আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদাকে ভোট করতে দিলে সংবিধান
লঙ্ঘন হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বিচারিক আদালতে দ-প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার প্রশ্নে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে গতকাল বিভক্ত আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের আদেশে দুজন বিচারপতি যেহেতু ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি, সে জন্য বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা তো পূর্বনির্ধারিত বিষয় যে কোনো ব্যক্তি দ-প্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আমি তো প্রথম থেকেই বলে আসছি কোনো আদালত এ রকম আদেশ দিতে পারে না, যে আদেশের ফলে সংবিধানের একটি বিধান অকার্যকর হয়ে যায়।’
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মনোনয়নপত্রের বৈধতা প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি জানি না কোন যুক্তিতে তাকে দেওয়া হয়েছে। তার কাগজপত্র না দেখে আমি কোনো মন্তব্য পারব না। আমার সামনে খালেদা জিয়ার কাগজপত্র আছে। তিনি তো দ-প্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। এখন দ- ভোগ করছেন। তাই তার ব্যাপারে তর্কের কোনো অবকাশ নেই। আর যেহেতু এখন বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমি এর বেশি কিছু বলব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে দ-িত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনের যোগ্য ঘোষণা করার আদেশে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে আসতে পারেন। কারণ সংবিধানের বিধি-বিধানসম্মত রাখা সবারই দায়িত্ব। এটা রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বিচারিক আদালতে দ-প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হলে সংবিধান লঙ্ঘন হবে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার প্রার্থিতার প্রশ্নে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে গতকাল বিভক্ত আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার রিট আবেদনের আদেশে দুজন বিচারপতি যেহেতু ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি, সে জন্য বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটা তো পূর্বনির্ধারিত বিষয় যে কোনো ব্যক্তি দ-প্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আমি তো প্রথম থেকেই বলে আসছি কোনো আদালত এ রকম আদেশ দিতে পারে না, যে আদেশের ফলে সংবিধানের একটি বিধান অকার্যকর হয়ে যায়।’
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মনোনয়নপত্রের বৈধতা প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি জানি না কোন যুক্তিতে তাকে দেওয়া হয়েছে। তার কাগজপত্র না দেখে আমি কোনো মন্তব্য পারব না। আমার সামনে খালেদা জিয়ার কাগজপত্র আছে। তিনি তো দ-প্রাপ্ত একজন ব্যক্তি। এখন দ- ভোগ করছেন। তাই তার ব্যাপারে তর্কের কোনো অবকাশ নেই। আর যেহেতু এখন বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমি এর বেশি কিছু বলব না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে দ-িত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনের যোগ্য ঘোষণা করার আদেশে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে আসতে পারেন। কারণ সংবিধানের বিধি-বিধানসম্মত রাখা সবারই দায়িত্ব। এটা রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব।’