মানবদেহে বসবে শূকরের হৃৎপিণ্ড!
রূপান্তর ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
জার্মানির বিখ্যাত সার্জন ব্রুনো রাইখার্ট শূকরের হৃৎপিণ্ড একটি বেবুনের দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছেন। মানবদেহে যদি সফলভাবে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে হয়ত মানব অঙ্গদাতার অভাব পূরণ হবে।
শূকরের অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের প্রয়াস কি সফল হতে পারে? এর উত্তরে রাইখার্ট জানিয়েছেন, নীতিগত দিকটি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা মানুষ বহু বছর ধরে শূকরের মাংস খেয়ে আসছে। প্রতি চার মাস অন্তর শূকর শিশু জন্ম নেয়। ছয় মাস পরে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। মানুষের হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে এদের সাদৃশ্য রয়েছে। শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভালব প্রায় ৪০ বছর ধরে মানুষের হৃৎপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। মানবদেহের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেবুনদের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে তাদের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
তবে রাইখার্ট জানালেন, শূকরের হৃৎপিণ্ড মানুষের হৃদযন্ত্রে প্রতিস্থাপন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিস্থাপনের পূর্বে সেটিকে মানবদেহের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। কয়েক মাস আগেই সমালোচকরা বলেছিলেন, শূকরের হৃৎপিণ্ডে মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতো রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নেই। ফলে যেসব দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হবে, সেসব মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
তবে এই সমালোচনার জবাবে রাইখার্ট বলেন, যারা এসব সমালোচনা করছেন, তাদের এ সম্পর্কে ধারণা খুব কম। তাদের এ বিষয়ে আরো পড়ালেখা করা উচিত। একটি বেবুন বা মানুষের দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড চমৎকারভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে।
শূকরের দেহের টিস্যু থেকে কোনো ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নেই। মানুষের দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার, অর্থাৎ দাতা পাওয়া আজকাল খুবই মুশকিল। শূকরের হৃৎপিণ্ড সেখানে সেই অভাব পূরণ করতে পারে। তবে এসব পরীক্ষার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে জানালেন রাইখার্ট। এ কাজে বিনিয়োগ করবে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাওয়া ইউরোপে কঠিন বলে জানালেন তিনি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

জার্মানির বিখ্যাত সার্জন ব্রুনো রাইখার্ট শূকরের হৃৎপিণ্ড একটি বেবুনের দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছেন। মানবদেহে যদি সফলভাবে এই অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলে হয়ত মানব অঙ্গদাতার অভাব পূরণ হবে। শূকরের অঙ্গ মানুষের দেহে প্রতিস্থাপনের প্রয়াস কি সফল হতে পারে? এর উত্তরে রাইখার্ট জানিয়েছেন, নীতিগত দিকটি এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ, কেননা মানুষ বহু বছর ধরে শূকরের মাংস খেয়ে আসছে। প্রতি চার মাস অন্তর শূকর শিশু জন্ম নেয়। ছয় মাস পরে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। মানুষের হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে এদের সাদৃশ্য রয়েছে। শূকরের হৃৎপিণ্ডের ভালব প্রায় ৪০ বছর ধরে মানুষের হৃৎপিণ্ডে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। মানবদেহের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বেবুনদের সাদৃশ্য রয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে তাদের হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে রাইখার্ট জানালেন, শূকরের হৃৎপিণ্ড মানুষের হৃদযন্ত্রে প্রতিস্থাপন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিস্থাপনের পূর্বে সেটিকে মানবদেহের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। কয়েক মাস আগেই সমালোচকরা বলেছিলেন, শূকরের হৃৎপিণ্ডে মানুষের হৃৎপিণ্ডের মতো রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নেই। ফলে যেসব দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হবে, সেসব মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তবে এই সমালোচনার জবাবে রাইখার্ট বলেন, যারা এসব সমালোচনা করছেন, তাদের এ সম্পর্কে ধারণা খুব কম। তাদের এ বিষয়ে আরো পড়ালেখা করা উচিত। একটি বেবুন বা মানুষের দেহে শূকরের হৃৎপিণ্ড চমৎকারভাবে রক্ত সঞ্চালন করতে পারে। শূকরের দেহের টিস্যু থেকে কোনো ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ নেই। মানুষের দেহে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার, অর্থাৎ দাতা পাওয়া আজকাল খুবই মুশকিল। শূকরের হৃৎপিণ্ড সেখানে সেই অভাব পূরণ করতে পারে। তবে এসব পরীক্ষার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন বলে জানালেন রাইখার্ট। এ কাজে বিনিয়োগ করবে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাওয়া ইউরোপে কঠিন বলে জানালেন তিনি।