ভোটের আগে ঢাকা ফাঁকা
তামজিদ হাসান | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আজ শুক্রবার থেকে ভোটের দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটি। এ সুযোগে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। ছুটির আমেজে তাই ফাঁকা হয়ে উঠছে ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।
গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট, কল্যাণপুর, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাট ঘুরে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়। কেউ যাচ্ছে ছুটি কাটাতে, কেউ নিজ এলাকায় ভোট দিতে। কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য ভিড়
জমান অনেকে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, ছুটি সামনে রেখে বেচাবিক্রি কম।
জানতে চাইলে গাবতলীতে টিকিট কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার, এবারই প্রথম ভোট দেব। ইউনিভার্সিটি বন্ধ, তাই ছুটি কাটাতে ও ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছি।’
ভোট দেওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তরুণ ভোটার বলেন, ভোট দিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তবে ভোট দিতে পারব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বাস কাউন্টারগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারীরা। জানতে চাইলে উত্তরবঙ্গগামী এসএন পরিবহনের ব্যবস্থাপক নাহিদ কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, দু-তিন দিন ধরে যাত্রীর অনেক চাপ। আজকে (গতকাল) আমাদের গাড়িতে কোনো সিট ফাঁকা নেই। কালও নেই। তবে পরশু থেকে আবার টিকিট পাওয়া যাবে। হক পরিবহনের ব্যবস্থাপক এনামুল হক জানান, গাড়িতে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। তবে পরদিন থেকে তা কমবে।
একই চিত্র দক্ষিণবঙ্গগামী বাসগুলোরও। সিট নেই, যাত্রীর চাপ বেশি। জানতে চাইলে সাতক্ষীরাগামী সেভেন কে লাইনের ব্যবস্থাপক একে আজাদ জানান, মানুষ ঈদের মতো টানা ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছে। তাই টিকিট নেই, যাত্রীর চাপ বেশি। তিনি বলেন, মানুষ কেন বাড়ি যাচ্ছে তা বলা কঠিন। সামনে ভোট এটাও তাদের বাড়ি যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে। আবার বছরের শেষ, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই অনেকে ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছে।
শেয়ার করুন
তামজিদ হাসান | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আজ শুক্রবার থেকে ভোটের দিনসহ টানা তিন দিনের ছুটি। এ সুযোগে রাজধানী ছাড়ছেন অনেকেই। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। ছুটির আমেজে তাই ফাঁকা হয়ে উঠছে ঢাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।
গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট, কল্যাণপুর, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও সদরঘাট ঘুরে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়। কেউ যাচ্ছে ছুটি কাটাতে, কেউ নিজ এলাকায় ভোট দিতে। কাউন্টারগুলোতে টিকিটের জন্য ভিড়
জমান অনেকে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, ছুটি সামনে রেখে বেচাবিক্রি কম।
জানতে চাইলে গাবতলীতে টিকিট কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন ভোটার, এবারই প্রথম ভোট দেব। ইউনিভার্সিটি বন্ধ, তাই ছুটি কাটাতে ও ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছি।’
ভোট দেওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক তরুণ ভোটার বলেন, ভোট দিতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তবে ভোট দিতে পারব কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বাস কাউন্টারগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারীরা। জানতে চাইলে উত্তরবঙ্গগামী এসএন পরিবহনের ব্যবস্থাপক নাহিদ কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, দু-তিন দিন ধরে যাত্রীর অনেক চাপ। আজকে (গতকাল) আমাদের গাড়িতে কোনো সিট ফাঁকা নেই। কালও নেই। তবে পরশু থেকে আবার টিকিট পাওয়া যাবে। হক পরিবহনের ব্যবস্থাপক এনামুল হক জানান, গাড়িতে যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। তবে পরদিন থেকে তা কমবে।
একই চিত্র দক্ষিণবঙ্গগামী বাসগুলোরও। সিট নেই, যাত্রীর চাপ বেশি। জানতে চাইলে সাতক্ষীরাগামী সেভেন কে লাইনের ব্যবস্থাপক একে আজাদ জানান, মানুষ ঈদের মতো টানা ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছে। তাই টিকিট নেই, যাত্রীর চাপ বেশি। তিনি বলেন, মানুষ কেন বাড়ি যাচ্ছে তা বলা কঠিন। সামনে ভোট এটাও তাদের বাড়ি যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে। আবার বছরের শেষ, স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই অনেকে ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছে।