কামরাঙ্গীরচরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
নৌকায় তুলে নেব লাঙ্গল
বিশেষ প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ঢাকা-৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে নৌকায় তুলে নেওয়া হবে লাঙ্গল। গতকাল সোমবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
জনসভায় উপস্থিত জনতার সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তো?’ ওই সময় লোকজন হাত তুলে তার প্রতি সমর্থনের কথা জানান।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার কথা জানান; জোর দেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর। ওই সময় কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা তুলে ধরে কামরাঙ্গীরচরে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদকে পরিচয় করাতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে আমরা (মনোনয়ন) দিয়েছি অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদকে। কোনো অসুবিধা নাই; ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব। তবে এখন লাঙ্গল মার্কায় ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য আমরা ভোট চাচ্ছি। তিনি ছাত্রলীগ করেছিলেন, এখন করেন জাতীয় পার্টি। চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সঙ্গে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবেই লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি এখন নির্বাচন করছেন। ছিলেন নৌকা মার্কায়, গেছেন লাঙ্গল মার্কায়।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন আট আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সভাস্থলেই আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। রাজধানীবাসীর উন্নয়নে উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকার মানুষ যাতে নাগরিক সেবাটা ভালোভাবে পায়, যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং প্রত্যেকটা ইউনিয়নকে আমরা এই মহানগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছি। ১৭টি ইউনিয়ন, ঢাকাকে আমরা উত্তর এবং দক্ষিণÑএভাবে ভাগ করে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। আপনাদের কাছে আমরা ভোট চাই। আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ এর আগে দেওয়া ভাষণগুলোতে দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কামরাঙ্গীরচরের জনসভায় একই ভাবনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের কোনো মানুষ আর দরিদ্র থাকবে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধু তাদেরই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা জোর করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর নির্যাতন, শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। তাই বিএনপিকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’ আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে; অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের থেকে পরিত্রাণ পেতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।
শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ঢাকা-৬ আসনে মহাজোটের প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য ভোট চাইতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে নৌকায় তুলে নেওয়া হবে লাঙ্গল। গতকাল সোমবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
জনসভায় উপস্থিত জনতার সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। তাদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন তো?’ ওই সময় লোকজন হাত তুলে তার প্রতি সমর্থনের কথা জানান। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সরকারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার কথা জানান; জোর দেন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর। ওই সময় কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা তুলে ধরে কামরাঙ্গীরচরে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগের কথাও জানান তিনি। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদকে পরিচয় করাতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে আমরা (মনোনয়ন) দিয়েছি অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদকে। কোনো অসুবিধা নাই; ভবিষ্যতে আমরা লাঙ্গল নৌকায় তুলে নেব। তবে এখন লাঙ্গল মার্কায় ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদের জন্য আমরা ভোট চাচ্ছি। তিনি ছাত্রলীগ করেছিলেন, এখন করেন জাতীয় পার্টি। চলে গেছেন এরশাদ সাহেবের সঙ্গে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবেই লাঙ্গল মার্কা নিয়ে তিনি এখন নির্বাচন করছেন। ছিলেন নৌকা মার্কায়, গেছেন লাঙ্গল মার্কায়।’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন আট আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। সভাস্থলেই আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। রাজধানীবাসীর উন্নয়নে উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকার মানুষ যাতে নাগরিক সেবাটা ভালোভাবে পায়, যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে গেছে এবং প্রত্যেকটা ইউনিয়নকে আমরা এই মহানগরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দিয়েছি। ১৭টি ইউনিয়ন, ঢাকাকে আমরা উত্তর এবং দক্ষিণÑএভাবে ভাগ করে দিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের যেকোনো মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে। আপনাদের কাছে আমরা ভোট চাই। আমাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।’ এর আগে দেওয়া ভাষণগুলোতে দেশ থেকে দারিদ্র্য নির্মূলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কামরাঙ্গীরচরের জনসভায় একই ভাবনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে পারলে দেশের কোনো মানুষ আর দরিদ্র থাকবে না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন শুধু তাদেরই ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু জনগণের কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা জোর করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ওপর নির্যাতন, শোষণ ও অত্যাচার শুরু করে। তাই বিএনপিকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’ আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে; অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের থেকে পরিত্রাণ পেতে নৌকায় ভোট দিতে হবে।