আমি শুধু প্রধানমন্ত্রী নই, বাপের মেয়ে : শেখ হাসিনা
বিশেষ প্রতিনিধি | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এক নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। ওই সময় প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকার নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশবাসী পছন্দ করেনি, করবেও না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ আবার সেই জবাব দেবে। শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে কুমিল্লা জেলার ১১ আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতকর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে।
টাঙ্গাইলে আট আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে উন্নয়ন হয়। এখন সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। এই নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সবার অংশগ্রহণে এ নির্বাচন অর্থবহ হবে।
নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় টেলিফোনে বক্তব্য দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। আমরা আবার সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত মিলে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এবং ৪৪১ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ১৭০টি অফিস-বাড়িঘর তারা ভাঙচুর, ৫৪টি স্থানে বোমা, পেট্রল বোমা হামলাও চালানো হয়েছে। ৬৮টি স্থাপনা ও যানবাহন এবং পুলিশের ওপরও তারা হামলা করেছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে উপস্থিত ছিলেন। সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আবেগাপ্লুত সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যাÑফাদারস ডটার। আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্বÑএটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই।’ ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবেÑ আপনারা কিন্তু আপনাদের দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করবেন। কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারী।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন তথা এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিনিধি | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারে ইঙ্গিত দিয়ে তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির সুধাসদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এক নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তারা (বিএনপি-জামায়াত) যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। ওই সময় প্রার্থীদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকার নির্দেশনা দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দেশবাসী পছন্দ করেনি, করবেও না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ আবার সেই জবাব দেবে। শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করবে। ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতে কুমিল্লা জেলার ১১ আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতকর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে।
টাঙ্গাইলে আট আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে উন্নয়ন হয়। এখন সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। এই নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সবার অংশগ্রহণে এ নির্বাচন অর্থবহ হবে।
নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় টেলিফোনে বক্তব্য দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। আমরা আবার সরকার গঠন করে জনগণের সেবা করতে সক্ষম হব।
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত মিলে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে এবং ৪৪১ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগের ১৭০টি অফিস-বাড়িঘর তারা ভাঙচুর, ৫৪টি স্থানে বোমা, পেট্রল বোমা হামলাও চালানো হয়েছে। ৬৮টি স্থাপনা ও যানবাহন এবং পুলিশের ওপরও তারা হামলা করেছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে উপস্থিত ছিলেন। সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আবেগাপ্লুত সরকারপ্রধান বলেন, ‘নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যাÑফাদারস ডটার। আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্বÑএটা একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কাজ করার সুযোগ পাই এর মাধ্যমে। দেশের কল্যাণ করার একটা সুযোগ পাই।’ ওই সময় প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন এটাই থাকবেÑ আপনারা কিন্তু আপনাদের দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করবেন। কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারী।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন তথা এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।