রাজধানীর মোড়ে মোড়ে টহল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ভোটের। শেষ মুহূর্তে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়েছেন বিভিন্ন মোড়ে। শুরু হয়েছে তল্লাশিও। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলামোটর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম দেখা গেছে। এদিন রাজধানীর অন্তত ২১টি পয়েন্টে টহল কার্যক্রম চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিনব্যাপী রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর এলাকা, খিলক্ষেত, মহাখালী, মগবাজার, হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী এলাকায় টহল দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত রাখতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী ও আনসার বাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয় থেকে র্যাবের টহল শুরু হয়। গুলশান, আবদুল্লাহপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের চেকপোস্ট তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো সহিংসতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আমাদের টহল ও গোযেন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
ডিএমপির কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও চেকপোস্ট তল্লাশির পাশাপাশি ফুট প্যাট্রল, ভেহিকল প্যাট্রল ও মোবাইল প্যাট্রল বাড়ানো হয়েছে । একই সঙ্গে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোয়াট ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। পুরো ঢাকা শহরে ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আগামীকাল রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ভোটের। শেষ মুহূর্তে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়েছেন বিভিন্ন মোড়ে। শুরু হয়েছে তল্লাশিও। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলামোটর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম দেখা গেছে। এদিন রাজধানীর অন্তত ২১টি পয়েন্টে টহল কার্যক্রম চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল দিনব্যাপী রাজধানীর উত্তরা, বিমানবন্দর এলাকা, খিলক্ষেত, মহাখালী, মগবাজার, হাতিরঝিল, গুলশান, বনানী এলাকায় টহল দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোটের মাঠ সংঘাতমুক্ত রাখতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী ও আনসার বাহিনী ছাড়াও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব-১-এর কার্যালয় থেকে র্যাবের টহল শুরু হয়। গুলশান, আবদুল্লাহপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের চেকপোস্ট তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক যেকোনো সহিংসতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আমাদের টহল ও গোযেন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র্যাবের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবে, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
ডিএমপির কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও চেকপোস্ট তল্লাশির পাশাপাশি ফুট প্যাট্রল, ভেহিকল প্যাট্রল ও মোবাইল প্যাট্রল বাড়ানো হয়েছে । একই সঙ্গে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোয়াট ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএমপির উপকমিশনার মাসুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। পুরো ঢাকা শহরে ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
আগামীকাল রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯টি আসনে একযোগে ভোট হবে।