তারাই একমাত্র ভরসা : ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
সারা দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ চলছে অভিযোগ করে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা। গতকাল সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। এটাকে কোনো নির্বাচনই বলা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, আর মাত্র ২-৩ বছর পর আমরা ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছি। সেদিন আমরা যাতে বলতে পারিÑ এমন একটি সরকার পেয়েছি, যারা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, সবাইকে ভোট দিতে যাওয়া উচিত। জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে। পরিবর্তনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গ টেনে কামাল হোসেন বলেন, অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আশা করি, এ নির্বাচনেও তারা অতীতের মতো জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে ভূমিকা রাখবে। গণবিরোধী শক্তি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধের পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আশা করি সেনাবাহিনী প্রশাসন ও গণবিরোধী শক্তির পথ ধরবে না। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ইনশাআল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকব।
লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ড. কামাল বলেন, ভোট দেওয়া তো দূরের কথা, কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না, অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা যে, স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ নিরাপদ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

সারা দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে হামলা এবং প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ চলছে অভিযোগ করে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীই এখন একমাত্র ভরসা। গতকাল সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যৌথ প্রযোজনায় নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশায় পরিণত করা হয়েছে। এটাকে কোনো নির্বাচনই বলা যায় না। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, আর মাত্র ২-৩ বছর পর আমরা ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছি। সেদিন আমরা যাতে বলতে পারিÑ এমন একটি সরকার পেয়েছি, যারা সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, সবাইকে ভোট দিতে যাওয়া উচিত। জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আছে। পরিবর্তনের জন্য তারা ঐক্যবদ্ধ। সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গ টেনে কামাল হোসেন বলেন, অতীতে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে। আশা করি, এ নির্বাচনেও তারা অতীতের মতো জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে ভূমিকা রাখবে। গণবিরোধী শক্তি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধের পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আশা করি সেনাবাহিনী প্রশাসন ও গণবিরোধী শক্তির পথ ধরবে না। এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ইনশাআল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকব। লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে ড. কামাল বলেন, ভোট দেওয়া তো দূরের কথা, কাউকে ঘরে ঘুমাতেও দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হচ্ছে না, অন্যদিকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ভিসাও দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা চেয়ারম্যানদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আইন থাকলেও হাইকোর্ট থেকে তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র ভরসা যে, স্বাধীনতার সময় অনন্য ভূমিকা পালনকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ নিরাপদ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের যুগ্ম সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।