নওয়াজ শরিফের ৭ বছরের জেল
রূপান্তর ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
পাকিস্তানের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত এই রায় ঘোষণা করে বলে জানিয়েছে ডন। আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজা পেলেও ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।
গত ৬ জুলাই লন্ডনে কেনা বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধে দেওয়া অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। তার মেয়ে মরিয়মকে দেওয়া হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড। মরিয়মের স্বামী ও নওয়াজের মেয়ের জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদরকেও আদালত এক বছরের সাজা দেয়। গত সেপ্টেম্বরে নি¤œ আদালতের দেওয়া এ রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ। মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ৫ লাখ রুপিতে নওয়াজ ও তার পরিবারের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায় ঝুলে থাকলেও গতকাল সোমবার নওয়াজের বিরুদ্ধে অন্য দুই দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে আড়াই কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নওয়াজের সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। রায় ঘোষণার পর নওয়াজকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাকে জেলে স্থানান্তরের কথা। নওয়াজকে আদিয়ালা জেলে না পাঠিয়ে লাহোরের কোট লাখপাত জেলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তার আইনজীবী। অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ ও আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা ছিল। রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে গত রোববার নওয়াজ লাহোর থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছান। দুপুর ২টার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি। তার পৌঁছানোর পরই রায় ঘোষণা করে আদালত।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

পাকিস্তানের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার পাকিস্তানের অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালত এই রায় ঘোষণা করে বলে জানিয়েছে ডন। আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজা পেলেও ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।
গত ৬ জুলাই লন্ডনে কেনা বিলাসবহুল চারটি ফ্ল্যাটের মূল্য পরিশোধে দেওয়া অর্থের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। তার মেয়ে মরিয়মকে দেওয়া হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড। মরিয়মের স্বামী ও নওয়াজের মেয়ের জামাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ সফদরকেও আদালত এক বছরের সাজা দেয়। গত সেপ্টেম্বরে নি¤œ আদালতের দেওয়া এ রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ। মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ৫ লাখ রুপিতে নওয়াজ ও তার পরিবারের সংশ্লিষ্ট সদস্যদের জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অ্যাভেনফিল্ড মামলার রায় ঝুলে থাকলেও গতকাল সোমবার নওয়াজের বিরুদ্ধে অন্য দুই দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে আড়াই কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নওয়াজের সম্পত্তি জব্দ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর ফ্ল্যাগশিপ দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। রায় ঘোষণার পর নওয়াজকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাকে জেলে স্থানান্তরের কথা। নওয়াজকে আদিয়ালা জেলে না পাঠিয়ে লাহোরের কোট লাখপাত জেলে পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তার আইনজীবী। অনুরোধ বিবেচনায় নিয়ে তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছে আদালত।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ ও আল আজিজিয়া দুর্নীতি মামলায় নওয়াজের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা ছিল। রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে গত রোববার নওয়াজ লাহোর থেকে ইসলামাবাদে পৌঁছান। দুপুর ২টার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তিনি। তার পৌঁছানোর পরই রায় ঘোষণা করে আদালত।