হামলার ঘটনা সাজানো প্রশ্নবিদ্ধ : আ.লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে ‘সাজানো’ হিসেবে অভিহিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হলো মিথ্যা রাজনীতির ওপর।
তারা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত। নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানাভাবে তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। এই হামলার ঘটনাও সাজানো। বিএনপি বুঝতে পেরেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি ঘটবে। এ কারণে তারা নানাভাবে মিথ্যাচার করছে।
সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাটে এই হামলায় বিএনপি মহাসচিব ও তার গাড়ি অক্ষত থাকলেও বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েক সফরসঙ্গী আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ করেছেন।
আবদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ড. কামাল হোসেন নিজের লেখা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন। সংবিধান অনুযায়ী এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য। অথচ সব কিছু জেনেশুনে কামাল হোসেনরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিতে মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষোভের জন্ম হয়েছে নেতাকর্মীদের। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা আজ আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। বিএনপি দুর্নীতিবাজ, রাজাকার-আলবদর, খুনি ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপির নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আগামী ৩০ ডিসেম্বর জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে ‘সাজানো’ হিসেবে অভিহিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হলো মিথ্যা রাজনীতির ওপর।
তারা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত। নির্বাচনকে কলঙ্কিত করা এবং প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানাভাবে তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। এই হামলার ঘটনাও সাজানো। বিএনপি বুঝতে পেরেছে, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি ঘটবে। এ কারণে তারা নানাভাবে মিথ্যাচার করছে।
সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাটে এই হামলায় বিএনপি মহাসচিব ও তার গাড়ি অক্ষত থাকলেও বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি কয়েক সফরসঙ্গী আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ করেছেন।
আবদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ড. কামাল হোসেন নিজের লেখা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন। সংবিধান অনুযায়ী এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া নির্বাচনের অযোগ্য। অথচ সব কিছু জেনেশুনে কামাল হোসেনরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন।
তিনি বলেন, বিএনপিতে মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষোভের জন্ম হয়েছে নেতাকর্মীদের। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা আজ আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। বিএনপি দুর্নীতিবাজ, রাজাকার-আলবদর, খুনি ও সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামিদের মনোনয়ন দিয়েছে। বিএনপির নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে দেশের মানুষ আগামী ৩০ ডিসেম্বর জবাব দেবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না এ সময় উপস্থিত ছিলেন।