আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে হামলা বিভিন্ন স্থানে হামলা-সংঘর্ষ, আহত ২৫
রূপান্তর ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নির্বাচনী প্রচার চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গতকাল বেলা ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া বাজারের ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ব্রিবত ও মর্মাহত বলে মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী, প্রার্থী ও শুভাকাক্সক্ষীদের ধৈর্যশীল আচরণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী মিছিলে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাত জন আহত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের র্নিবাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরেÑ
গতকাল পাবনার সাঁথিয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাবনা-১ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে হামলা হয়। বেড়া উপজেলার নিজ বাসা থেকে সাঁথিয়ার ধোপাদহ এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় যাচ্ছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। বেলা ১১টার দিকে তার গাড়িবহরটি সাঁথিয়া বাজারের শিমুলতলা মোড়ে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ সময় তার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সাঁথিয়া থানায় অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ) আমাদের হেফাজতে আছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের বিশ্বরোড এলাকায় ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর জানান , সকালে বিশ্বরোড এলাকার চেহারা মনজিলে নির্বাচনী বৈঠক চলছিল। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে ।
জীবা আমিনা খান বলেন,‘আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে,ভাঙচুর করা হয়েছে, পুলিশ দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে । সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে মাঠছাড়া করতে চাচ্ছে।’
গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে আমাদের জানা নেই। আমরা গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশে এবং অন্তঃকোন্দলের জেরে নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুর করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গাইন বলেন, বিএনপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা হয়েছে শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের চমুরি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহসানসহ অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলাকালে বক্তৃতার শেষ সময়ে হঠাৎ করেই পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম ও পুলিশসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা বলেন, নির্বাচনী সভার কাছ দিয়ে পুলিশ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বিএনপির সভা থেকে গাড়ি লক্ষ্য করে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা গাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান আহত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিমের লোকজন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে নৌকা প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের অভিযোগ। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারের নির্বাচনী ক্যাম্পে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কেন্দ্রীয় এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে আমাকে ও নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম অভিযোগ করে জানান, গত কয়েকদিন থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা আমার বাড়িতে হামলা করে মহিলাসহ ৭-৮জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তোতা মিয়া জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী মিছিলে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পক্ষে সাত জন আহত হয়েছে। আটপাড়া থানার ওসি অভি রঞ্জন দেব জানান, উপজেলা সদরের ইটাখলা বাজারে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বের হলে তাতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নির্বাচনী প্রচার চলাকালে গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গতকাল বেলা ১১টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া বাজারের ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা ব্রিবত ও মর্মাহত বলে মন্তব্য করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী, প্রার্থী ও শুভাকাক্সক্ষীদের ধৈর্যশীল আচরণ করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সন্ধ্যায় নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী মিছিলে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাত জন আহত হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের র্নিবাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরেÑ
গতকাল পাবনার সাঁথিয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাবনা-১ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের গাড়িবহরে হামলা হয়। বেড়া উপজেলার নিজ বাসা থেকে সাঁথিয়ার ধোপাদহ এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় যাচ্ছিলেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। বেলা ১১টার দিকে তার গাড়িবহরটি সাঁথিয়া বাজারের শিমুলতলা মোড়ে পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ সময় তার দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে যায়। দুপুর ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সাঁথিয়া থানায় অবস্থান করছিলেন। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি (অধ্যাপক আবু সাইয়িদ) আমাদের হেফাজতে আছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
গতকাল সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের বিশ্বরোড এলাকায় ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নূপুর জানান , সকালে বিশ্বরোড এলাকার চেহারা মনজিলে নির্বাচনী বৈঠক চলছিল। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জীবা আমিনা খান ও তার সমর্থকের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে ।
জীবা আমিনা খান বলেন,‘আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে,ভাঙচুর করা হয়েছে, পুলিশ দিয়ে আমার নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে । সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে মাঠছাড়া করতে চাচ্ছে।’
গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে আমাদের জানা নেই। আমরা গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশে এবং অন্তঃকোন্দলের জেরে নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুর করে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোনিত কুমার গাইন বলেন, বিএনপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা হয়েছে শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে নির্বাচনী পথসভা চলাকালে উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের চমুরি বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহসানসহ অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে বিএনপির নির্বাচনী পথসভা চলাকালে বক্তৃতার শেষ সময়ে হঠাৎ করেই পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম ও পুলিশসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা বলেন, নির্বাচনী সভার কাছ দিয়ে পুলিশ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বিএনপির সভা থেকে গাড়ি লক্ষ্য করে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়ে। পরে পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা গাড়িতে হামলা চালায়। এতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান আহত হয়েছেন। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিমের লোকজন এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে নৌকা প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের অভিযোগ। গতকাল ভোর রাতে উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর বাজারের নির্বাচনী ক্যাম্পে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
তবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কেন্দ্রীয় এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করিয়ে আমাকে ও নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম অভিযোগ করে জানান, গত কয়েকদিন থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা আমার বাড়িতে হামলা করে মহিলাসহ ৭-৮জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করেছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তোতা মিয়া জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলায় নৌকার নির্বাচনী মিছিলে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পক্ষে সাত জন আহত হয়েছে। আটপাড়া থানার ওসি অভি রঞ্জন দেব জানান, উপজেলা সদরের ইটাখলা বাজারে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মিছিল বের হলে তাতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।