শক্ত কমিটি করে তৎপর পুলিশ
সিনিয়র প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
নির্বাচন সামনে রেখে ৩০ জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশপ্রধানের নেতৃত্বে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি করেছে বাহিনীটির সদর দপ্তর।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরে সব কটি রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন শক্তিশালী এই কমিটি গঠন করা হয়।
গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সব প্রার্থীকে নিরাপত্তা দিতে বলার পর সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন। পরদিন মঙ্গলবার মহাজোটের প্রার্থীদের পাশাপাশি ঐক্যজোট প্রার্থীদেরও নিরাপত্তা দিতে ডিআইজি ও এসপিদের নির্দেশনা পাঠানো হয়।
১১ নভেম্বর গঠিত কমিটি এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়, যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে তারা জোরদার অভিযান চালাবে। প্রয়োজনে র্যাব ও বিজিবি সদস্যদেরও অভিযানে ডাকবে তারা। পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। এই নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দায়িত্বরত এলাকাগুলো মনিটরিং করছে। সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে আরো অভিযান জোরালো করা হচ্ছে। তবে তফসিল ঘোষণার পরপরই অভিযান চলছে। অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছে। বৈধ অস্ত্রধারীদের নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।’
আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিতে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমানকে সহসভাপতি ও ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (টিঅ্যান্ডআইএম) ইকবাল বাহার ও এআইজি (অপারেশন) সাইদ তারিক হাসান সদস্য হিসেবে আছেন।
সারা দেশকে চারটি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পড়েছে আট কর্মকর্তার ওপর। এর মধ্যে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং হাইওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম রাজশাহী ও রংপুর মেট্রোপলিটন এবং রাজশাহী ও রংপুর রেঞ্জের দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ দেখবেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপকমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। খুলনা ও বরিশাল মেট্রোপলিটন এবং খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আর চট্টগ্রাম ও সিলেট মেট্রোপলিটন এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট রেঞ্জ তদারক করবেন অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।
পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাগঞ্জ, খুলনাসহ ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় ওই অভিযান চালানো হতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের ঘাঁটি বলে পরিচিত উল্লিখিত জেলাগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এবং বিগত সংসদ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা হয়।
অন্য জেলাগুলোর মধ্যে আছেÑ নোয়াখালী, চাঁদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, নীলফামারী, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, পাবনা, ঝিনাইদহ, মৌলভীবাজার, গাইবান্ধা, নাটোর, যশোর, কক্সবাজার, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর ও লালমনিরহাট।
তবে ২৪ ডিসেম্বরের পর জোরালো অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ আসার পর সব দলের প্রার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে ডিআইজি ও এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটার ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, মূলত নির্বাচনের সময় এবং আগে-পরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে আইজিপি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
পোলিং এজেন্টদের প্রোফাইল সংগ্রহ
নির্বাচনে যারা ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের বিস্তারিত পরিচিতি সংগ্রহ করছে পুলিশ। সদর দপ্তরের আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল থেকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের তালিকা তৈরি করে তাদের প্রোফাইল সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনা পেয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশের কো-অর্ডিনেশন সেলের সদস্যরা রংপুর, সিলেট, ররিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল সফর করে ওসি ও এসপিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যারা পোলিং এজেন্ট থাকবে, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের পাশাপাশি পোলিং বুথেও পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে পোলিং এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখছি। কিছু কিছু এলাকায় জঙ্গি ও দাগি সন্ত্রাসীরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।’
শেয়ার করুন
সিনিয়র প্রতিবেদক | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

নির্বাচন সামনে রেখে ৩০ জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশপ্রধানের নেতৃত্বে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি করেছে বাহিনীটির সদর দপ্তর। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরে সব কটি রেঞ্জের ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন শক্তিশালী এই কমিটি গঠন করা হয়। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সব প্রার্থীকে নিরাপত্তা দিতে বলার পর সেদিন সন্ধ্যায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারীসহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন। পরদিন মঙ্গলবার মহাজোটের প্রার্থীদের পাশাপাশি ঐক্যজোট প্রার্থীদেরও নিরাপত্তা দিতে ডিআইজি ও এসপিদের নির্দেশনা পাঠানো হয়। ১১ নভেম্বর গঠিত কমিটি এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়, যেকোনো ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ করতে তারা জোরদার অভিযান চালাবে। প্রয়োজনে র্যাব ও বিজিবি সদস্যদেরও অভিযানে ডাকবে তারা। পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। এই নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দায়িত্বরত এলাকাগুলো মনিটরিং করছে। সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে আরো অভিযান জোরালো করা হচ্ছে। তবে তফসিল ঘোষণার পরপরই অভিযান চলছে। অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরা হচ্ছে। বৈধ অস্ত্রধারীদের নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে।’ আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারীকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিতে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমানকে সহসভাপতি ও ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজিপি (টিঅ্যান্ডআইএম) ইকবাল বাহার ও এআইজি (অপারেশন) সাইদ তারিক হাসান সদস্য হিসেবে আছেন। সারা দেশকে চারটি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পড়েছে আট কর্মকর্তার ওপর। এর মধ্যে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং হাইওয়ে রেঞ্জের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম রাজশাহী ও রংপুর মেট্রোপলিটন এবং রাজশাহী ও রংপুর রেঞ্জের দায়িত্ব পেয়েছেন। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ দেখবেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপকমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। খুলনা ও বরিশাল মেট্রোপলিটন এবং খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। আর চট্টগ্রাম ও সিলেট মেট্রোপলিটন এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট রেঞ্জ তদারক করবেন অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান। পুলিশ সদর দপ্তরের একজন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালানো হবে। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাগঞ্জ, খুলনাসহ ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় ওই অভিযান চালানো হতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের ঘাঁটি বলে পরিচিত উল্লিখিত জেলাগুলোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এবং বিগত সংসদ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা হয়। অন্য জেলাগুলোর মধ্যে আছেÑ নোয়াখালী, চাঁদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, নীলফামারী, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, বগুড়া, রংপুর, পাবনা, ঝিনাইদহ, মৌলভীবাজার, গাইবান্ধা, নাটোর, যশোর, কক্সবাজার, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, পিরোজপুর ও লালমনিরহাট। তবে ২৪ ডিসেম্বরের পর জোরালো অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, গত সোমবার নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ আসার পর সব দলের প্রার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দিতে ডিআইজি ও এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটার ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বলেন, মূলত নির্বাচনের সময় এবং আগে-পরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে আইজিপি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
পোলিং এজেন্টদের প্রোফাইল সংগ্রহ নির্বাচনে যারা ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের বিস্তারিত পরিচিতি সংগ্রহ করছে পুলিশ। সদর দপ্তরের আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং ও কো-অর্ডিনেশন সেল থেকে মাঠ পর্যায়ের পুলিশকে সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের তালিকা তৈরি করে তাদের প্রোফাইল সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা পেয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে পুলিশের কো-অর্ডিনেশন সেলের সদস্যরা রংপুর, সিলেট, ররিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল সফর করে ওসি ও এসপিদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যারা পোলিং এজেন্ট থাকবে, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের পাশাপাশি পোলিং বুথেও পুলিশ ও রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে পোলিং এজেন্টদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখছি। কিছু কিছু এলাকায় জঙ্গি ও দাগি সন্ত্রাসীরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।’