ঐক্যফ্রন্টের আশা ভোটের নিরাপদ পরিবেশ করবে সেনাবাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ৩০ ডিসেম্বর ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবে বলে আশা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক। ড. কামাল বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টকে প্রচারণায় নানাভাবে বাধা দেওয়া ও গণগ্রেপ্তারের বিষয়টি আজ সবার জানা। তারপরও ভোটাররা কিন্তু থেমে নেই। তারা নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে যার যার এলাকায় ফিরে গেছেন ১০ বছর পর তাদের কাক্সিক্ষত ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। তারা মূলত ভোট উৎসবের অপেক্ষায়।’
তিনি বলেন, ‘চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্বয়ং মার্কিন রাষ্ট্রদূত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবও। তাদের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। কিন্তু ভীতিকর অবস্থার কাক্সিক্ষত উন্নতি বা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।’ ড. কামাল আরো বলেন, ‘নির্বাচনের দিন অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনৈক কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে সেদিন রক্তক্ষয়ী পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা অথবা জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী-নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মোটেও ভীত নন। ভোটাররাও ভয় পাবেন না।’
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার দিন কারাগারে ছিল ৯০ হাজার বন্দি। অথচ গত বৃহস্পতিবার তা দাঁড়ায় ৯৭ হাজারে। বর্তমানে সেটা বেড়ে লক্ষাধিক। ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে ৮৪৪টি, আহত হন ১৩ সহস্রাধিক, নিহত ৯ জন, হামলা হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬টি। দিন দিন এ পরিসংখ্যান জ্যামিতিক হারে বাড়ছেই। গণগ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে দেশের কারাগারগুলোকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের দিয়ে ভরে ফেলা হচ্ছে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ৩০ ডিসেম্বর ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করে দেবে বলে আশা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামালের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগলুল হায়দার আফ্রিক। ড. কামাল বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টকে প্রচারণায় নানাভাবে বাধা দেওয়া ও গণগ্রেপ্তারের বিষয়টি আজ সবার জানা। তারপরও ভোটাররা কিন্তু থেমে নেই। তারা নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে যার যার এলাকায় ফিরে গেছেন ১০ বছর পর তাদের কাক্সিক্ষত ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। তারা মূলত ভোট উৎসবের অপেক্ষায়।’
তিনি বলেন, ‘চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্বয়ং মার্কিন রাষ্ট্রদূত। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবও। তাদের পক্ষ থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে ভোটের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। কিন্তু ভীতিকর অবস্থার কাক্সিক্ষত উন্নতি বা পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না।’ ড. কামাল আরো বলেন, ‘নির্বাচনের দিন অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনৈক কর্মকর্তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে সেদিন রক্তক্ষয়ী পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা অথবা জনমনে ভীতি সঞ্চার করার জন্য এসব বলা হচ্ছে। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী-নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মোটেও ভীত নন। ভোটাররাও ভয় পাবেন না।’
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার দিন কারাগারে ছিল ৯০ হাজার বন্দি। অথচ গত বৃহস্পতিবার তা দাঁড়ায় ৯৭ হাজারে। বর্তমানে সেটা বেড়ে লক্ষাধিক। ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে ৮৪৪টি, আহত হন ১৩ সহস্রাধিক, নিহত ৯ জন, হামলা হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬টি। দিন দিন এ পরিসংখ্যান জ্যামিতিক হারে বাড়ছেই। গণগ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে দেশের কারাগারগুলোকে ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের দিয়ে ভরে ফেলা হচ্ছে।’