ইসির ভূমিকায় টিআইবির উদ্বেগ
রূপান্তর প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, হামলা, মামলা, ভীতি প্রদর্শনসহ নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘন রোধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দৃশ্যমান নিষ্ক্রিয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ ও ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারে কমিশনের অবস্থান ইসির ওপর আস্থার সংকট আরও বাড়াবে। নির্বাচনী মাঠে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র ও পরিবেশ নিশ্চিতে ইসিকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হয়ে আত্মসম্মানবোধ ও সৎ সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তৎপর ও দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে মামলাÑহামলার মাধ্যমে বাধা, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের ক্রমাগত ব্যর্থতা, এমনকি উদাসীনতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিরোধী পক্ষের প্রার্থীরা শুধু ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হাতেই লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হচ্ছেন না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী পরিবেশকে কলুষিত করার হীন প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমনের উদ্যোগের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ভাব যেন নিজেকে পাথরের মূর্তিতে পরিণত করেছে। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরতার এ ধরনের দৃষ্টান্ত লজ্জাজনক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিছু ফাঁকা বুলি ছাড়া কোনো ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত এখনো কমিশন স্থাপন করতে পারেনি, যা অত্যন্ত বিব্রতকর।
তিনি আরো বলেন, ভোটকেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কমিশনের স্ববিরোধী অবস্থান কমিশনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, এই যুক্তিতে ফোনের ব্যবহার বন্ধ করা মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার সমতুল্য। ফোন ব্যবহার বন্ধ করা বাস্তবে কোনো বিশেষ মহলের কার্যক্রম বিশেষ করে কারচুপি ও সহিংসতামূলক তৎপরতাকে সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর কি না, এ প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক।
বিজ্ঞপ্তিতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। এ ছাড়া নির্বাচনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরিতে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর প্রতিবেদক | ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বিরোধী প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, হামলা, মামলা, ভীতি প্রদর্শনসহ নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাপক লঙ্ঘন রোধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দৃশ্যমান নিষ্ক্রিয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ ও ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারে কমিশনের অবস্থান ইসির ওপর আস্থার সংকট আরও বাড়াবে। নির্বাচনী মাঠে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র ও পরিবেশ নিশ্চিতে ইসিকে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হয়ে আত্মসম্মানবোধ ও সৎ সাহসের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তৎপর ও দৃশ্যমান কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে মামলাÑহামলার মাধ্যমে বাধা, হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন মোকাবিলায় নির্বাচন কমিশনের ক্রমাগত ব্যর্থতা, এমনকি উদাসীনতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিরোধী পক্ষের প্রার্থীরা শুধু ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হাতেই লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হচ্ছেন না, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী পরিবেশকে কলুষিত করার হীন প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমনের উদ্যোগের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ত ভাব যেন নিজেকে পাথরের মূর্তিতে পরিণত করেছে। নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কার্যকরতার এ ধরনের দৃষ্টান্ত লজ্জাজনক ও সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচনে সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিছু ফাঁকা বুলি ছাড়া কোনো ধরনের ইতিবাচক দৃষ্টান্ত এখনো কমিশন স্থাপন করতে পারেনি, যা অত্যন্ত বিব্রতকর।
তিনি আরো বলেন, ভোটকেন্দ্রে ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কমিশনের স্ববিরোধী অবস্থান কমিশনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, এই যুক্তিতে ফোনের ব্যবহার বন্ধ করা মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার সমতুল্য। ফোন ব্যবহার বন্ধ করা বাস্তবে কোনো বিশেষ মহলের কার্যক্রম বিশেষ করে কারচুপি ও সহিংসতামূলক তৎপরতাকে সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর কি না, এ প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক।
বিজ্ঞপ্তিতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। এ ছাড়া নির্বাচনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরিতে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।