সিনেমায় গল্প বলার ধরন, নির্মাণ সবকিছুতেই পরিবর্তন আসছে: সাজ্জাদ খান
সুদীপ্ত সাইদ খান | ১৪ মে, ২০২২ ২০:৩৫
চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে পরিচিত মুখ সাজ্জাদ খান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন এত দিন। তার নির্মিত শর্টফিল্ম ‘ট্রি’ ইতালির ‘মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’-এ পুরস্কৃতও হয়েছিল। এবার এই নির্মাতা নির্মাণ করলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। হাতে আছে আরও দুটি প্রজেক্ট। সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
এই মুহূর্তে কি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন?
নতুন দুটি সিনেমার প্রি-প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। দুটি ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে আগাচ্ছি। দুটি প্রজেক্টের কোনোটারই নাম এই মুহূর্তে বলতে চাই না। সবকিছু গুছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব।
‘সাহস’ সিনেমা কবে নাগাদ মুক্তি পাবে?
সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর পেয়েছে। আশা করছি কোরবানির ঈদের আগেই ছবিটি মুক্তি দিতে পারব। সেই লক্ষেই এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২০ সালেই আমরা সাহস সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। আমাদের প্রথম টার্গেট সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া। এরপর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেব। ইতিমধ্যেই একটা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তির পরই বিস্তারিত জানাতে পারব।
সাহস-এর শুটিং ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে চাই….
ছবির গল্প বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে চলমান নানা অস্থিরতা নিয়ে। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর থেকে সাহসের কাজ শুরু করেছিলাম। টানা শুটিং চলে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাগেরহাটের একটি প্রান্তিক এলাকায় শুটিং করেছি। ছবির অভিনয় শিল্পীরা সকলেই নতুন। দেশের বিভিন্ন থিয়েটার থেকে অডিশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে তাদের। একদমই যে সব নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছি তা না। এর মধ্যে প্রধান চরিত্রে অর্ষা ও নূর ইমরান রয়েছেন। সব মিলিয়ে ‘সাহস’ এ কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত রকমের। করোনাকালীন সিনেমার এই দুরবস্থায় সাহস নির্মাণের বিষয়টা বেশ কঠিনই ছিল। বলতে পারেন এই সিনেমায় অনেক তরুণের সাহসের প্রতিফলন ঘটবে।
অর্ষার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
অর্ষার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে বলব, অর্ষা অনেক কো-অপারেটিভ একজন আর্টিস্ট। দুর্দান্ত একজন অভিনেত্রী। আমি মনে করি তার উচিত সিনেমায় নিয়মিত কাজ করা। কারণ কাজের সময় তার যে ডেডিকেশন দেখেছি তা সত্যিই প্রশংসা করার মতো।
সিনেমার এই দুরবস্থায় নির্মাণে এলেন কেন?
দেখুন, আমার ধ্যান-জ্ঞান মূলত সিনেমা নিয়েই। স্বপ্ন দেখি একদিন সিনে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে। ধীরে ধীরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তনও হচ্ছে। গল্প বলার ধরন, নির্মাণ, রুচি সবকিছুতেই একটা পরিবর্তন আসছে। ঢাকার সিনে অঙ্গনে নতুন একটা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আশা করছি আস্তে আস্তে সব ভালো হয়ে যাবে। আমি নিরাশাগ্রস্ত হতে চাই না, আশাবাদী হতে চাই।
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
সুদীপ্ত সাইদ খান | ১৪ মে, ২০২২ ২০:৩৫

চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে পরিচিত মুখ সাজ্জাদ খান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন এত দিন। তার নির্মিত শর্টফিল্ম ‘ট্রি’ ইতালির ‘মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’-এ পুরস্কৃতও হয়েছিল। এবার এই নির্মাতা নির্মাণ করলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। হাতে আছে আরও দুটি প্রজেক্ট। সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
এই মুহূর্তে কি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন?
নতুন দুটি সিনেমার প্রি-প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। দুটি ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে আগাচ্ছি। দুটি প্রজেক্টের কোনোটারই নাম এই মুহূর্তে বলতে চাই না। সবকিছু গুছিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করব।
‘সাহস’ সিনেমা কবে নাগাদ মুক্তি পাবে?
সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর পেয়েছে। আশা করছি কোরবানির ঈদের আগেই ছবিটি মুক্তি দিতে পারব। সেই লক্ষেই এগিয়ে যাচ্ছি। ২০২০ সালেই আমরা সাহস সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। আমাদের প্রথম টার্গেট সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া। এরপর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেব। ইতিমধ্যেই একটা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও হয়েছে। চূড়ান্ত চুক্তির পরই বিস্তারিত জানাতে পারব।
সাহস-এর শুটিং ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জানতে চাই….
ছবির গল্প বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে চলমান নানা অস্থিরতা নিয়ে। ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর থেকে সাহসের কাজ শুরু করেছিলাম। টানা শুটিং চলে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বাগেরহাটের একটি প্রান্তিক এলাকায় শুটিং করেছি। ছবির অভিনয় শিল্পীরা সকলেই নতুন। দেশের বিভিন্ন থিয়েটার থেকে অডিশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে তাদের। একদমই যে সব নতুন মুখ নিয়ে কাজ করছি তা না। এর মধ্যে প্রধান চরিত্রে অর্ষা ও নূর ইমরান রয়েছেন। সব মিলিয়ে ‘সাহস’ এ কাজ করার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত রকমের। করোনাকালীন সিনেমার এই দুরবস্থায় সাহস নির্মাণের বিষয়টা বেশ কঠিনই ছিল। বলতে পারেন এই সিনেমায় অনেক তরুণের সাহসের প্রতিফলন ঘটবে।
অর্ষার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
অর্ষার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলতে গেলে বলব, অর্ষা অনেক কো-অপারেটিভ একজন আর্টিস্ট। দুর্দান্ত একজন অভিনেত্রী। আমি মনে করি তার উচিত সিনেমায় নিয়মিত কাজ করা। কারণ কাজের সময় তার যে ডেডিকেশন দেখেছি তা সত্যিই প্রশংসা করার মতো।
সিনেমার এই দুরবস্থায় নির্মাণে এলেন কেন?
দেখুন, আমার ধ্যান-জ্ঞান মূলত সিনেমা নিয়েই। স্বপ্ন দেখি একদিন সিনে ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াবে। ধীরে ধীরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পরিবর্তনও হচ্ছে। গল্প বলার ধরন, নির্মাণ, রুচি সবকিছুতেই একটা পরিবর্তন আসছে। ঢাকার সিনে অঙ্গনে নতুন একটা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আশা করছি আস্তে আস্তে সব ভালো হয়ে যাবে। আমি নিরাশাগ্রস্ত হতে চাই না, আশাবাদী হতে চাই।