প্রচারে সরব আ.লীগ বিএনপি নীরব
আহসান পাভেল, কলাপাড়া | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র আট দিন। পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ব্যস্ত সময় কাটছে ভোটের মাঠে।
মূলত উৎসবমুখর প্রচারে আছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা, সুধীসমাবেশসহ প্রচারের বিভিন্ন মাধ্যমে তারা সরব। গত ১০ বছরে উপকূলীয় এ এলাকায় সরকার নানা উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়েছে। এসব কর্মকা- তুলে ধরে ভোটারদের আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ আসনে পরপর তিনবার সাংসদ ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহিব্বুর রহমান মহিব। বিভিন্ন সমাবেশে তিনি নিজেকে ও পারিবারিক ঐতিহ্য ভোটারদের মাঝে তুলে ধরছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দুই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে। গত ১১ ডিসেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া বাজারে পাশাপাশি সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার পর থেকে ধানের শীষের পক্ষে মাইকিং ছাড়া তেমন কোনো প্রচার দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশ ও প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীরা যার যার মতো কৌশলে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, বিরোধীপক্ষ নির্বাচনে ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে একে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো ফৌজদারি অভিযোগ হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এবার এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয়জন। মহিব্বুর রহমান, এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ অন্যরা হলেন আনোয়ার হাওলাদার (জাতীয় পার্টি), জহিরুল আলম (বাসদ), মুফতি মো. হাবিবুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ) ও আবদুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী ঐক্যজোট)।
শেয়ার করুন
আহসান পাভেল, কলাপাড়া | ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র আট দিন। পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ব্যস্ত সময় কাটছে ভোটের মাঠে।
মূলত উৎসবমুখর প্রচারে আছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। উঠান বৈঠক, মিছিল, পথসভা, সুধীসমাবেশসহ প্রচারের বিভিন্ন মাধ্যমে তারা সরব। গত ১০ বছরে উপকূলীয় এ এলাকায় সরকার নানা উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়েছে। এসব কর্মকা- তুলে ধরে ভোটারদের আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ আসনে পরপর তিনবার সাংসদ ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান। কিন্তু এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মহিব্বুর রহমান মহিব। বিভিন্ন সমাবেশে তিনি নিজেকে ও পারিবারিক ঐতিহ্য ভোটারদের মাঝে তুলে ধরছেন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন দুই উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও ভিন্ন চিত্র বিএনপিতে। গত ১১ ডিসেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া বাজারে পাশাপাশি সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তার পর থেকে ধানের শীষের পক্ষে মাইকিং ছাড়া তেমন কোনো প্রচার দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়া হচ্ছে, তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশ ও প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীরা যার যার মতো কৌশলে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসান বলেন, বিরোধীপক্ষ নির্বাচনে ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে একে বিতর্কিত করার জন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো ফৌজদারি অভিযোগ হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এবার এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয়জন। মহিব্বুর রহমান, এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ অন্যরা হলেন আনোয়ার হাওলাদার (জাতীয় পার্টি), জহিরুল আলম (বাসদ), মুফতি মো. হাবিবুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী অন্দোলন বাংলাদেশ) ও আবদুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী ঐক্যজোট)।