সব ডিআইজি-এসপিকে ঢাকায় তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘যেকোনো মূল্যে’ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর। ব্লক রেইড ও চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান চালাবে পুলিশ। বিশেষ নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার ও উপ-পুলিশ কমিশনারদের সদর দপ্তরে ডাকা হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার আইজিপির (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) সভাপতিত্বে নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সদর দপ্তরে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে নির্বাচন কমিশন, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোনো জেলায় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডিআইজিদের কাছ থেকে তাদের এলাকায় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, সেটা সরাসরি জানতে চাওয়া হবে। তাদের কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা জেনে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ সদর দপ্তর।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের মৌসুমে বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী ও সন্ত্রাসী গ্রুপ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। অনেক অসাধু ব্যক্তি অপতৎপরতা শুরু করে। তারা যাতে নির্বাচনী পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।’ পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নির্বাচনের সময়ে কোনো এলাকা বা কেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ নাম রয়েছে। মূলত, কোনো ভোটকেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তালিকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ সব দলের লোকই আছে। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মূলত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভা হবে। এতে পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রো কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের ডাকা হয়েছে। তাদের নির্বাচনকালীন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
পুলিশের নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিং সেলের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোন এলাকায় কারা ভোটকেন্দ্র দখল ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, তারও একটি তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’ তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের রুটিন কাজ। এর বাইরে বড় উৎসব বা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়। নির্বাচন যেহেতু বড় একটি উৎসব; এর পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকে। তারা যাতে পরস্পরের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’ কেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ নাম রয়েছে। মূলত, কোনো ভোটকেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তালিকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ সব দলের লোকই আছে। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মূলত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভা হবে। এতে পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রো কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের ডাকা হয়েছে। তাদের নির্বাচনকালীন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
পুলিশের নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিং সেলের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোন এলাকায় কারা ভোটকেন্দ্র দখল ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, তারও একটি তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’
তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের রুটিন কাজ। এর বাইরে বড় উৎসব বা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়। নির্বাচন যেহেতু বড় একটি উৎসব; এর পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকে। তারা যাতে পরস্পরের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘যেকোনো মূল্যে’ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছে পুলিশ সদর দপ্তর। ব্লক রেইড ও চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান চালাবে পুলিশ। বিশেষ নির্দেশনা দেওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার ও উপ-পুলিশ কমিশনারদের সদর দপ্তরে ডাকা হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার আইজিপির (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) সভাপতিত্বে নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সদর দপ্তরে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে নির্বাচন কমিশন, গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কোনো জেলায় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার ও সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডিআইজিদের কাছ থেকে তাদের এলাকায় কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, সেটা সরাসরি জানতে চাওয়া হবে। তাদের কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা জেনে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ সদর দপ্তর।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের মৌসুমে বিভিন্ন সুযোগ সন্ধানী ও সন্ত্রাসী গ্রুপ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। অনেক অসাধু ব্যক্তি অপতৎপরতা শুরু করে। তারা যাতে নির্বাচনী পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।’ পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নির্বাচনের সময়ে কোনো এলাকা বা কেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ নাম রয়েছে। মূলত, কোনো ভোটকেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তালিকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ সব দলের লোকই আছে। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মূলত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভা হবে। এতে পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রো কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের ডাকা হয়েছে। তাদের নির্বাচনকালীন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
পুলিশের নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিং সেলের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোন এলাকায় কারা ভোটকেন্দ্র দখল ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, তারও একটি তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’ তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের রুটিন কাজ। এর বাইরে বড় উৎসব বা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়। নির্বাচন যেহেতু বড় একটি উৎসব; এর পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকে। তারা যাতে পরস্পরের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’ কেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ নাম রয়েছে। মূলত, কোনো ভোটকেন্দ্রে কারা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, তালিকায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ সব দলের লোকই আছে। চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার মূলত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক সভা হবে। এতে পুলিশের সব ইউনিটের প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রো কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপারদের ডাকা হয়েছে। তাদের নির্বাচনকালীন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
পুলিশের নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা মনিটরিং সেলের অন্যতম সদস্য ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে থেকেই আমরা অনুসন্ধানের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোন এলাকায় কারা ভোটকেন্দ্র দখল ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, তারও একটি তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে। আমরা চাচ্ছি তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে।’
তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের রুটিন কাজ। এর বাইরে বড় উৎসব বা যেকোনো প্রয়োজনে পুলিশ জনসাধারণের নিরাপত্তা দেয়। নির্বাচন যেহেতু বড় একটি উৎসব; এর পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় থাকে। তারা যাতে পরস্পরের মধ্যে বিরোধে জড়িয়ে যাতে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ঘটাতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করছে পুলিশ।’