খালেদার প্রার্থিতা টেকেনি একক বেঞ্চেও
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে তার পক্ষে করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ। গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদার প্রার্থিতা আটকে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এর আগে এই বেঞ্চের প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীদের করা অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেয় একই আদালত। পাশাপাশি রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে শুনানি না করেই আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, বদরুদ্দোজা বাদলসহ অন্যরা। পরে ইসির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে মাহবুবে আলম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুর বক্তব্য শোনে আদালত। এর পরই রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোননপত্র জমা দেওয়া হয়। যাচাইÑবাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করা হলে গত ৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিকে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দেয় ইসি। পরে ইসির ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
বগুড়া ৬,৭ ও ফেনী ১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে গত ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ আসে। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত ও খালেদা জিয়ার মনোয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ইকবাল কবির তাতে দ্বিমত পোষণ করেন। পরের দিন বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
গত বৃহস্পতিবার এই আদালতের প্রতি মৌখিকভাবে অনাস্থার কথা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
গতকাল আদেশ শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে তার পক্ষে করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ। গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেওয়া হয়। এর ফলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদার প্রার্থিতা আটকে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এর আগে এই বেঞ্চের প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবীদের করা অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেয় একই আদালত। পাশাপাশি রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে শুনানি না করেই আদালতকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, বদরুদ্দোজা বাদলসহ অন্যরা। পরে ইসির পক্ষে আইনজীবী হিসেবে মাহবুবে আলম ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজুর বক্তব্য শোনে আদালত। এর পরই রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোননপত্র জমা দেওয়া হয়। যাচাইÑবাছাই শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
পরে রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করা হলে গত ৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিকে খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দেয় ইসি। পরে ইসির ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
বগুড়া ৬,৭ ও ফেনী ১ আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার বিষয়ে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে গত ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ আসে। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত ও খালেদা জিয়ার মনোয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি ইকবাল কবির তাতে দ্বিমত পোষণ করেন। পরের দিন বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
গত বৃহস্পতিবার এই আদালতের প্রতি মৌখিকভাবে অনাস্থার কথা জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
গতকাল আদেশ শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।