সিইসি বকধার্মিক সেজেছেন : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দেশব্যাপী নির্বাচনী ‘নৈরাজ্য ঢাকতে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বকধার্মিক সেজেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গত বুধবার সিইসির একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নুরুল হুদা তার অস্তিত্বে আঘাত করেছেন। বক্তব্যে সেই বিষয়টি টেনে রিজভী বলেন, ‘দেশব্যাপী নির্বাচনী সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঢাকতে এখন বকধার্মিক সেজেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মাধ্যমে তিনি প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের অস্তিত্বেও আঘাত হেনেছেন।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় সভাপতি শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি আবার যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখেন, তাহলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী। এতসবের পরও সকল বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী সভায় জনগণের ঢল নামছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমতা চেয়েছেন। অথচ ঠিক সেই দিনই মুন্সীগঞ্জে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন। বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছেন শত শত নেতাকর্মী।’ পুলিশই নৌকার প্রার্থীদের আস্থার কেন্দ্র বলে মনে করেন রিজভী। তার অভিযোগ, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করাটাই আওয়ামী লীগের ট্রেডমার্ক। ‘যুগ যুগ ধরে’ জনগণ সেটাই দেখছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দেশব্যাপী নির্বাচনী ‘নৈরাজ্য ঢাকতে’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বকধার্মিক সেজেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গত বুধবার সিইসির একটি বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নুরুল হুদা তার অস্তিত্বে আঘাত করেছেন। বক্তব্যে সেই বিষয়টি টেনে রিজভী বলেন, ‘দেশব্যাপী নির্বাচনী সহিংসতা চলছে। অথচ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সহিংসতা ও নৈরাজ্য ঢাকতে এখন বকধার্মিক সেজেছেন। সিইসি বলেছেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এর মাধ্যমে তিনি প্রভুদের সন্তুষ্ট করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের অস্তিত্বেও আঘাত হেনেছেন।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় সভাপতি শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি আবার যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখেন, তাহলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী। এতসবের পরও সকল বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী সভায় জনগণের ঢল নামছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমতা চেয়েছেন। অথচ ঠিক সেই দিনই মুন্সীগঞ্জে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তিনজন। বিএনপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছেন। হামলার শিকার হয়েছেন শত শত নেতাকর্মী।’ পুলিশই নৌকার প্রার্থীদের আস্থার কেন্দ্র বলে মনে করেন রিজভী। তার অভিযোগ, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ করাটাই আওয়ামী লীগের ট্রেডমার্ক। ‘যুগ যুগ ধরে’ জনগণ সেটাই দেখছে।