ব্যবসায়ীদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী
যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসতে চাই না
বিশেষ প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেনতেনভাবে নয়, জনগণের ভোটেই আবার ক্ষমতায় আসতে চাই। নির্বাচনে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সেজন্য সবার সাহায্য চাই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। আমরা চাই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।’
দুর্নীতি করে নিজের জীবনমান উন্নয়ন করা নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্যÑ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আপনারা বড় বড় ব্যবসায়ী হতে পেরেছেন। পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী বলতে ছিল দু-চারজন। এখন আমাদের ঘর ভরা, দেশ ভরা ব্যবসায়ী।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সালমান এফ রহমান। এ সময় গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, এ কে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সী, প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আকবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কী পেলাম না পেলাম সেটা চিন্তা করি না, চিন্তা করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করে গেলাম, কী রেখে গেলাম। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
তিনি বলেন, আমি ব্যবসা বুঝি না এবং ব্যবসা করিও না। কিন্তু আপনাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ছুড়ে ফেলে দেই না। যতœ সহকারে ব্যাগে রাখি। সরকারে গেলে আমরা ইশতেহার দেখে দেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি। বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের ইশতেহার পাঠিয়ে দেই। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য পরিত্যক্ত সব কলকারখানা জাতীয়করণ করে উৎপাদন শুরু করিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। এমন কোনো সেক্টর ছিল না, যেখানে তার হাতের স্পর্শ লাগেনি। কিন্তু পঁচাত্তরে কুচক্রীদের হাতে শহীদ হওয়ার পর দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে যায়। ২১ বছর পর আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আমরা ক্ষমতায় এসে ব্যবসায়ীরা যাতে সুন্দরভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। মূল ব্যবসা করবে বেসরকারি খাত। সরকারি খাতেও কিছু ব্যবসা থাকবে সেটা হলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা সেভাবেই সরকারি খাতে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে বাকি সব ব্যবসা-বাণিজ্য বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান আমলে একজন নারী কিছু স্বর্ণালঙ্কার কিনলেও সেটাকে ভিন্ন চোখে দেখা হতো। আজ আর সে অবস্থা নেই। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে বাঁচবার দেশ।
শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিনিধি | ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যেনতেনভাবে নয়, জনগণের ভোটেই আবার ক্ষমতায় আসতে চাই। নির্বাচনে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সেজন্য সবার সাহায্য চাই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। আমরা চাই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।’
দুর্নীতি করে নিজের জীবনমান উন্নয়ন করা নয়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্যÑ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আপনারা বড় বড় ব্যবসায়ী হতে পেরেছেন। পাকিস্তান আমলে ব্যবসায়ী বলতে ছিল দু-চারজন। এখন আমাদের ঘর ভরা, দেশ ভরা ব্যবসায়ী।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও সহসভাপতি সালমান এফ রহমান। এ সময় গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিওচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আনিসুর রহমান সিনহা, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, এ কে আজাদ, আতিকুল ইসলাম, টিপু মুন্সী, প্রকৌশলী কুতুব উদ্দিন আহমেদ, রুবানা হক, আহমেদ আকবর সোবহান, সাইফুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুল মুক্তাদির, মাইকেল পলি, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কী পেলাম না পেলাম সেটা চিন্তা করি না, চিন্তা করি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কী করে গেলাম, কী রেখে গেলাম। কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।
তিনি বলেন, আমি ব্যবসা বুঝি না এবং ব্যবসা করিও না। কিন্তু আপনাদের জন্য ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছি। আমরা বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে ছুড়ে ফেলে দেই না। যতœ সহকারে ব্যাগে রাখি। সরকারে গেলে আমরা ইশতেহার দেখে দেখে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করি। বাজেটের আগে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের ইশতেহার পাঠিয়ে দেই। ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাজেট বাস্তবায়ন করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার জন্য পরিত্যক্ত সব কলকারখানা জাতীয়করণ করে উৎপাদন শুরু করিয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরের মাথায় তিনি দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছিলেন। এমন কোনো সেক্টর ছিল না, যেখানে তার হাতের স্পর্শ লাগেনি। কিন্তু পঁচাত্তরে কুচক্রীদের হাতে শহীদ হওয়ার পর দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি থেমে যায়। ২১ বছর পর আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। আমরা ক্ষমতায় এসে ব্যবসায়ীরা যাতে সুন্দরভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। মূল ব্যবসা করবে বেসরকারি খাত। সরকারি খাতেও কিছু ব্যবসা থাকবে সেটা হলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য। আমরা সেভাবেই সরকারি খাতে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে বাকি সব ব্যবসা-বাণিজ্য বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান আমলে একজন নারী কিছু স্বর্ণালঙ্কার কিনলেও সেটাকে ভিন্ন চোখে দেখা হতো। আজ আর সে অবস্থা নেই। বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে বাঁচবার দেশ।