আবদুল গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন ফারুকী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ মে, ২০২২ ২০:৫১
ভাষা আন্দোলন নিয়ে কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে দেশীয় শোবিজ অঙ্গনেও শোকে ছায়া নেমে এসেছে। শোবিজের অনেকেই এই গুণীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
দেশের নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। সেখান থেকেই নিজের ফেসবুক পাতায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি শোক জানান এই তিনি।
ফারুকী লেখেন, ‘গাফফার ভাইয়ের অনেক মত বা কথার সাথে আমার দ্বিমত ছিল, অনেক কথার সাথে একমত ছিল। আমার কাজ খুঁজে বের করে দেখে আমাকে ফোন দিয়ে উনি উৎসাহ দিতেন। আমার কাজ সরকারি সেন্সর কলে আটকা পড়লে তিনি এর প্রতিবাদ করতেন। তিশার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত ছিলেন উনি। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় যতটুকু বুঝেছি সিনেমার ব্যাপারে উনার আগ্রহ ছিল প্রবল। এবং উনার সিনেমারুচি উনার সময়ের তুলনায় অগ্রসর।’
আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে পুরনো স্মৃতিও তুলে ধরে তিনি লেখেন, ‘উনাকে আমি অনেকবার একটা কথা বলেছি, “গাফফার ভাই, আপনি যদি আর কিছু নাও লিখতেন, কেবল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’র জন্যই আপনার স্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে পাকা থাকতো। আপনাকে ভালোবাসুক মন্দবাসুক, প্রতি বছর একবার করে বাংলাভাষী মানুষেরা প্রাণ খুলে গাইবে আপনার লেখা গান। কোনো এক একলা ছাদের নীচে বসে লিখা আপনার শব্দগুলা ডানা মেলবে ওদের কণ্ঠের আবেগে। ভাবা যায় কী এক বিস্ময়কর ঘটনা এই গান? বিদায় আবদুল গাফফার চৌধুরী!”
শেয়ার করুন
এই পাতার আরো খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ মে, ২০২২ ২০:৫১

ভাষা আন্দোলন নিয়ে কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা বিশিষ্ট সাংবাদিক, গীতিকার, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বৃহস্পতিবার (১৯ মে) স্থানীয় সময় আনুমানিক সকাল ৭টায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে দেশীয় শোবিজ অঙ্গনেও শোকে ছায়া নেমে এসেছে। শোবিজের অনেকেই এই গুণীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
দেশের নন্দিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিতে বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। সেখান থেকেই নিজের ফেসবুক পাতায় আবদুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি শোক জানান এই তিনি।
ফারুকী লেখেন, ‘গাফফার ভাইয়ের অনেক মত বা কথার সাথে আমার দ্বিমত ছিল, অনেক কথার সাথে একমত ছিল। আমার কাজ খুঁজে বের করে দেখে আমাকে ফোন দিয়ে উনি উৎসাহ দিতেন। আমার কাজ সরকারি সেন্সর কলে আটকা পড়লে তিনি এর প্রতিবাদ করতেন। তিশার অভিনয়ের দারুণ ভক্ত ছিলেন উনি। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় যতটুকু বুঝেছি সিনেমার ব্যাপারে উনার আগ্রহ ছিল প্রবল। এবং উনার সিনেমারুচি উনার সময়ের তুলনায় অগ্রসর।’
আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে পুরনো স্মৃতিও তুলে ধরে তিনি লেখেন, ‘উনাকে আমি অনেকবার একটা কথা বলেছি, “গাফফার ভাই, আপনি যদি আর কিছু নাও লিখতেন, কেবল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’র জন্যই আপনার স্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে পাকা থাকতো। আপনাকে ভালোবাসুক মন্দবাসুক, প্রতি বছর একবার করে বাংলাভাষী মানুষেরা প্রাণ খুলে গাইবে আপনার লেখা গান। কোনো এক একলা ছাদের নীচে বসে লিখা আপনার শব্দগুলা ডানা মেলবে ওদের কণ্ঠের আবেগে। ভাবা যায় কী এক বিস্ময়কর ঘটনা এই গান? বিদায় আবদুল গাফফার চৌধুরী!”