ড. কামালের দুঃখ প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জামায়াত নিয়ে প্রশ্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
শুক্রবার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একাধিক সাংবাদিক স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না। এরপরও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে থাকলে রেগে গিয়ে ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিক বলেন, ‘বেহুদা কথা বলো। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব।’ এ পর্যায়ে আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ড. কামাল ধমক দিয়ে বলেন, ‘চুপ করো। খামোশ।’ এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারা তার কাছে সব সময়ই বিশেষ আবেগ ও অনুভূতির বিষয়।
পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্য থেকে অনবরত দুই থেকে তিনবার “জামায়াত জামায়াত” শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম।’
সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোটের প্রধান এই নেতা।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জামায়াত নিয়ে প্রশ্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানোয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
শুক্রবার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একাধিক সাংবাদিক স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে তিনি বলেন, স্মৃতিসৌধে এসব বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না। এরপরও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে থাকলে রেগে গিয়ে ৮১ বছর বয়সী এই রাজনীতিক বলেন, ‘বেহুদা কথা বলো। কত পয়সা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করতে? কার কাছ থেকে পয়সা পেয়েছ? তোমার নাম কী? জেনে রাখব তোমাকে। চিনে রাখব।’ এ পর্যায়ে আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে ড. কামাল ধমক দিয়ে বলেন, ‘চুপ করো। খামোশ।’ এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ১৯৭২-৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত আইনগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারা তার কাছে সব সময়ই বিশেষ আবেগ ও অনুভূতির বিষয়।
পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্য থেকে অনবরত দুই থেকে তিনবার “জামায়াত জামায়াত” শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম।’
সারা জীবন সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ছিলেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোটের প্রধান এই নেতা।