‘ভূতের’ পেছনে ২১০০ কোটি!
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
বাস্তবে কোনো উপস্থিতি নেই, কিন্তু চাকরির খাতায় নাম আছে। মাসে মাসে তুলেছেন বেতনও। এমন ৩০ হাজার ভৌতিক কর্মীর খোঁজ পেয়েছে মোজাম্বিক সরকার। দুই বছরে তাদের পেছনে খোয়া গেছে ২৫ কোটি ইউএস ডলার বা প্রায় ২১০০ কোটি টাকা।
আফ্রিকার গরিব দেশটির সরকারি ব্যয়ের ৫৫ শতাংশই যায় কর্মচারীদের বেতনে। তাদের অস্তিত্ব যাচাইয়ের এক পরীক্ষায় দেখা যায়, কর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই মৃত অথবা কল্পিত।
মোজাম্বিকের জনপ্রশাসনমন্ত্রী কারমেলিতা নামাসুলুয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে সম্প্রতি বলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, নিয়মিত বেতন তুললেও ৩০ হাজার কর্মচারীর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। যদিও তাদের পেছনে রাষ্ট্রের ২১০০ কোটি টাকা টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও উপস্থিতি যাচাইয়ে দেশব্যাপী এ পরীক্ষা চালায় সরকার। এতে তিন লাখ ৪৮ হাজার জনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।
৩০ হাজার কর্মচারীর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। যদিও তাদের পেছনে রাষ্ট্রের ২১০০ কোটি টাকা টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও উপস্থিতি যাচাইয়ে দেশব্যাপী এ পরীক্ষা চালায় সরকার। এতে তিন লাখ ৪৮ হাজার জনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।
দেশটিতে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও কম নয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে ১৮০টি দেশের মধ্যে মোজাম্বিকের অবস্থান ছিল ১৫৩তম। সূত্র: এএফপি।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

বাস্তবে কোনো উপস্থিতি নেই, কিন্তু চাকরির খাতায় নাম আছে। মাসে মাসে তুলেছেন বেতনও। এমন ৩০ হাজার ভৌতিক কর্মীর খোঁজ পেয়েছে মোজাম্বিক সরকার। দুই বছরে তাদের পেছনে খোয়া গেছে ২৫ কোটি ইউএস ডলার বা প্রায় ২১০০ কোটি টাকা।
আফ্রিকার গরিব দেশটির সরকারি ব্যয়ের ৫৫ শতাংশই যায় কর্মচারীদের বেতনে। তাদের অস্তিত্ব যাচাইয়ের এক পরীক্ষায় দেখা যায়, কর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই মৃত অথবা কল্পিত।
মোজাম্বিকের জনপ্রশাসনমন্ত্রী কারমেলিতা নামাসুলুয়া রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাকে সম্প্রতি বলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, নিয়মিত বেতন তুললেও ৩০ হাজার কর্মচারীর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। যদিও তাদের পেছনে রাষ্ট্রের ২১০০ কোটি টাকা টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও উপস্থিতি যাচাইয়ে দেশব্যাপী এ পরীক্ষা চালায় সরকার। এতে তিন লাখ ৪৮ হাজার জনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।
৩০ হাজার কর্মচারীর বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। যদিও তাদের পেছনে রাষ্ট্রের ২১০০ কোটি টাকা টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি জানান, কর্মীদের কাজের দক্ষতা ও উপস্থিতি যাচাইয়ে দেশব্যাপী এ পরীক্ষা চালায় সরকার। এতে তিন লাখ ৪৮ হাজার জনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়।
দেশটিতে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও কম নয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে ১৮০টি দেশের মধ্যে মোজাম্বিকের অবস্থান ছিল ১৫৩তম। সূত্র: এএফপি।