আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন : হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ও দেশের মানুষের ভালো থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরো পাঁচ বছর বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা একান্ত প্রয়োজন। বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দল একত্রিত হয়ে ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচনে গেছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের সরকারপ্রধান কে হবেন, এখন পর্যন্ত তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, রাজাকার-আলবদর নেতা, নাকি একুশে গ্রেনেড হামলার আসামি, কে হবেন তাদের সরকারপ্রধানÑ তা এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষ যখন ভালো আছে, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে তারা স্বেচ্ছাচারিতা বলছে। দেশের ভালো চাওয়া এবং দেশের মানুষের ভালো থাকা যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয়, তাহলে তারা কী চায়? তারা যে পরিবর্তনের কথা বলছে, ক্ষমতায় গেলে তারা আবার লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, মানিলন্ডারিং, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাই সৃষ্টি, কীভাবে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা যায়Ñ সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবে?
তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে যারা তত্ত্বকথা বলেন, যারা নিজেকে খ্যাতনামা আইনজীবী বলে দাবি করেন, যারা নিজেরা দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেন, তারা আজ দিকভ্রষ্ট, নীতিভ্রষ্ট, আদর্শহীন। তারা বাংলাদেশের আদর্শকে বিশ্বাস করেন না। তারা আবার একত্রিত হয়েছেন। একটা সময় ছিল, যখন বিজয়
দিবস উদযাপন করা যেত না। তারা ক্ষমতায় এলে আবার আগের অবস্থা সৃষ্টি হবে। যারা আদর্শচ্যুত হয়, তারা কখনই দেশের ভালো করতে পারে না।
বাংলাদেশের মানুষের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আবার নৌকা মার্কায় ভোট দেবে জনগণ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ও দেশের মানুষের ভালো থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে আরো পাঁচ বছর বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকা একান্ত প্রয়োজন। বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দল একত্রিত হয়ে ঐক্যফ্রন্ট করে নির্বাচনে গেছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের সরকারপ্রধান কে হবেন, এখন পর্যন্ত তারা এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি। এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, রাজাকার-আলবদর নেতা, নাকি একুশে গ্রেনেড হামলার আসামি, কে হবেন তাদের সরকারপ্রধানÑ তা এখনো স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের মানুষ যখন ভালো আছে, দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে তারা স্বেচ্ছাচারিতা বলছে। দেশের ভালো চাওয়া এবং দেশের মানুষের ভালো থাকা যদি স্বেচ্ছাচারিতা হয়, তাহলে তারা কী চায়? তারা যে পরিবর্তনের কথা বলছে, ক্ষমতায় গেলে তারা আবার লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, মানিলন্ডারিং, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, ৫০০ জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলা, বাংলা ভাই সৃষ্টি, কীভাবে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা যায়Ñ সেই পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবে?
তিনি আরো বলেন, আমাদের সমাজে যারা তত্ত্বকথা বলেন, যারা নিজেকে খ্যাতনামা আইনজীবী বলে দাবি করেন, যারা নিজেরা দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি বলে দাবি করেন, তারা আজ দিকভ্রষ্ট, নীতিভ্রষ্ট, আদর্শহীন। তারা বাংলাদেশের আদর্শকে বিশ্বাস করেন না। তারা আবার একত্রিত হয়েছেন। একটা সময় ছিল, যখন বিজয়
দিবস উদযাপন করা যেত না। তারা ক্ষমতায় এলে আবার আগের অবস্থা সৃষ্টি হবে। যারা আদর্শচ্যুত হয়, তারা কখনই দেশের ভালো করতে পারে না।
বাংলাদেশের মানুষের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আবার নৌকা মার্কায় ভোট দেবে জনগণ।