ইবোলায় কঙ্গোতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই
দেশ রূপান্তর ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর অন্তত ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে শুরু করে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এসব প্রাণহানি ঘটে। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪৯৪টি ডেঙ্গু জ্বরের তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে ৪৪৬ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই মধ্যে এ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৬৫ জন। এ ছাড়া আক্রান্ত ৪৮ জনের মৃত্যুর জন্য ইবোলা সংক্রমণই দায়ী কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের সমাহিত করা হয়।
কঙ্গোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, কঙ্গোর ইতিহাসে এটি ইবোলাজনিত সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটিতে ইবোলা আক্রান্ত
এলাকাগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলা এবং সম্প্রদায়গুলোর পাল্টা প্রতিরোধমূলক পরিস্থিতিতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গো উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলা ভাইরাসের নামকরণ করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছরের জুলাই মাসে দেশটিতে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গার অভিযোগ, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের কারণে তাদের ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে অনবরত হয়রানি করে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। গত সেপ্টেম্বরে বেনি শহরে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ইবোলা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসাকর্মীদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটাতে বিদ্রোহীদের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা।
১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এ নিয়ে দশমবারের মতো কঙ্গোয় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা ঘটল। বানর এবং বাদুড়ের মতো বন্যপ্রাণী থেকে প্রথম এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। দেহ থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের রসের (রক্ত, লালা) মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।
শেয়ার করুন
দেশ রূপান্তর ডেস্ক | ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে নতুন করে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর অন্তত ২৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে শুরু করে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এসব প্রাণহানি ঘটে। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪৯৪টি ডেঙ্গু জ্বরের তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে ৪৪৬ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরই মধ্যে এ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন ১৬৫ জন। এ ছাড়া আক্রান্ত ৪৮ জনের মৃত্যুর জন্য ইবোলা সংক্রমণই দায়ী কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের সমাহিত করা হয়।
কঙ্গোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, কঙ্গোর ইতিহাসে এটি ইবোলাজনিত সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি। গৃহযুদ্ধকবলিত দেশটিতে ইবোলা আক্রান্ত
এলাকাগুলোতে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলা এবং সম্প্রদায়গুলোর পাল্টা প্রতিরোধমূলক পরিস্থিতিতে ইবোলার প্রাদুর্ভাব আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
মধ্য আফ্রিকার উত্তরাংশে কঙ্গো উপত্যকায় প্রবাহিত ইবোলা নদী থেকে ইবোলা ভাইরাসের নামকরণ করা হয়। সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয়। ২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণে ১১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তখন বেশি আক্রান্ত হয়েছিল গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়া। ২০১৪ সালে কঙ্গোতে ইবোলা সংক্রমণে ৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ বছরের জুলাই মাসে দেশটিতে নতুন করে ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলি ইলুঙ্গার অভিযোগ, সশস্ত্র বিদ্রোহীদের কারণে তাদের ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চিকিৎসা সহায়তাকারী দলকে অনবরত হয়রানি করে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। গত সেপ্টেম্বরে বেনি শহরে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলার পর সেখানে ভ্যাকসিন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। ইবোলা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসাকর্মীদের কাজে ব্যাঘাত না ঘটাতে বিদ্রোহীদের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা।
১৯৭৬ সালে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর এ নিয়ে দশমবারের মতো কঙ্গোয় ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা ঘটল। বানর এবং বাদুড়ের মতো বন্যপ্রাণী থেকে প্রথম এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। দেহ থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের রসের (রক্ত, লালা) মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়।