছিলো।(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি আমিন।’
অভিনেত্রী শিমুর মৃত্যু নিয়ে গত রাতে ফেসবুকে একটা ভিডিও বার্তায় চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি সবার সামনে এমন নোংরা কথা বলতে হবে। শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামি শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু ও তার ভাই দুজনেই শিল্পী সমিতির সদস্য। আমি এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’