
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বড় বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে এ বিজয়ের কৃতিত্ব শেখ হাসিনার বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারা বলেছে, নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগের পক্ষে এলে তা বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করা হবে। গতকাল রবিবার নির্বাচন শেষ হলে সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
আবদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমাদের নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে জনগণের রায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের মাধ্যমে এবং দলীয় সূত্র থেকে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটের ব্যবধানে অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করবে।
এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা জাতির সামনে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল দাবি করে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে, স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের অধীনে তা সম্পন্ন হয়েছে। এর সব কৃতিত্বের দাবিদার শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যিনি সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধান অনুযায়ী কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয় তার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
আবদুর রহমান আরো বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়েছে। একই সঙ্গে ২৯৯টি নির্বাচনী আসনের ৪০ হাজার ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২টি আসনের মাত্র ১৬টি ভোটকেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়েছে। এমনকি নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণও ছিল আশাব্যঞ্জক। এ সময় তিনি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি দলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া প্রমুখ।
বিক্ষিপ্ত সহিংসতা ও ভোট কারচুপির অভিযোগের মধ্যে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশাতীত জয় পেয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রায় সব আসনেই আকাশ-পাতাল ব্যবধান রেখে জিতেছে তাদের প্রার্থী। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে দাবি করা হলেও ব্যাপক ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করে আবার তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি ও সংলগ্ন এলাকার সড়কগুলোয় সেনাবাহিনীর টহলের মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপিপ্রধান বিরোধী এই জোটের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে; দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোতে নিহতদের বেশিরভাগই ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ভোট চলাকালে ৫৯ জন প্রার্থীর ভোট বর্জন ও কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের ঘটনাও ঘটেছে। এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া নিয়ে স্বস্তি-অস্বস্তি ছিল মানুষের মধ্যে। সব কেন্দ্রেই সরব উপস্থিতি ছিল নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের। তবে ধানের শীষের কর্মীদের তেমন দেখা যায়নি। সব মিলে ভোটের শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের শক্ত অবস্থান ছিল কেন্দ্রগুলোতে।
রাত সোয়া ২টা পর্যন্ত পাওয়া বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৫৭টিতে, জাতীয় পার্টি ২২টিতে, ঐক্যফ্রন্ট ৬টিতে, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ২টিতে আর স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল মিলে ৬টিতে জয়ী হয়েছে। বাকি ৬টি আসনের ফল ঘোষণা বাকি ছিল। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৯ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, তিনজন বাদে তাদের সবাই জয় পেয়েছে।
সকালে অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিত্র বদলে যেতে থাকে। ক্ষমতাসীন প্রার্থীর সমর্থকদের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে অনেকে কেন্দ্রে গিয়ে ‘নিজের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন। অনেকে আগে ভোটার স্লিপ হাতে না পাওয়ায় ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটার নম্বর খুঁজে বের করতে হিমশিম খেয়েছেন। সব মিলে দুপুরের পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমে যায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালেই রাজধানীর ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে বলেছেন, নৌকার জয় হবেই হবে। নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কাল সারা রাত (শনিবার) পরিস্থিতি মনিটর করেছি। কয়েকটি জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে। এগুলো খুবই দুঃখজনক। আমাদের চারজনকে হত্যা করেছে। হত্যা করার ধরন একই রকম। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মোট ১০ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। আমরা সহিংসতা চাই না। শান্তিপূর্ণভাবে জনগণ ভোট দেবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।’
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সকালে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। নির্বাচন সংঘাতহীন হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘বাংলাদেশের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে, আমি বলতে পারি যে এবারের নির্বাচন সংঘাতহীন হয়েছে।’ কিছু জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা ‘অত্যন্ত নগণ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের রাধা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর বলেছেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। তারা আশাবাদী মহাজোট ক্ষমতায় আসবে।
গতকাল রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তাদের জোটসঙ্গী বিএনপি সারা দেশে ২০ ভাগ কেন্দ্রে ভোট কারচুপি হয়েছে বলে দাবি করেছে।
অনিয়মের অভিযোগ এনে ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী আফরোজা আব্বাস ভোট দেননি। ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে নামার পর হামলার শিকার হয়েছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে নিজে এলাকায় ভোট দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছি এখানের ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এই কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। কিন্তু আমি এরই মধ্যে অভিযোগ পেয়েছি বেগুনবাড়ি এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ কেন্দ্র দখল করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’
পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জামায়াতে ইসলামী ও স্বতন্ত্রসহ অন্তত ৫৯ জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। এর মধ্যে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে জামায়াতের ২২ প্রার্থী ও দলের স্বতন্ত্র চার প্রার্থী, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৩০ জন ও বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা-১ আসন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, হবিগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নীলফামারী, শেরপুর, জামালপুর, যশোর, ময়মনসিংহ, রাজবাড়ী, গাজীপুর, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসন রয়েছে।
সংঘাত, সহিংসতার কারণে সারা দেশে মোট ২২টি কেন্দ্র স্থগিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সারা দেশে ২৯৯ আসনে মোট ৪০ হাজার ৫১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। এই হিসাবে বাতিল হওয়া কেন্দ্রের সংখ্যা দশমিক শূন্য ৫ শতাংশের মতো।
তবে ঢাকার কয়েকটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক। ভিকারুননিসা নূন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কানাডার এক পর্যবেক্ষক বলেন, ‘আমরা কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং দেখেছি ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারছে।’ ভারতের পর্যবেক্ষক গৌতম ঘোষও একই রকম সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
থাইল্যান্ডভিত্তিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার জোট এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (আনফ্রেল) নির্বাচন নিয়ে করা শঙ্কার জবাবে ‘দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার পুরোপুরিভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছেন’ বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের সঙ্গে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটে আকাশ-পাতাল ব্যবধান দেখা গেছে। কোনো কোনো আসনে বিএনপি প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের পাওয়া ভোটের চেয়েও কম। অনেক আসনে বিএনপির প্রার্থীরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীদের চেয়েও অনেক কম ভোট পেয়েছেন। গতরাত পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন আসনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যত ভোটার ভোট দিয়েছে তার ৮০ ভাগের বেশি ভোট পেয়েছেন আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীরা। বাকি ২০ ভাগ পেয়েছেন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট, স্বতন্ত্র ও অন্য দলের প্রার্থীরা। আসনভিত্তিক ভোটচিত্র পর্যালোচনায় আরো দেখা গেছে, এবারের মতো এত বড় ব্যবধানে কখনো জয় দেখেনি বাংলাদেশ। দল বা জোটগতভাবেও আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটের ব্যবধান এমন আকাশ-পাতাল হয়নি।
১৯৯১ সাল থেকে গত কয়েকটি নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত প্রার্থী, কিংবা আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটের অনুপাত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বেশিরভাগ আসনেই কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। কোনো কোনো আসনে বড় ব্যবধানে প্রার্থীরা জয়লাভ করলেও এভাবে দেড়-দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করা প্রার্থী ছিলেন হাতেগোনা কয়েকজন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ৩০ দশমিক ৮১ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪০টি আসনে জয়লাভ করে। তার চেয়ে মাত্র ২৫ লাখ ভোট কম বা ৩০ দশমিক ০৮ শতাংশ পেয়ে ৮৮টি আসন পায় আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে, ৩৩ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোট নিয়ে ১১৬টি পায় বিএনপি।
কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০১ সালে প্রথম জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট প্রায় ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে। মূল শরিক দল বিএনপি পায় ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ভোট। এককভাবে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ভোট পায় ৪০ শতাংশের মতো। পরের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, ১৪ দল নিয়ে মহাজোট গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৪ আসনে প্রার্থী দিয়ে ৪৮ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট পায়। তাদের শরিক জাতীয় পার্টি পায় ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে। অন্যদিকে বিএনপি ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ, জামায়াতের ৪ দশমিক ৭ শতাংশসহ চারদলীয় জোট পায় প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০-১৫ শতাংশ ভোটার পাঁচ বছরের ব্যবধানে ভোটের সিদ্ধান্ত বদল করে। এসব ভোট সাধারণত বিরোধীপক্ষ পেয়ে থাকে। তবে এবার তা হয়নি। এছাড়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর নতুন যে প্রায় আড়াই কোটি ভোটার যুক্ত হয়েছে, তাদের কোনো ভোটই বিরোধীপক্ষ পায়নি। উল্টো আগের নির্বাচনগুলোতে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষের ভোটারদের ভোট এবার আওয়ামী লীগ ও মহাজোট পেয়েছে।
পটুয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ স ম ফিরোজ ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৩ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। ওই আসনে বিএনপির প্রার্থী সালমা আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৬০ ভোট। সেখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা নজরুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ২৬৯ ভোট।
গত কয়েকটি নির্বাচনে এ আসনের ভোটচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০০৮ সালেও আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ স ম ফিরোজ জয়ী হয়েছিলেন। তখন তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৯৮ হাজার ৩০৩ ভোট। বিএনপির প্রার্থী একেএম ফারুক হোসেন তালুকদারের ভোট ছিল ৫৮ হাজার ২৫৮ ভোট। তখন ভোটের ব্যবধান ছিল ৬৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি ৬৯ হাজার ৭৩৫ ভোট পায়, আওয়ামী লীগ পায় ৫২ হাজার ৮০২ ভোট। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগের চেয়ে মাত্র ২৪ ভোট কম পায় বিএনপি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির চেয়ে প্রায় ৯০০ ভোট বেশি পেয়েছিল।
কেবল পটুয়াখালী-২ আসনই নয়, জেলার বাকি তিনটি আসনেই বিএনপির প্রার্থীদের চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা বেশি ভোট পেয়েছেন। এই তিনটি আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-১ আসনে বিএনপি সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়েছে। দেশের অন্য জেলাগুলোর বেশিরভাগ আসনের চিত্রও একইরকম।
বগুড়া-১ আসনে ভোটের ব্যবধান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের প্রায় চারগুণ ভোট পেয়ে জয় পায় বিএনপি। ২০০১-এর নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করলেও ভোটের ব্যবধান দ্বিগুণের কাছাকাছিতে নামে। ২০০৮-এর নির্বাচনে প্রায় পাঁচ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৪৭ ভোট, বিএনপি ১৬ হাজার ৬৯০। অর্থাৎ, বিএনপির চেয়ে এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগ প্রায় ১৬ গুণ বেশি ভোট পেয়েছে।
মেহেরপুর-১ আসনের ভোটচিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভোটের ব্যবধান এতটা আকাশ ছোঁয়নি কখনো। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চারটি নির্বাচনে পর্যায়ক্রমে দুই দলের প্রার্থীরা জিতেছেন এখানে। ২০০১ সালে সর্বোচ্চ ৩১ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগকে হারায় বিএনপি। ২০০৮-এর নির্বাচনে ৩৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপিকে হারায় আওয়ামী লীগ। গতকালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন পেয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ২০৪ ভোট। সেখানে ২০০৮-এর বিএনপির প্রার্থী মাসুদ অরুণের ভোট ১০ বছরের ব্যবধানে ৬২ হাজার ৭৪৫ থেকে কমে ১২ হাজার ৯৬৯টিতে নেমেছে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে গত নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীদের জয়-পরাজয় হয়েছে কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে। ১৯৯১ সালে ছয় হাজার ও ১৯৯৬ সালে দুই হাজার ভোট বেশি পেয়ে আওয়ামী লীগ, ২০০১ সালে এক হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিএনপি জয় পায়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটিতে সর্বোচ্চ ২৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় পায় আওয়ামী লীগ। ১০ বছরের ব্যবধানে আসনটিতে আওয়ামী লীগের ভোটসংখ্যা ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৪, বিএনপির ৪ হাজার ৯১৮ ভোট।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীরা বড় ধরনের জয় পেয়েছে। গতকাল রবিবার রাত সোয়া ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিকরা ২৮১টি আসনে জয় পেয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৬টি আসন। স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল পেয়েছে ৬টি আসন। বাকি ৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। জেলা ভিত্তিক বিজয়ীদের তালিকা- টাঙ্গাইল জেলা: টাঙ্গাইল-১ আবদুর রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৯,৬৮৭; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহীদুল ইসলাম (বিএনপি) ২৬,৪০৬। টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী, ২,৯৩,৩৭২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (বিএনপি) ১১,৯২৬। টাঙ্গাইল-৩ আতাউর রহমান খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৮,৯৫১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফর রহমান খান আজাদ (বিএনপি) ৮,৫৭০। টাঙ্গাইল-৪ হাসান ইমাম খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,০১২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লিয়াকত আলী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) ৩৪,৩৮৮। টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬১,৮০০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদুল হাসান (বিএনপি) ৭৮,৩৪৮। টাঙ্গাইল-৬ আহসালুন ইসলাম টিটু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮৫,৩০৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গৌতম চক্রবর্তী (বিএনপি) ৪০,৩২৪। টাঙ্গাইল-৭ একাব্বর হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬১,৫১৭; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী (বিএনপি) ৮৪,১৫৪। টাঙ্গাইল-৮ জোয়াহেরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৭,৭৬৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুড়ি সিদ্দিকী (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ) ৭০,২০৯। কিশোরগঞ্জ জেলা কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৮,৭৪৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম খান (বিএনপি) ৭১,৫৭৮। কিশোরগঞ্জ-২ নূর মোহাম্মদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৯,২৪৩; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আকতারুজ্জামান (বিএনপি) ৫৪,৪০৫। কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক (জাতীয় পার্টি) বিজয়ী ২,৩৯,৫৩৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম (জেএসডি) ৩২,১৩৮। কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৮,৬৮২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুর রহমান (বিএনপি) ৪,৯৩৬। কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০২,৮৭৬ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল (বিএনপি) ২৯,১৫০। কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৫৯,১৭৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল আলম (বিএনপি) ৮,৯১৪। মানিকগঞ্জ জেলা মানিকগঞ্জ-১ নাঈমুর রহমান দুর্জয় (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫১,৯৫৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হামিদ ডাবলু (বিএনপি) ৫৬,২৮২। মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৮,৪৩৭; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাঈনুল ইসলাম খান (বিএনপি) ৫০,০৩৪। মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৬,০৯৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিজুল ইসলাম খান কামাল (গণফোরাম) ৩০,৩৮১। মুন্সীগঞ্জ জেলা মুন্সীগঞ্জ-১ মাহী বি চৌধুরী (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) বিজয়ী ২,৮৬,৬৮১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (বিএনপি) ৪৪,৮৮৮। মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৫,৩৮৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান সিনহা (বিএনপি) ১৪,০৬৫। মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণাল কান্তিদাস (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,১৩,৩৫৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হাই (বিএনপি) ১২,৭৩৬।
ঢাকা মহানগরী ও জেলা ঢাকা-১ সালমান এফ রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৯৯৩; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালমা ইসলাম (স্বতন্ত্র) ৩৭,৮৭৮। ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৬,৬৯৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইরফান ইবনে আমান অমি (বিএনপি) ৩২,৪৯০। ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৯,৬৩১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (বিএনপি) ১৬,৬১২। ঢাকা-৪ সৈয়দ আবু হোসেন (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,০৬,৯৫৯; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহউদ্দিন আহমেদ (বিএনপি) ৩৩,১১৭। ঢাকা-৫ হাবিবুর রহমান মোল্লা (আওয়ামী লীগ) ২,০২,০৮৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবীউল্লা নবী (বিএনপি) ৬৭,৫৭২; ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ৯৩,৫৫২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুব্রত চৌধুরী (গণফোরাম) ২৩,৬৯০। ঢাকা-৭ হাজী মো. সেলিম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৩,৬৮৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তফা মোহসীন মন্টু (গণফোরাম) ৫১,৬৭২। ঢাকা-৮ রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি) বিজয়ী ১,৩৯,৫৩৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা আব্বাস (বিএনপি) ৩৮,৭১৭। ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,২৩০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফরোজা আব্বাস (বিএনপি) ৫৯,১৬১। ঢাকা-১০ শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৮,১৭২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান (বিএনপি) ৪৩,৪৩১। ঢাকা-১১ এ কে এম রহমতুল্লাহ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৬,৬৮১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম আরা বেগম (বিএনপি) ৫৪,৭২১। ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯১,৮৯৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম নীরব (বিএনপি) ৩২,৬৭৮। ঢাকা-১৩ সাদেক খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,০৩,১৬৩; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সালাম (বিএনপি) ৪৭,২৩২। ঢাকা-১৪ আসলামুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৭,১৩০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক (বিএনপি) ৫৪,৩৮১। ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৫,১৬৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুর রহমান (বিএনপি) ৩৯,০৭১। ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৫,৫০৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসানউল্লাহ হাসান ৫০,৫৩৫। ঢাকা-১৭ আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৪,৬১০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আন্দালিব রহমান পার্থ (জাতীয় পার্টি) ৩৮,৬৩৯। ঢাকা-১৮ সাহারা খাতুন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০২,০০৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহীদউদ্দিন মাহমুদ (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি) ৭১,৭৯২। ঢাকা-১৯ ডা. এনামুল রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৪,৮৮,৯৮১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন (বিএনপি) ৬৯,৪১০। ঢাকা-২০ বেনজির আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৯,৭৮৭; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৭,২৬৮। গাজীপুর জেলা গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৪,০১,৫৩৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী (বিএনপি) ৯২,৩৭০। গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল (আওয়ামী লীগ) ৬০,৭৭৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহউদ্দিন সরকার (বিএনপি) ১৫,১১৭। গাজীপুর-৩ ইকবাল হোসেন সবুজ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৪৩,৩২০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল সিদ্দিকী (বিএনপি) ৩৭,৭৮৬। গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৩,২৫৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ রিয়াজুল হান্নান (বিএনপি) ১৮,৫৮২। গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৭,৬৯৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম ফজলুল হক মিলন (বিএনপি) ২৭,৯৭৬। নরসিংদী জেলা নরসিংদী-১ নজরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭১,০৪৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খায়রুল কবির খোকন (বিএনপি) ২৪,৬৮৪। নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৬,৩৩৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মঈন খান (বিএনপি) ৭,৩৬০। নরসিংদী-৩ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৯৪,০৩৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনজুর এলাহী (বিএনপি) ৫২,৮৭৪। নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৩,৬৮০; দেলোয়ার হোসেন খোকন (বিএনপি) ১৫,৮০০। নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৪,৪৮৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফউদ্দিন (বিএনপি) ২০,৪৩১। নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪৩,৭৩৯; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মনিরুজ্জামান (বিএনপি) ১৬,৪৩২।
নারায়ণগঞ্জ জেলা নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩২,৭২২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিরউদ্দিন (বিএনপি) ৫,০১২। নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,৯৭,৭৮৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজহারুল ইসলাম মান্নান (বিএনপি) ১৮,০৪৭। নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৯৩,১৩৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনির হোসাইন (বিএনপি) ৭৬,৫৮২। নারায়ণগঞ্জ-৫ সেলিম ওসমান (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ২,৭৯,৫৪৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আকরাম (বিএনপি) ৫২,৩৫২। রাজবাড়ী জেলা রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৮,৯১৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম (বিএনপি) ৩৩,০০০। রাজবাড়ী-২ জিল্লুল হাকিম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৯৮,৯৭৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিরুল হক সাবু (বিএনপি) ৫,৪৭৫। ফরিদপুর জেলা ফরিদপুর-১ মনজুর হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৬,৮৯১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু জাফর (বিএনপি) ২৬,১৬২। ফরিদপুর-২ সাজেদা চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৯,২০৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামা ওবায়েদ ইসলাম (বিএনপি) ১৪,৮৮৫। ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৪,৮৭১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ (বিএনপি) ২১,৭০৪। ফরিদপুর-৪ মুজিবুর রহমান নিক্সন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী ১,৪৫,০৯৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী জাফরউল্লাহ (আওয়ামী লীগ) ৯৫,৩৬৩। গোপালগঞ্জ জেলা গোপালগঞ্জ-১ ফারুক খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৩,১৬২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৭০২। গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮১,৯০৯; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তসলিম শিকদার (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৬০৮। গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩২,৪১৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম জিলানী (বিএনপি) ১২৯। মাদারীপুর জেলা মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৭,৪৫৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর আহমাদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৪৩৬। মাদারীপুর-২ শাজাহান খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,১১,৭৪০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিল্টন বৈদ্য (বিএনপি) ২,৫৯০। মাদারীপুর-৩ আবদুস সোবহান গোলাপ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫২,৬৪১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনিসুর রহমান তালুকদার (বিএনপি) ৩,২৭৫। শরীয়তপুর জেলা শরীয়তপুর-১ ইকবাল হোসেন অপু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭২,৯৩৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ১,৪২৭। শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭২,১৯২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুর রহমান কিরণ (বিএনপি) ২,১১৫। শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৭,২১৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়া নুরুদ্দিন অপু (বিএনপি) ২,৬৬৪। রংপুর বিভাগ রংপুর বিভাগের মোট আসনসংখ্যা ৩৩টি। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে ২৩টি আসনে। বিএনপি এক এবং জাতীয় পার্টি সাত আসনে বিজয়ী হয়েছে। এই বিভাগে স্থগিত এক আসন এবং পাওয়া যায়নি একটি আসনে। পঞ্চগড় পঞ্চগড়-১ মাজহারুল হক প্রধান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৫,৩৮৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নওশাদ জমির (বিএনপি) ১,৩২,৫৩৯। পঞ্চগড়-২ নুরুল ইসলাম সুজন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৭,১৬৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফরহাদ হোসেন আজাদ (বিএনপি) ১,১২,৪০৯। ঠাকুরগাঁও ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,০৭৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বিএনপি) ১,২৫,৯০৯। ঠাকুরগাঁও-২ দবিরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,৩১৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল হাকিম (বিএনপি) ৪,৩২৮। ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান (বিএনপি) বিজয়ী ৮৭,১৬৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমদাদুল হক (স্বতন্ত্র) ৮৪,১০৯।
দিনাজপুর দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৮,৭৯২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ হানিফ (বিএনপি) ৭৮,৯২৮। দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩০,৪৪৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদিক (বিএনপি) ৩৯,২৪৭। দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩১,৭৭৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. খাইরুজ্জামান (ইসলামী আন্দোলন) ৩৯,৫০০। দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩২,১১২; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আখতারুজ্জামান মিয়া (বিএনপি) ৬০,৮৭২। দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯১,৪৯৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জেড এম রেজোয়ানুল হক জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১,২৮,১৯৯। দিনাজপুর-৬ শিবলী সাদিক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮১,৮৯১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল ইসলাম (বিএনপি) ৬৯,৭৬৯। নীলফামারী জেলা নীলফামারী-১ আফতাবউদ্দিন সরকার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৮,৭৮৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম (বিএনপি) ৮৮,৯৯১। নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর আওয়ামী লীগ বিজয়ী ১,৭৮,০৩০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুজ্জামান মন্টু (বিএনপি) ৮০,২৮৩। নীলফামারী-৩ রানা মোহাম্মদ সোহেল (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,৩৭,৫৩৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম (বিএনপি) ৪৪,০৯৩। নীলফামারী-৪ আহসান আদেলুর রহমান জাতীয় পার্টি (জাপা) বিজয়ী ২,৩৬,৯৩০; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ২৭,২৯৪। লালমনিরহাট জেলা লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৪,০৩১; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান রাজীব প্রধান (বিএনপি) ১২,০০৩। লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৯,৬৪৯; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোকনউদ্দিন বাবুল (বিএনপি) ৭৩,৫৩৩। লালমনিরহাট-৩ জিএম কাদের (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,১২,৬৬৫; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুল হাবিব দুলু (বিএনপি) ৭৮,১৩৩। রংপুর জেলা রংপুর-১ মসিউর রহমান রাঙ্গা (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,৯৮,৯১৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ রহমত উল্যাহ (বিএনপি) ১৯,৪৯৩। রংপুর-২ আহসানুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,১৮,৩৬৮; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলী সরকার (বিএনপি) ৫৩,৩৪০। রংপুর-৩ এইচ এম এরশাদ (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ১,৪২,৯২৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিটা রহমান (বিএনপি) ৫৩,০৮৯। রংপুর-৪ টিপু মুনশি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৯,৯৭৪; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমদাদুল হক ভরসা দল (বিএনপি) ১,০৪,১৭০। রংপুর-৫ এইচ এন আশিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৫,১৪৯; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম রব্বানী (বিএনপি) ৬৩,৪৬৯। রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৪,৪২৬; নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম (বিএনপি) ২৪,০৫৩। কুড়িগ্রাম জেলা কুড়িগ্রাম-১ আছলাম হোসেন সওদাগর (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,২৩,৪৭৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুর রহমান রানা (বিএনপি) ১,১৯,২২৭। কুড়িগ্রাম-২ পনির উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টি (জাপা) বিজয়ী ২,২৯,৬৬৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমসা আমিন (গণফোরাম) ১,০৪,৩০২। কুড়িগ্রাম-৩ এম এ মতিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৩১,৯০১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাজভীর উল ইসলাম (বিএনপি) ৬৯,২৮৫। কুড়িগ্রাম-৪ জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬২,৩৮৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুর রহমান (বিএনপি) ৫৫,১৮৯। গাইবান্ধা আওয়ামী লীগ গাইবান্ধা-১ শামীম হায়দার পাটোয়ারী, জাতীয় পার্টি (জাপা) বিজয়ী ১,৯৭,৫৮৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাজেদুর রহমান (বিএনপি) ৬৫,১৭৩। গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা বেগম গিনি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৯,৬১৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রশিদ সরকার (বিএনপি) ৬৮,৬৭০। গাইবান্ধা-৩ ভোটগ্রহণ স্থগিত। গাইবান্ধা-৪ ফলাফল হয়নি এখনো, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)। গাইবান্ধা-৫ ফজলে রাব্বী মিয়া (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪২,৮৬১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক আলম সরকার (বিএনপি) ১৯,৯৯৬। সিলেট বিভাগ সিলেট বিভাগে মোট আসন ১৯টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬টি, গণফোরাম ২ ও জাতীয় পার্টি ১টি আসনে জয়লাভ করেছে। সিলেট-১ এ কে আবদুল মোমেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৮,৬৯৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার আবদুল মুক্তাদীর (বিএনপি) ১,২৩,৮৫১। সিলেট-২ মোকাব্বির খান গণফোরাম বিজয়ী ৬৯,৪২০। সিলেট-৩ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৭,৫০৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফি আহমেদ চৌধুরী (বিএনপি) ৭৯,৮৬৫। সিলেট-৪ ইমরান আহমদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,৫৪৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিলদার হোসেন সেলিম (বিএনপি) ৯৩,৪০৮। সিলেট-৫ হাফিজ আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৭,১৯১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উবায়দুল্লাহ ফারুক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ১,৩৮,৯৬০। সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৬,০১৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়সাল চৌধুরী (বিএনপি) ১৮,০৮৯। মৌলভীবাজার জেলা মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৪৪,১২১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাছির উদ্দিন আহমেদ (বিএনপি) ৬৮,৫২৩। মৌলভীবাজার-২ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মদ (গণফোরাম) বিজয়ী ৭৯,৭৪২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এম শাহীন (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) ৭৭,১৭০। মৌলভীবাজার-৩ নেসার আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৪,৫৭৯ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসের রহমান (বিএনপি) ১,০৪,৫৯৫। মৌলভীবাজার-৪ আবদুস শহীদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১১,৬১৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুজিবুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি) ৯৬,২৯৫। হবিগঞ্জ জেলা গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৫৮,১৮৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজা কিবরিয়া (গণফোরাম) ৮৫,১৯৭। হবিগঞ্জ-২ আবদুল মজিদ খান ( আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৭,৯৩১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল বাসিত আজাদ (খেলাফত মজলিস) ৬০,০২৫। হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৩,৮৭৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জি কে গউছ (বিএনপি) ৬৮,০৭৮। হবিগঞ্জ-৪ মাহবুব আলী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৯,৬৫৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহমদ আবদুল কাদের (খেলাফত মজলিস) ৪৫,১৫১। সুনামগঞ্জ জেলা সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৬,৪২৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজির হোসেন (বিএনপি) ৭৮,৯১৫। সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্ত (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,০২,৪১৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাছির উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি) ৬৭,৫৮৭। সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৩,১৪৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর পাশা চৌধুরী (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম) ৫২,৯২৫। সুনামগঞ্জ-৪ পীর ফজলুর রহমান (জাতীয় পার্টি) বিজয়ী ১,৩৭,২৮৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল হক আছপিয়া (বিএনপি) ৬৯,৭৪৯। সুনামগঞ্জ-৫ মুহিবুর রহমান মানিক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২১,৩২৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিএনপি) ৮৯,৬৪২। রাজশাহী জেলা রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৫,৯৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল হক (বিএনপি)১,১৫,৪৫৩,রাজশাহী-৩ আয়েন উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৮,৭১৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল হক মিলন (বিএনপি) ৮০,০৭১। রাজশাহী-৪ এনামুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৪,৯৬২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু হেনা (বিএনপি) ১৪,১৬০। রাজশাহী-৫ মনসুর রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৬,৬৩৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ম-ল (বিএনপি) ২৭,৯২৭। নাটোর-১ শহিদুল ইসলাম বকুল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪৪,৮১৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুন নাহার (বিএনপি) ১৪,৮৭৯। নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৬০,৫০৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবিনা ইয়াসমিন (বিএনপি) ১৩,৪৫৯। নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩০,২৯৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দাউদার মাহমুদ (বিএনপি) ৮,৫৯৩। নাটোর-৪ আবদুল কুদ্দুস (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮৬,২৬৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলা উদ্দিন মৃধা (জাপা) ৬,৯৭৯। সিরাজগঞ্জ জেলা সিরাজগঞ্জ-২ হাবিবে মিল্লাত (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৪,৭২৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুমানা মাহমুদ (বিএনপি) ১৩,৭২৮। সিরাজগঞ্জ-৩ আবদুল আজিজ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৭,৬০০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান তালুকদার (বিএনপি) ২৬,২০০। সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৩,৬৬৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম খান (বিএনপি) ২৪,৪৮৭। সিরাজগঞ্জ-৬ হাসিবুর রহমান স্বপন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৩৫,৭৬৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ মুহিত (বিএনপি) ১৪,৬৯৭। পাবনা জেলা পাবনা-১ শামসুল হক টুকু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮২,৯৯২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাইয়িদ (বিএনপি) ১৫,৩৯১। পাবনা-২ আহমেদ ফিরোজ কবির (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪২,৩৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব (বিএনপি) ৫,৩৭৯। পাবনা-৩ মকবুল হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০১,৯৬৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম আনোয়ারুল ইসলাম (বিএনপি) ৫৬,৮২০। পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরীফ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪৯,৫৯৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান হাবিব (বিএনপি) ৪৮,৭৯৯। পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,২১,৪৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হোসেন (বিএনপি) ২০,৬৫৮। জয়পুরহাট জেলা জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৬,৩১৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলেয়া বেগম (স্বতন্ত্র) ৩,০১৭। জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩১,২৮৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান (বিএনপি) ২৫,৬৫১। বগুড়া জেলা বগুড়া-১ আবদুল মান্নান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৭,৯৪৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী রফিকুল ইসলাম (বিএনপি) ১৬,৬৯০। বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (জাপা) বিজয়ী ১,৭৮,১৮২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদুর রহমান মান্না (বিএনপি) ৫৯,৭১৩। বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার (জাপা) বিজয়ী ১,৫৭,৭৫৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মহিত তালুকদার (বিএনপি) ৫৮,৬৪৪। বগুড়া-৪ মোশারফ হোসেন (বিএনপি) বিজয়ী ১,২৮,৫৮৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ) ৮৬,০৪৮। বগুড়া-৫ হাবিবর রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৩১,৫৪৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জি এম সিরাজ (বিএনপি) ৪৯,৭৪০। বগুড়া-৬ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বিএনপি) বিজয়ী ২,০৬,৯৮৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল ইসলাম ওমর (জাপা) ৩৯,৯৬১। বগুড়া-৭ ফেরদৌস আরা খান (স্বতন্ত্র) বিজয়ী ১,৮৯,০৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী....... চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮০,০৭৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান মিঞা (বিএনপি) ১,৬৩,৬৫০। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম (বিএনপি) বিজয়ী ১,৭৫,৪৬৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউর রহমান (আওয়ামী লীগ) ১,৩৯,৯৫২। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশিদ (বিএনপি) বিজয়ী ১,৩৩,৬৬১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল ওদুদ (আওয়ামী লীগ) ৮৫,৯৩৮। নওগাঁ জেলা নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৭,৫৯২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছালেক চৌধুরী (বিএনপি) ১,৪১,৩৬৪। নওগাঁ-২ শহিদুজ্জামান সরকার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৯,৮৭৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুজ্জোহা খান (বিএনপি) ৯৯,৯৫৪। নওগাঁ-৩ ছলিম উদ্দীন তরফদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৯,৭৯৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী (বিএনপি) ১,০০,১৪২। নওগাঁ-৪ ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৬,৪৬২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামসুল আলম প্রামাণিক (বিএনপি) ৪৯,৯৭১। নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৫৬,৯৬৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহিদুল ইসলাম ধলু (বিএনপি) ৮৩,৭৫৯। নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯০,৪২৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর কবির (বিএনপি) ৪৬,১৫৪।
খুলনা বিভাগ
মেহেরপুর জেলা মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৭,০৯৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ অরুণ (বিএনপি) ১৪,১৯৩। মেহেরপুর-২ মো. শহিদুজ্জামান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬৯,৩০১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাভেদ মাসুদ (বিএনপি) ৭,৭৯২। কুষ্টিয়া জেলা কুষ্টিয়া-১ আ ক ম সারোয়ার জাহান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৭,১৭৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেজা আহাম্মেদ (বিএনপি) ৩,৪২০। কুষ্টিয়া-২ হাসানুল হক ইনু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮২,৬২২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসান হাবিব লিংকন (বিএনপি) ৩৫,৭৫১। কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব-উল আলম হানিফ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৬,৫৯২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন সরকার (বিএনপি) ১৪,৩৭৯। কুষ্টিয়া-৪ সেলিম আলতাফ জর্জ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৮,৮৬৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি (বিএনপি) ১২,৩১৯। চুয়াডাঙ্গা জেলা চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,২৫,২৩৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শরীফুজ্জামান (বিএনপি) ২৪,৪০৩। চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৯,১৬০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ হাসান খান (বিএনপি) ২৭,১৩০। ঝিনাইদহ-১ আবদুল হাই (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০২,২৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আসাদুজ্জামান (বিএনপি) ৬,৬৬২। ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,২৫,৮৮৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফখরুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৯,২৯৩। ঝিনাইদহ-৩ শফিকুল আজম খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪২,৫৩২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিয়ার রহমান (বিএনপি) ৩২,২৪৯। ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজীম আনার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৬,৫৭০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (বিএনপি) ৯,৪৪২। যশোর জেলা যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১১,৪৪৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মফিকুল হাসান তৃপ্তি (বিএনপি) ৪,৯৮১। যশোর-২ নাসির উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,২৫,৭৯৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদৎ হুসাইন (বিএনপি) ১৩,৯৪০। যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৬১,৩৩৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত (বিএনপি) ৩১৭১০। যশোর-৪ রণজিত কুমার রায় (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭২,১৬৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টি এস আইয়ুব (বিএনপি) ৩০,৮৭৪। যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪২,৮৫৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (বিএনপি) ২৪,৬২১। যশোর-৬ ইসমাত আরা সাদেক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৫৬,৫০৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হোসেন আজাদ (বিএনপি) ৫,৬৭৩। মাগুরা জেলা মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭৪,১৩০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনোয়ার হোসেন (বিএনপি) ১৬,৪৬৭। মাগুরা-২ বীরেন শিকদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩০,১১২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিতাই রায় চৌধুরী (বিএনপি) ৬৫,৮২৮। নড়াইল জেলা নড়াইল-১ কবিরুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৩৮,৫২৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম (বিএনপি) ৮,৯১৯, নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭১,২১০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জেড এম ফরিদুজ্জামান (বিএনপি) ৭,৮৮৩। বাগেরহাট জেলা বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৩,২৪১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মাসুদ রানা (বিএনপি) ১১,৩৪৯। বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময় (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২০,৯১২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ সালাম (বিএনপি) ৪,৫৯০। বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৮,৯০৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল ওয়াদুদ শেখ (বিএনপি) ১৩,৪০৮। বাগেরহাট-৪ মোজাম্মেল হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪৭,৮৬৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ. মজিদ হাওলাদার (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ২,৩৯৫। খুলনা জেলা : খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭২,০৫৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমীর এজাজ খান (বিএনপি) ২৮,৪৩৭; খুলনা-২ শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,১২,১০০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম মঞ্জু (বিএনপি) ২৭,৩৭৯; খুলনা-৩ মন্নুজান সুফিয়ান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৩৪,৮০৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রকিবুল ইসলাম (বিএনপি) ২৩,৬০৬; খুলনা-৪ আবদুস সালাম মুর্শেদী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৩,২১৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল বারী হেলাল (বিএনপি) ১৪,১৮৭; খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩১,৭২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়া গোলাম পরওয়ার (বিএনপি) ৩২,৯৫৯; খুলনা-৬ আকতারুজামান বাবু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮৪,৩৪৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ (বিএনপি) ১৯,২৫৭। সাতক্ষীরা জেলা : সাতক্ষীরা-১ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ (ওয়ার্কার্স পার্টি) বিজয়ী ৩,৩১,৫৪১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুল ইসলাম হাবিব (বিএনপি) ১৬,৮০৪; সাতক্ষীরা-২ মীর মোশতাক আহমেদ রবি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৫৫,৬১১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মাদ আবদুল খালেক (বিএনপি) ২৭,৭১১; সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৪,৩৩৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল আলম (বিএনপি) ২৪,৩৫৩; সাতক্ষীরা-৪ এসএম জগলুল হায়দার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৮,৩৮৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জি এম নজরুল ইসলাম (বিএনপি) ৩০,৪৮৬।
বরিশাল বিভাগ
বরগুনা জেলা বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,১৭,৬২২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মতিয়ার রহমান তালুকদার (বিএনপি) ১৫,৮৫০; বরগুনা-২ শওকত হাচানুর রহমান রিমন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০০,৩২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার মাহবুব হোসেন (বিএনপি) ৯,৫১৮। পটুয়াখালী জেলা : পটুয়াখালী-১ শাহজাহান মিয়া (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৭০,৯৭০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ১৫,১০৩; পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৫,৭৮৩, নিকটতম প্রাতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৯,২৬৭। পটুয়াখালী-৩ এস এম শাহাজাদা (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৫,৫৭৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল খান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৬,৮১৪; পটুয়াখালী-৪ মুহিব্বুর রহমান মুহিব (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৮,৮১২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান হাওলাদার (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৬,৮০৪। ভোলা জেলা : ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪২,০১৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম নবী আলমগীর (বিএনপি) ৭,২২৪; ভোলা-২ আলী আজম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,২৬,১২৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজ ইব্রাহীম (বিএনপি) ১৩,৯৯৯; ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫০,৪১১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোসলেহ উদ্দীন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৪,০৫৫; ভোলা-৪ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৯,১৫০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মহিবুল্যাহ (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৬,২২২। বরিশাল জেলা : বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০৫,৫০২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জহির উদ্দিন স্বপন (বিএনপি) ১,৩০৫; বরিশাল-২ শাহে আলম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১২,৩৪৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ (বিএনপি) ১১,১৩৭; বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু (জাপা) বিজয়ী ৫৪,৭৭৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নুল আবেদীন (বিএনপি) ৪৭,২৮৭; বরিশাল-৪ পংকজ নাথ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪১,০০৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জে.এম. নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর (বিএনপি) ৯,২৮২; বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৫,০৮০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মজিবুর রহমান সরওয়ার (বিএনপি) ৩১,৩৬২; বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না (জাপা) বিজয়ী ১,৫৯,৩৯৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নূরুল ইসলাম আল-আমিন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ১৪,৮৪৫। ঝালকাঠি জেলা : ঝালকাঠী-১ বজলুল হক হারুন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৩১,৫২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান ওমর (বিএনপি) ৬,১৫১; ঝালকাঠী-২ আমির হোসেন আমু (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,১৪,৯৩৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ৯,৮১২। পিরোজপুর জেলা : পিরোজপুর-১ শ. ম. রেজাউল করিম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৭,৬১০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম সাঈদী (বিএনপি) ৮,৩১৬; পিরোজপুর-২ আনোয়ার হোসেন (জেপি) বিজয়ী ১,৮৯,৪২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুস্তাফিজুর রহমান (বিএনপি) ৬,৩২৬; পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী (জাপা) বিজয়ী ১,৩৫,৩১০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমীন দুলাল (বিএনপি) ৭,৬৯৮। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বদরুদ্দোজা ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,০১,১১০ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এ কে একরামুজ্জামান (বিএনপি) ৬০,৭৩৪; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উকিল আবদুস সাত্তার (বিএনপি)........;;; ব্রাহ্মণবাড়িয়াা-৩ : উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৯৩,৫২৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ হোসেন মাহবুব (বিএনপি) ৪৬,০৭৭; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮২,০৬২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. জসিম (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) ২,৯৪৯; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ এবাদুল করিম বুলবুল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫১,৫২২ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী নাজমুল হোসেন (বিএনপি) ১৭,০১১; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ এ বি এম তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,০০,০৭৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল খালেক (বিএনপি) ১,৩২৯। কুমিল্লা জেলা : কুমিল্লা-১ সুবিদ আলী ভূইয়া (আওয়ামী লীগ), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (বিএনপি); কুমিল্লা-২ সেলিমা আহমেদ মেরী বাংলাদেশ (আওয়ামী লীগ), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার মোশাররফ হোসেন (বিএনপি); কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (আওয়ামী লীগ) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কে এম মজিবুল হক (বিএনপি); কুমিল্লা-৪ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (আওয়ামী লীগ) ১,৭৬,০০০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মালেক রতন (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি) ৬,২১৭; কুমিল্লা-৫ আবদুল মতিন খসরু (আওয়ামী লীগ), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইউনুস (বিএনপি); কুমিল্লা-৬ আ ক ম বাহার উদ্দিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮০,১৯০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মাদ আমিন উর রসিদ (বিএনপি) ১০,৮২২; কুমিল্লা-৭ আলী আশরাফ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮০,৪০৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেদোয়ান আহমেদ (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) ১,০৫০; কুমিল্লা-৮ নাছিমুল আলম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) ৮২,৩৩৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকারিয়া তাহের (বিএনপি) ১৩,৪৭৪; কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)বিজয়ী, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার উল আজিম (বিএনপি)। কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল (আওয়ামী লীগ), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক চৌধুরী (বিএনপি)। কুমিল্লা-১১ : মুজিবুল হক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৫,৫৬৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (বিএনপি) ৮৪৩। চাঁদপুর জেলা : চাঁদপুর-১ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৭,৬৬৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন (বিএনপি) ৭,৯০৪; চাঁদপুর-২ নুরুল আমিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০১,০৫০, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জালাল উদ্দিন (বিএনপি) ১০,২৭৭; চাঁদপুর-৩ দীপু মনি (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,০৬,৮৯৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক (বিএনপি) ৩৫,৮০২; চাঁদপুর-৪ শফিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৭৩,৩৬৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লায়ন হারুনুর রশিদ (বিএনপি) ৩০,৭৯৯; চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯৮,১০৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মমিনুল হক (বিএনপি) ২৬,৫৬৪। ফেনী জেলা : ফেনী-১ শিরীন আখতার (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ) বিজয়ী ২,০১,৯২৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুন্সি রফিকুল আলম মজনু (বিএনপি) ২৬,৬১৬; ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৯০,৬৬২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নাল আবেদিন (বিএনপি) ৫,৭৭২; ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (জাতীয় পার্টি-জাপা) বিজয়ী ২,৮৮,০৭৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকবর হোসেন (বিএনপি) ১৪,৬৭৪। নোয়াখালী জেলা : নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম (আওয়ামী লীগ), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন (বিএনপি)....; নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম (আওয়ামী লীগ), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নাল আবদিন ফারুক (বিএনপি); নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরন (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ),নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বরকত উল্লা বুলু (বিএনপি); নোয়াখালী-৪ একরামুল করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ৩,৯৬,০২২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান (বিএনপি) ২৩,২৫৭; নোয়াখালী-৫ : ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগ) বিজয়, মওদুদ আহমদ (বিএনপি); নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদাউস (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী, ফজলুল আজিম (বিএনপি) ।
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৫,৪৩৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদৎ হোসেন সেলিম ৩,৮৯২; লক্ষ্মীপুর-২ মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম (স্বতন্ত্র বিজয়ী) ২,৫৬,৭৮৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বিএনপি) ২৮,০৬৫; লক্ষ্মীপুর-৩ এ কে এম শাহজাহান কামাল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩৩,৭২৮, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (বিএনপি) ১৪,৪৯২; লক্ষ্মীপুর-৪ আবদুল মান্নান (বিকল্পধারা) বিজয়ী ১,৮৩,৯০৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ স ম আবদুর রব (জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি) ৪০,৯৭৩ । চট্টগ্রাম জেলা : চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৬,৬৬৬, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আমিন (বিএনপি) ৩,৯৯১; চট্টগ্রাম-২ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (তরিকত ফেডারেশন) ২২,৫০১, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিম উল্লাহ বাহার (বিএনপি) ৬,৯৪৭; চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান মিতা (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৬২,৩৫৩, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল পাশা (বিএনপি) ৩,১২২; চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল আলম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৬৯,৮৮৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম চৌধুরী (বিএনপি) ২৯,৪০৭; চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাতীয় পার্টি (জাপা) বিজয়ী ২,৭৭,৯০৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (কল্যাণ পার্টি) ৪৪,৩৮১; চট্টগ্রাম-৬ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৩১,৪৪২, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জসিম উদ্দিন শিকদার (বিএনপি) ২,৩০৭; চট্টগ্রাম-৭ হাছান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ)বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল আলম (লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি); চট্টগ্রাম-৮ মইন উদ্দীন খান বাদল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু সুফিয়ান (বিএনপি); চট্টগ্রাম-৯ মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (আওয়ামী লীগ), বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদাত হোসেন দল (বিএনপি); চট্টগ্রাম-১০ আফসারুল আমিন (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল্লাহ আল নোমান (বিএনপি); চট্টগ্রাম-১১ এম আবদুল লতিফ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮৩,১৬৭, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী (বিএনপি) ৫২,৮৯৮; চট্টগ্রাম-১২ সামছুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৮৩,১৭৯, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক (বিএনপি) ৪৪,৫৯৮; চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৪৩,৪১৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরওয়ার জামাল নিজাম (বিএনপি) ৩,১৫৩। চট্টগ্রাম-১৪ নজরুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কর্নেল (অব) অলি আহমদ (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি); চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৮৯,৩৭৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ ন ম শামসুল ইসলাম (বিএনপি) ৩৫,৯৮৬ ; চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি)।
কক্সবাজার জেলা : কক্সবাজার-১ জাফর আলম (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসিনা আহমেদ (বিএনপি); কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ (স্বতন্ত্র) কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ২,৫৩,৮২৫, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লুতফর রহমান (বিএনপি) ৮৭,৭১৮; কক্সবাজার-৪ শাহিনা আক্তার চৌধুরী (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী ১,৯৬,৯৭৪, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাহান চৌধুরী (বিএনপি) ৩৭,০১৮; খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বাংলাদেশ (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ভূইয়া (বিএনপি) ৩৮,৬৭০। রাঙ্গামাটি : দীপঙ্কর তালুকদার (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী’ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঊষাতন তালুকদার। বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (আওয়ামী লীগ) বিজয়ী,নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাচিং প্রু।
কারচুপি, জালিয়াতি এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৫৯ প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে ৫২ জন ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছিলেন, চারজন জাতীয় পার্টির ও তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) : দুপুর ১২টায় নির্বাচন বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম। ঢাকা-১৭ (গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাষানটেকের একাংশ) : ধানের শীষের প্রার্থী বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ দুপুর সোয়া ১টার দিকে ভোট বর্জন করেন। ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) : ধানের শীষের প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম ভোট বর্জন করেছেন। তিনি নিজেও ভোট দেননি। নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) : দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু। কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) : দুপুর আড়াইটার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন। কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) : দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জেএসডির সাইফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) : দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) : দুপুর ২টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষের প্রার্থী শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) : দুপুর আড়াইটার দিকে ধানের শীষের প্রার্থী শরীফুল আলম ভোট বর্জন করেন। জামালপুর-২ (ইসলামপুর) : দুপুর ১২টায় ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবু। জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) : দুপুর ১২টায় ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। জামালপুর-৫ (সদর) : দুপুর ২টায় পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন। শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) : বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ধানের শীষের প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। শেরপুর-৩ : একই সময়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী আবু হেনা। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর আংশিক) : দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষের প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। সিরাজগঞ্জ-২ (কামারখন্দ-সদর আংশিক) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী রোমানা মাহমুদ। সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ-সলঙ্গার আংশিক) : দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল মান্নান তালুকদার। সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম খান। সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) : দুপুরে ধানের শীষের প্রার্থী আমিরুল ইসলাম আলীম সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) : সকালে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ মো. তাহের। লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) : পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম। লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) : ধানের শীষের প্রার্থী আবুল খায়ের ভূঁইয়ার অভিযোগ, আওয়ামী লীগ উলঙ্গ হয়ে কেন্দ্র দখল করেছে। লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) : ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর অভিযোগ, আগের রাতে কেন্দ্রগুলো দখলে নিয়ে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) : পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী আমির এজাজ খান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনীল শুভ রায়। খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) : বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল। খুলনা-৪ (রূপসা-দিঘলিয়া-তেরখাদা) : ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল জানান, প্রহসনের ভোটে থাকতে চাই না। খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) : সকালে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার। খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) : সকালে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ। বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী মো. শেখ মাছুদ রানা। বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) : নানা অভিযোগে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী এমএ সালাম। বাগেরহাট-৩ (রামপাল ও মোংলা) : বেলা ১১টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ শেখ। বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা) : বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যাপক মো. আলীম। যশোর-১ (শার্শা) : দুপুরে প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে পুনঃভোট দাবি করেন ধানের শীষের প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেনের নির্বাচনী এজেন্ট। যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-সদরের একাংশ) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী এনপিপি নেতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হক জহিরের নির্বাচনী এজেন্ট। যশোর-৫ (মনিরামপুর) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বারী ও ধানের শীষের প্রার্থী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের নির্বাচনী এজেন্ট। ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) : বেলা পৌনে ৩টায় ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) : দুপুর আড়াইটার দিকে ধানের শীষের প্রার্থী কারাবন্দি জামায়াত নেতা মাওলানা মতিয়ার রহমানের নির্বাচনী এজেন্ট ভোট বর্জনের তথ্য জানান। ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদরের একাংশ) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। পঞ্চগড়-১ (তেঁতুলিয়া-সদর-আটোয়ারী) : দুপুরে পুনঃভোটের দাবি জানান ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর-বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-ঘোড়াঘাট) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল ইসলাম। নীলফামারী-২ (সদর) : দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতা মনিরুজ্জামান মন্টু। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা কমিটির সদস্য আজিজুল ইসলাম। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী মাজেদুর রহমান। গাইবান্ধা-২ (সদর) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী আবদুর রশীদ সরকার। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী মশিউর রহমান। গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু। হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) : বেলা সাড়ে ১১টার পর ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী গণফোরাম নেতা ড. রেজা কিবরিয়া। হবিগঞ্জ-২ (আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচং) : বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে পুনর্নির্বাচন দাবি করেন ধানের শীষের প্রার্থী খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ। দুপুর ১২টায় ভোট বর্জন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আহমদ রূপক। হবিগঞ্জ-৩ (সদর-লাখাই) : ধানের শীষের প্রার্থী জিকে গউসের অভিযোগ, ভোট নয়, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে। হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) : দুপুরে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষের প্রার্থী ড. আহমদ আবদুল কাদের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে নির্বাচন বাতিল করে আবার তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিএনপিপ্রধান সরকারবিরোধী নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। ভোটগ্রহণ শেষে গতকাল রবিবার রাতে বেইলি রোডের বাসায় বিএনপিসহ জোটের নেতাদের পাশে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশের সব আসন থেকে একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে বলছি, এই নির্বাচন বাতিল করা হোক। আমরা এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দাবি করছি।
ড. কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস করে অতীতের শত তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থাকার পরও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অনেক আশা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। ‘আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হবে না। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের কিংবা গ্রেপ্তার করা হবে না।’ প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সমগ্র দেশবাসী যখন প্রস্তুত, তখনই আমরা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে একের পর এক খবর পাই যে, গতকাল রাতেই আওয়ামী দুর্বৃত্তরা নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখে। আজ (রবিবার) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে এবং বেশ ক’জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সামনের দিনের করণীয় নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামীকাল বৈঠবে বসবে জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি নির্বাচন নয়, প্রহসন। অনেকে বলেছে, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচনে না গিয়ে ভুল করেছিলাম। এই নির্বাচন প্রমাণ করছে, ২০১৪ সালে নির্বাচনে না যাওয়াটা সঠিক ছিল। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এই নেতাদের নিয়ে কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক হয়। সেখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও জেএসডির সভাপতি আ স ম রব ছিলেন।
বিএনপির বৈঠক আজ
নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের পর করণীয় নির্ধারণে আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছে বিএনপি। আজ বিকেল ৩টায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে বলে দলের চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন।
দিদার দেশ রূপান্তরকে বলেন, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ২০-দলীয় জোটেরও বৈঠক হবে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীকলা গ্রামে মায়ের সঙ্গে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল দেড় বছরের রুহান। গত মঙ্গলবার বাড়ির উঠানে খেলা করছিল শিশুটি। পরে বাড়িতে না দেখে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে পাশের পুকুরে ভাসতে দেখেন স্বজনরা। পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইদিন হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের সদরাবাদ গ্রামে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো সদরাবা গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন, বাবুল হোসেনের ছেলে রাফি আহমেদ। পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে নেমে তলিয়ে যায় ইকবাল ও রাফি। খোঁজখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরে তাদের লাশ দেখতে পান স্বজনরা।
দেশে কোনো না কোনো প্রান্তে প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা একশর বেশি। চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬১।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো দুর্ঘটনার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে। এটি একটি অবহেলাজনিত জাতীয় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাস্থ্য ও তথ্য জরিপ ২০১৬ অনুযায়ী, বছরে ১ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ হাজার ৪৩৮ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এ সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। এসব মৃত্যুর ৮৮ শতাংশই বাড়ি থেকে ২০ মিটারের মধ্যে ঘটে। পানিতে ডোবার ঘটনা বেশি ঘটে মিঠাপানিতে, যেমন বাড়ির পাশের পুকুর-দীঘি-ডোবায়। খেলতে খেলতে কিংবা গ্রামাঞ্চলে হাত-মুখ ধুতে গিয়েও পানিতে ডুবে মৃত্যুর অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। আবার কখন ডুবে যাওয়া শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে একই সঙ্গে দুজন বা তারও বেশি মৃত্যুর ঘটনাও আছে। এ ছাড়া নদী বা খালে ডুবেও মৃত্যুর ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে।
দেশে দীর্ঘদিন ধরে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিয়ে কাজ করছে গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’। সংবাদপত্রে প্রকাশিত পানিতে ডুবে মৃত্যুর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তারা। সংগঠনটির হিসাবে, ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৩ হাজার ৮৪৬ জন মারা গেছে। এর ৮৮ শতাংশই ৫-৯ বছর বয়সী শিশু।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মৃত্যু হয়েছিল ৮০৭ জনের। এর মধ্যে ৫ বছরের শিশু রয়েছে ২৬০টি। এর পরেই আছে ৫-৯ বছর বয়সী ২৮৭, ১০-১৪ বছর বয়সী ১০৬, ১৫-১৮ বছর বয়সী ৩০ জন। আর ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে মৃত্যু ছিল প্রায় দ্বিগুণ। ওই বছর পানিতে ডুবে মারা গেছে ১ হাজার ৩৪৮ জন। এর মধ্যে অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫৯৭। তার পরেই আছে ৫-৯ বয়সী ৩৮৭, ১০-১৪ বছর বয়সী ১০৬ ও ১৫-১৮ বছর বয়সী ৪৩ জন। এ ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী তরুণ মারা গেছে ২১৫ জন।
২০২২ সালে মারা গেছে ১ হাজার ১৩০ জন। এ সময় অনূর্ধ্ব ৫ বছর বয়সী শিশু মারা গেছে ৫৬৬ জন, যা মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক। অন্যদিকে ৫-৯ বছর বয়সী শিশু মারা গেছে ৩৬৩ জন। এরপরই ১০-১৪ বছর বয়সী ৯৩, ১৫-১৮ বছর বয়সী ৩৮ ও ১৮ বছরের বেশি বয়সী ৬৭ জন মারা গেছে।
২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫৬১ জন। এর মধ্যে ২৯০ জনের বয়স ছিল ৫ বছরের মধ্যে। ৫-৯ বছর বয়সী শিশু মারা গেছে ১৯৪ জন। ১০-১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪৮। ১৫-১৮ বছর বয়সী রয়েছে ৯ জন। এ ছাড়া ১৮ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছে ১৩ জন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের সব বিভাগেই পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার প্রায় কাছাকাছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপরের অবস্থান ঢাকা বিভাগের। এ বিভাগে রাজধানী ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় গড়ে ৪০ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
বছর জুড়ে পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটলেও সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায়। এ সময় বর্ষার কারণে পুকুর, খাল-বিল ও নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে শিশুমৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। পানির উৎস বাড়ির যত কাছাকাছি থাকে, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি ততই বেড়ে যায়।
পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু নিয়ে ‘সমষ্টি’র পরিচালক মীর মাসরুর জামান রনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় আমরা যে তথ্য পাই সেখান থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। বাস্তবে চিত্র আরও ভয়াবহ। মাত্র ২৫ শতাংশ মৃত্যুর সংবাদ আমরা পেয়ে থাকি।’
তিনি বলেন, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর একটি বড় কারণ হচ্ছে পারিবারিক অসচেতনতা ও অবহেলা। শুধু বড় জলাশয় বা পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয় বিষয়টা এমন নয়। অনেক সময় বালতির পানিতে ডুবেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে পরিবার বা বাবা-মায়ের অসচেতনতার কারণে। ছয় বছরের বেশি বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। অথচ এ বয়সের শিশুদের সাঁতার শেখানোর কথা। যদি তারা সাঁতার জানত তাহলে এ মৃত্যু অনেকাংশে কমে আসত।
বাংলাদেশ সরকার ২০১১ সালের স্বাস্থ্যনীতিতে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুকে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। শিশু নিরাপত্তায় পাইলট প্রকল্পে পানিতে ডুবে মৃত্যুও বিবেচনা করলেও সরকারের বাস্তবায়িত প্রকল্প এখনো সীমিত। গত বছর সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযতœ কেন্দ্রের মাধ্যমে ‘শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার সুবিধা প্রদান’ নামে কর্মসূচি নিয়েছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ইনটেগ্রেটেড কমিউনিটি বেইজড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফ্যাসিলিটিজ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারা দেশে ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় আট হাজার শিশুযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। এসব যতœকেন্দ্রে কাজ পাবে ১৬ হাজার গ্রামীণ নারী। প্রতিটি যতœকেন্দ্রে ২৫ শিশুকে ভর্তি করা হবে। একই সঙ্গে ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে।
মীর মাসরুর জামান বলেন, ‘শিশুমৃত্যু ঠেকাতে হলে শহর থেকে গ্রামপর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেখানে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অথবা কমিউনিটির নেতাদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে।’
তিনি বলেন, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু কমানোকে গুরুত্ব দিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অধীনে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যদিও এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বেশিদিন হয়নি। প্রয়োজনে এ ধরনের প্রকল্পকে সরকারীকরণ করতে হবে।
শিশু-কিশোর সংগঠক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদীর বাইরেও খাল-বিল, জলা, ডোবা-পুকুর এখন যথেষ্ট রয়েছে। ফলে পানির সঙ্গে এ দেশের মানুষের মিলেমিশে বসবাস করতে হবে। এজন্য সাঁতার শেখার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে স্কুলের কারিকুলামের মধ্যেই থাকবে সাঁতার শেখা।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার একটা কথা বলি, আনন্দের মধ্যে এবং চারপাশের চেনা প্রতিবেশ ও পরিবেশের মধ্যে দিয়েই শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে।’
ডা. লেলিন বলেন, ‘একটি শিশু যখন স্কুলে গেল সেখানেই সাঁতার শেখানো সম্ভব। কারণ দেশের সব জায়াগায় সাঁতার শেখানোর যথেষ্ট উপকরণ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব মহানগর বা শহরে সাঁতার শেখানোর জায়গার অপ্রতুলতা রয়েছে, সেসব জায়গায়ও বিশেষ ব্যবস্থায় সাঁতার শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারে। প্রাথমিক জীবনের অঙ্গ হিসেবে শিক্ষার শুরু থেকেই সাঁতার শেখানোটা বাধ্যতামূলক করলে এ সমস্যার বড় অংশ সমাধান করা যাবে। দ্বিতীয়ত অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। যেসব জায়গায় ছোট শিশু রয়েছে সেখানে জলাধারগুলোকে চারপাশে ঘেরাও দিতে হবে। যেন শিশু বাইরে থাকলেও সুরক্ষিত থাকে। এ ছাড়া সরকারকে এ বিষয়ে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। যে প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলো যেন কার্যকর ভূমিকা রাখে সেটা নজরদারিতে রাখতে হবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেই হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেবে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি। এক দফার যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে থাকা দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে। চলতি মাসে অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির দুটি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিএনপি সূত্রের দাবি। যার প্রতিফলন দেখা গেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতেও।
সূত্রের দাবি, দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অন্তত তিন নেতা হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নেতাকর্মীদের।
সূত্রগুলো বলছে, নভেম্বরের যেকোনো সময় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে ওই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। বিএনপি চাচ্ছে তফসিল ঘোষণার আগেই নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক ফয়সালা নিশ্চিত করতে। এ লক্ষ্যে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার চিন্তা রয়েছে তাদের। এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা ঘেরাও, সচিবালয় ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচিসহ নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়ে দলটির অভ্যন্তরে আলোচনা রয়েছে।
জানা গেছে, এসব কর্মসূচিতে সরকার পক্ষ বাধা দিলে ‘যদি পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে’ তাহলে এক পর্যায়ে অসহযোগ আন্দোলনের দিকেও যেতে পারে দলটি। বিএনপি নেতারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে দুই ধাপে কর্মসূচি সাজিয়েছে বিএনপি। প্রতিটি ধাপের শেষ দিনের কর্মসূচি হবে শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক। সরকার কঠোর হলে কর্মসূচিও কঠোর হবে। তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ রাখতে চাইবে দলটি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তফসিলের আগেই হরতালের কর্মসূচি আসতে পারে। তবে দলটির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তফসিল ঘোষণা হলেই তারা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
এই কর্মসূচি ঘোষণার আগে আন্দোলনে থাকা সমমনা দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। কীভাবে কর্মসূচি সফল করা যায় তা নিয়ে নতুন করে ছক সাজানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের মতো কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যতদিন আপনি (শেখ হাসিনা) থাকবেন দেশ আরও সংঘাতের দিকে যাবে, খারাপের দিকে যাবে এবং সংঘাত আরও বাড়তে থাকবে। এখনো তো সংঘাত শুরু হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ যেভাবে এগোচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জনগণ রুখে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘শত প্ররোচনার মুখেও আমরা একেবারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। এটার শেষ পরিণতি কী হবে তা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ কী হচ্ছে তার ওপর।’
একই দিন পৃথক কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেন। ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে সিলেট অভিমুখী রোডমার্চ কর্মসূচির প্রথম পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা হরতাল করিনি, কিন্তু করব না সেই প্রতিজ্ঞাও করিনি। জনগণের চাপের কারণে হরতাল অবরোধ যা যা করা দরকার, গণতান্ত্রিক পন্থায় এই অবৈধ সরকারকে মাটিতে বসিয়ে দেওয়ার জন্য দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সব ধরনের কর্মসূচি হবে। সেই জন্য আপনারা প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। আমাদের এবারের আন্দোলন ডু অর ডাই। হয় মরব, নয়তো লড়ব।’
আর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সম্মেলনে প্রধান অতিথির বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে যাচ্ছি। হরতাল অবরোধ শান্তির প্রবক্তারাই চালু করেছে। সরকার যদি আমাদের রোডমার্চ, মিছিলে জনগণের সম্পৃক্ততায় কোনো বার্তা না পায় বা না বোঝে তাহলে দিনের পর দিন হরতাল অবরোধ করে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’
জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। চলতি সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিন; অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত নির্বাচনের ৪০ থেকে ৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর। মাঝখানে ৪৫ দিন সময় রেখে ভোটের তারিখ ছিল ২৩ ডিসেম্বর। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির মুখে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছিল। দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণা ও ভোট গ্রহণের মধ্যে সময় ছিল ৪০ দিন।০
আশ্বিন মাসের সন্ধ্যায় ঢাকায় নামল শ্রাবণের বৃষ্টি। আকাশ ভেঙে পড়া বর্ষণে তলিয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার মুষলধারে বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। মাঝরাত পর্যন্ত ওইসব সড়কে থমকে থাকে গাড়ি। অনেকেই যেমন বৃষ্টির কারণে কর্মস্থলেই আটকা পড়েন তেমনি অনেকের অপেক্ষার প্রহর কেটেছে জলমগ্ন সড়কে গাড়িতে বসেই।
এদিকে মিরপুরে সড়কের পাশে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। গতকাল দিনভর মেঘলা আকাশ ও থেকে থেকে বৃষ্টির পর সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি বাড়তে শুরু করে। সঙ্গে থেমে থেমে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, এদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা ছাড়াও রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টি হয়েছে। আর ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে আজও।
গতকাল রাতের বৃষ্টিতে ঢাকার ফার্মগেট, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেট, মিরপুর, বনানী এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে যায়। রাজধানীর প্রায় সব সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট। দীর্ঘ সময় স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যানবাহনকে। অনেকে জানান, তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। রাতে কখন তারা বাসায় ফিরতে পারবেন তা অনিশ্চিত।
জানা গেছে, মিরপুর ১০ নম্বরে প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে কোমরসমান পানি জমেছে। পানি প্রধান সড়কে চলাচলরত প্রাইভেট গাড়ির ভেতরেও ঢুকে গেছে।
গ্রিন রোড, নর্থ ধানমন্ডিসহ আশপাশের সব গলিতে পানি জমেছে। সেখানকার গ্রিন লাইফ হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং ল্যাবএইডে আসা রোগীরা পড়েছেন বিপদে। একই অবস্থা রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, সিদ্ধেশ্বরী, বেইলি রোড এবং শান্তিনগরেও। মতিঝিলে রাতে লোক কম থাকলেও পানি হাঁটুর ওপরে উঠে গেছে।
হঠাৎ ভারী বৃষ্টির জন্য পথচারী ও ঘরমুখো মানুষরা মোটেও তৈরি ছিলেন না। এ সময় অনেকেই কাকভেজা হয়ে বাসায় ফেরেন আবার কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন যাত্রীছাউনি বা দোকানের নিচে। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলা মোটর মোড়ে বাসে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিলেন ফাহাদ হোসাইন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে একটি উঁচু ভবনের নিচে দাঁড়িয়েছিলাম। বৃষ্টি কিছুটা কমলে বাসে উঠি। আধা ঘণ্টা হলো বাস একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে।
সরকার সৌরভ নামের একজন জানান, তার মোহাম্মদপুর থেকে শাহবাগ আসতে ৩ ঘণ্টার বেশি লেগেছে। ফেরার পথে বাংলা মোটর মোড়েই আটকে আছেন এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে।
গতকাল রাত সাড়ে ১২টার সময়ও গুগল ম্যাপে দেখা যায় রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজটের সংকেত। বেশিরভাগ সড়ক রেড মার্ক ছিল সে সময়। গ্রিন রোড, মিরপুর রোডের ধানমন্ডি ২৭, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বেশ কয়েকটি সড়কেই ছিল যান চলাচল বন্ধের সংকেত। গুগলের তথ্য বলছিল, ওইসব এলাকায় সে সময় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
আহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শুক্রবারও রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় বজ্রপাতও হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
মিরপুরে চারজনের মৃত্যু : মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের। তাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনার বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেন মিরপুর থানার এসআই রুহুল আমিন। তিনি বলেন, বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মিজান, তার স্ত্রী মুক্তা, তাদের মেয়ে লিমা এবং এই তিনজনকে বাঁচাতে যাওয়া যুবক অনিক। মৃত মিজান পেশায় সিএনজি অটোরিকশাচালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
অভিষেকে ২৬ মিনিট খেলে দুই অ্যাসিস্টের অবদান রাখতে পেরেছিলেন নেইমার। আল হিলাল জিতেছিল। কিন্তু পর পর দুম্যাচ খেললেন পুরো সময়। তেমন কিছুই করতে পারলেন না। ড্র করেছে আল হিলাল আবার।
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে শেষ দিকের গোলে ১-১ ড্র করে পরাজয় বাঁচিয়েছিল আল হিলাল। আজ সৌদি প্রো লিগে দামাক এফসির বিপক্ষে ম্যালকমের গোলে ৯ মিনিটে এগিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি।
সাত ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তবুও শীর্ষেই রইলো আল হিলাল।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর কাছ থেকে মূল্য দেড় কোটি টাকা মূল্যের ১৭০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটে আসা মোহাম্মদ আলী নামের এক যাত্রীর রাইস কুকারে এসব স্বর্ণ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ব্যাংকপাড়াখ্যাত মতিঝিল এখন মৃতপ্রায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে না পারায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যত্র সরে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির চাকা ঘোরানো মতিঝিলে আবাসিক ভবন, শপিং মল, হোটেল, উন্মুক্ত স্থান তৈরি না হলে দেশের প্রধান এই বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রাণ হারাবে বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
তাদের মতে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বড় অবদান রয়েছে মতিঝিলের টাকার। শুধু তা-ই নয়, মতিঝিলে উপার্জিত অর্থে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দুবাই, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডাসহ আরও অনেক দেশে। এখানকার উপার্জিত টাকা অনেকে জমা রেখেছেন সুইস ব্যাংকেও। শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি মতিঝিলে। এ যেন মা কাঁকড়ার আত্মত্যাগের গল্প। মা কাঁকড়া বাচ্চাদের আগলে রাখে বুকের ভেতর; যেদিন বাচ্চাগুলো বের হয়ে আসে, সেদিন খোলস ছাড়া মা কাঁকড়ার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। মা কাঁকড়ার মতো দুঃখী ও ত্যাগী বাণিজ্যিক মতিঝিল।
ষাটের দশকে মতিঝিলে গড়ে ওঠে দেশের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল (সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট-সিবিডি)। সেই থেকে এখনো দেশের প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চল মতিঝিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৬১। এর মধ্যে সরকারি ৮টি, বেসরকারি ৪৫টি এবং বিদেশি ব্যাংক রয়েছে ৮টি। এ ছাড়া ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ৮১টি বীমা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্ধেকের বেশির প্রধান কার্যালয় চলে গেছে কারওয়ান বাজার, গুলশান-বনানী ও উত্তরায়। নতুন করে যেসব ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাচ্ছে, সেগুলোর প্রধান কার্যালয় মতিঝিলের বাইরে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, মতিঝিলের আশপাশে পরিকল্পিত কোনো আবাসিক এলাকা, অভিজাত হোটেল, কাজের ফাঁকে অবসর কাটানোর মতো উন্মুক্ত স্থান, শপিং কমপ্লেক্স না থাকায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের সুবিধার জন্য অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান কার্যালয়গুলোও মতিঝিলের বাইরের এলাকা, অর্থাৎ কারওয়ান বাজার, গুলশান অ্যাভিনিউ, কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে গড়ে উঠছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক বাংলা, শাপলা চত্বর, মধুমিতা সিনেমা হল এবং ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এবং দিলকুশা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবন এবং বঙ্গভবনের পাশের এলাকাজুড়ে মতিঝিল বাণিজ্যিক অঞ্চল। বিশ্বের বাণিজ্যিক অঞ্চলের ভবনগুলো সুউচ্চ হয়ে থাকে। কিন্তু মতিঝিল বাণিজ্যিক অঞ্চলের পাশেই বঙ্গভবন। নিরাপত্তার কারণে বঙ্গভবনের ৫০০ মিটার পরিধির ভেতর কোনো বহুতল ভবন করতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, মতিঝিলের প্লটগুলোর ‘নন-রেসট্রিকটেড’ উচ্চতা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু বঙ্গভবনের ৫০০ মিটার পরিধির ভেতর সাড়ে চারতলার বেশি উচ্চতার ভবনের অনুমোদন মেলে না। ফলে মূল্যবান ওই প্লটগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না মালিকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগ জরাজীর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণও রয়েছে কয়েকটি ভবন। একটির সঙ্গে অন্যটি লাগানো। দুটি ভবনের মাঝখানে উন্মুক্ত জায়গা নেই বেশিরভাগ ভবনের। দিলকুশা এলাকার বঙ্গভবন লাগানো ভবনগুলোর মাঝখানেও কোনো ফাঁকা জায়গা দেখা যায় না।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, মতিঝিল এলাকার ফুটপাতগুলো হকারদের দখলে। ভাঙাচোরা এবড়োখেবড়ো সড়ক। সড়ক বিভাজকগুলো শ্রীহীন। এগুলোতে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ হয়নি। প্রধান সড়ক থেকে একটু ভেতরে গেলে মতিঝিলের আরও করুণ দশা চোখে পড়ে। দেশের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকার সড়কের ফুটপাতে গড়ে উঠেছে চটের ছালা দিয়ে ঘেরা খাবারের হোটেল, চায়ের দোকান এবং নানা পণ্যের অস্থায়ী দোকান। সামান্য বৃষ্টিতে মতিঝিল এলাকার সড়কগুলো তলিয়ে থাকে পানির নিচে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল বাণিজ্যিক অঞ্চলটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত। ডিএসসিসি এলাকার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে। খসড়া মাস্টারপ্ল্যানে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবে মূল্যায়ন করলে মতিঝিল ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। যদিও এটা মানতে নারাজ ডিএসসিসির কারিগরি কমিটি।
মতিঝিল এলাকার বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মোজাম্মেল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, মতিঝিল এলাকার সংস্কার ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে ডিএসসিসি। পরিত্যক্ত প্রায় ১০ কাঠা জায়গার ওপর একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মতিঝিলের সড়ক, নর্দমা, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজকের অনেক সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা দরকার। পর্যায়ক্রমে এ এলাকার বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে কাজ করবে ডিএসসিসি। তবে মতিঝিল বাণিজ্যিক অঞ্চলের মূল সংস্কার ও আধুনিকায়নের দায়িত্ব রাজউকের। রাজউককে সেসব বিষয় পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এসব কাজে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা লাগলে করপোরেশন সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
মতিঝিল বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে তোলে রাজউক। রাজউক সূত্রে জানা যায়, ষাটের দশক থেকেই মতিঝিলের পুরোপুরি বাণিজ্যিক বৈশিষ্ট্য অনুপস্থিত। বিশে^র উন্নত দেশগুলোর বাণিজ্যিক অঞ্চলে শপিং মল, হোটেল, উন্মুক্ত স্থান থাকে। আর কাছাকাছি এলাকায় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা থাকে। মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ক্ষেত্রে সেটা ছিল না। অভিজাত মানের হোটেল পূর্বাণী গড়ে উঠলেও আশপাশে সময় কাটানোর মতো ব্যবস্থা নেই। সে কারণে ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দেশ-বিদেশ থেকে আসা লোকজন গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় থাকেন। মতিঝিলের সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে ও আধুনিকায়নে যেসব বিষয়ে দৃষ্টি রাখা দরকার ছিল রাজউক ও সিটি করপোরেশন সেটা করেনি।
রাজউক সূত্রে আরও জানা যায়, ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধরা, উত্তরা। সেই সব এলাকা থেকে মানুষ মতিঝিলে আসেন। শহরের জনসংখ্যা বাড়ায় দিন দিন যানজট বাড়ছে। ওই সব এলাকা থেকে মতিঝিলে আসতে সড়কে এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে যায়। দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কর্মঘণ্টার মধ্যে ৩০ শতাংশ সময় সড়কে নষ্ট হচ্ছে। ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে চিন্তা করেছে, তার কর্মস্থল এমন একটা জায়গায় হবে যা তার আবাসনের কাছাকাছি। মতিঝিল থেকে ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরে যাওয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ও ভূমিকা রেখেছে।
কালের বিবর্তনে গুলশান হয়ে উঠেছে বাণিজ্যিক এলাকা। কারওয়ান বাজার, উত্তরায়ও গেছে কিছু। এসব জায়গায় ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমও সেখানে চলে গেছে। এসব এলাকার আশপাশে গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকায় তাদের বসবাস। আবাসিক এলাকা ছাড়া, পৃথিবীর কোথাও শতভাগ জায়গা শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা অথবা একই শ্রেণির কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহার হয় না।
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মুখপাত্র মো. আশরাফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, নগর পরিকল্পনায় ভূমির ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়, যেকোনো জায়গার ব্যবহার হবে ২৪ ঘণ্টা। দেশের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল কর্মচঞ্চল থাকে মাত্র ১২ ঘণ্টা। এরপর ওই জায়গার ব্যবহার হয় না। রাতে নীরব ও ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।
তিনি বলেন, যে মতিঝিলে দিনের বেলায় হাঁটা যায় না; গাড়ির কারণে, যানজটে; সেই মতিঝিলে রাত ৮টার পরে আবার একাও হাঁটা যায় না; অনিরাপদ বোধ হয়। এ জন্য যারা দিনে বাণিজ্য করতে আসেন, তারা মতিঝিল এলাকার হোটেলগুলোতে থাকেন না। অন্যদিকে গুলশান-বনানী এলাকায় থাকলে তারা শপিংয়ে যেতে পারেন, কফি শপে যেতে পারেন। এসব কারণে সারা বিশ্বে ভূমির মিশ্র ব্যবহারকে উৎসাহিত করেছে।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, মতিঝিল এলাকা যেহেতু ইতিমধ্যে তার আভিজাত্য হারিয়ে ফেলেছে, এ জন্য মতিঝিলের জমির শ্রেণিকে মিশ্র ব্যবহার হিসেবে ঢেলে সাজানোর প্রস্তুতি নিয়েছে রাজউক। সংশোধিত ড্যাপে সে বিষয়ে নির্দেশনা রাখা হয়েছে। পৃথিবীর নগর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ৫০, ৬০ বা ১০০ বছর অন্তর সেসব ঢেলে সাজানো হয়। সেটা বিবেচনায় নিয়েই মতিঝিল এলাকাকেও ঢেলে সাজাতে হবে। এখানে আবাসিকের বৈশিষ্ট্য দিতে হবে; কনডোমিনিয়াম গড়ে তুলতে হবে। ইতিমধ্যে রাজউক বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে ১৬ একর জায়গা নিয়ে একটি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে লাইব্রেরি, ওয়াকওয়ে থাকবে। বসার ব্যবস্থা থাকবে। মতিঝিল এলাকায় ঝিল ছিল, ওই ঝিলকে প্রাধান্য দিয়ে পার্কটি তৈরি করা হবে। বহুমুখী ব্যবহার ছাড়া মতিঝিলকে আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, মতিঝিলের আধুনিকায়ন ও ভূমির মিশ্র ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাহলে মতিঝিল সচল থাকবে; তবে ঢাকা শহর বড় হওয়ায় আরও বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে ওঠা ইতিবাচক। এসব পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা দরকার ছিল; কিন্তু ঢাকার ক্ষেত্রে সে রকম হয়নি। এটা দুঃখজনক। এ জন্য শহরে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ঢাকায় এখন অনেকগুলো বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সেই সব অঞ্চলে ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত বড় বড় ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় মতিঝিলে রয়েছে। তবে ব্যবসা গুলশান, বনানী, উত্তরা, গাজীপুরে সরে যাওয়ায় ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ব্যবসা কেন্দ্রের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে বা পারিবারিক পরিচয়ে রাজনীতির চর্চা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ উপমহাদেশে। বাবার সূত্রে কিংবা দাদার সূত্রে রাজনীতিতে এসে অনেকে পূর্বসূরিকে ছাড়িয়ে গেছেন। আদর্শের যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। রাজনীতিতে হয়েছেন বটবৃক্ষ। আবার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও উত্তরাধিকার সূত্রে পদ-পদবি পেয়ে যাওয়ার উদাহরণও আছে। যারা এভাবে রাজনীতিতে এসেছেন, তারা কার্যত বনসাই হয়ে আছেন।
দেশের সবচেয়ে পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ প্রায় সব দলেই উত্তরাধিকারের চর্চা রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে এমপি হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান একাদশ সংসদে এ সংখ্যা ৯৮। স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ জাগায় যে, আগামী দ্বাদশ সংসদে এ সংখ্যা কত হবে? যদিও বর্তমান সংসদের ৩৪টি উপনির্বাচনে উত্তরাধিকার সূত্রে এমপি হয়েছেন কমই।
রাজনীতিতে উত্তরাধিকারের চর্চা যে খারাপ সেটা মোটেও বলা যাবে না। বরং উত্তরাধিকারের কারণে দেশের জন্য, জনগণের জন্য অবদান রাখা ঐতিহ্যবাহী দল আরও শক্তিশালী হওয়ার উজ্জ্বল উদাহরণও আছে। যেমন ভারতের রাজনীতিতে ইন্দিরা গান্ধী। বাবা নেহরু গান্ধীর উত্তরসূরি হলেও নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে কংগ্রেসের রাজনীতিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছেন। তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরাধিকার হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। টানা তিনবারসহ চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পঁচাত্তর-পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনরুত্থান ঘটেছে। আরও শক্তিশালী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরেছে।
বিএনপির ক্ষেত্রেও বলা যায়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর দলটির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। তাদের ছেলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংসদের ৩০০ আসনে উত্তরসূরি হিসেবে বা পারিবারিক পরিচয়ে মনোনয়ন পাওয়ার পাশাপাশি সংরক্ষিত ৫০ আসনেও এই চর্চা আছে। বরং হিসাব করলে বেশিই দেখা যায়।
সব মিলিয়ে একাদশ সংসদেই উত্তরসূরি বা পারিবারিক পরিচয়ে এমপি রয়েছেন শতাধিক। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন নিয়ে সরকার গঠন করে। পারিবারিক সূত্রে রাজনীতিতে আসা সরকারি দলের এমপির সংখ্যা ৮৬। এর মধ্যে প্রায় ৭০ জনই মাঠের রাজনীতি করে আসেননি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ২৯ জনের মধ্যে এই সংখ্যা ৭। এ ছাড়া সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নিজে ও তার স্ত্রী বেগম আফরোজা হকও এমপি।
একাদশ সংসদে বিএনপির সাতটি আসন ছিল। এর মধ্যে একটি সংরক্ষিত নারী আসন। তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত আসনে এমপি হন। তার বাবা অলি আহাদ আওয়ামী লীগের প্রথম প্রচার সম্পাদক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বা সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের প্রভাব ধরে রাখতে নেতার পরিবারের সদস্যদের রাজনীতিতে আনা হয়। আবার অনেক সময় যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে না ওঠায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তবে উত্তরাধিকার চর্চার প্রভাব নিয়ে সতর্ক করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এমন চর্চার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। সংসদে দেখা যায়, অনেকে বক্তব্য দিতে পারেন না। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিও বোঝেন না। আবার জনসমাবেশে অরাজনৈতিক আচরণ করেন, যা সরকার বা দলকে বেকায়দায় ফেলে দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘উত্তরাধিকারের রাজনীতি গণতন্ত্র ও আধুনিক রাজনীতির বিরোধী। দলের জন্য ও রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।’ তিনি বলেন, ‘গত ১৫-২০ বছরে এ ধারার রাজনীতির চর্চা বেশি হচ্ছে বলেই দুর্বল হয়েছে রাজনীতি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিক্ষা বা যোগ্যতা থাকলে এটা গ্রহণ করা যায়। উত্তরাধিকার সূত্রে সংসদে এত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা অবশ্যই দুশ্চিন্তার। আমি মনে করি, এ সংখ্যা নিয়ে প্রত্যেক দলেরই চিন্তার ব্যাপার আছে। কারণ দাদা, বাবার যোগ্যতায় এসব পদ পেয়ে থাকলে গণতন্ত্র কতটা মজবুত করবে, সেটাও ভাবতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রে উত্তরাধিকারের সুযোগ নেই। আবার এটাকে ধর্মগ্রন্থের বাণী মনে করলেও চলবে না। কারও যদি যোগ্যতা থেকে থাকে, তাহলে বাবা-দাদা থাকলে আসতে পারবেন না সেটাও তো হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের যারা : এমপি ও মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড় থেকে নির্বাচিত। তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম ১৯৭০, ’৭৩, ’৭৯ ও ’৮৬ সালের এমপি। দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বাবা প্রয়াত আবদুর রউফ চৌধুরী। তিনি ১৯৯৬ সালের এমপি ও দলের নেতা ছিলেন। ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও বর্তমানে প্রতিমন্ত্রী। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা। এ ছাড়া তিনবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
দিনাজপুরের আরেকটি আসন থেকে নির্বাচিত ইকবালুর রহিমের বাবা প্রয়াত আবদুর রহিম। তিনি সত্তরের এমপি ছিলেন। তবে ইকবালুর রহিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দিনাজপুরের আরেকটি আসনের এমপি শিবলী সাদিক। তার বাবা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুও এমপি ছিলেন।
রংপুর-২ আসনের আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর চাচা আনিসুল হক চৌধুরী এমপি ছিলেন। গাইবান্ধা-২ আসনের মাহাবুব আরা গিনি পারিবারিক বিবেচনায় এমপি হয়েছেন। বগুড়া-১ আসনের সাহাদারা মান্নান প্রয়াত এমপি আবদুল মান্নানের স্ত্রী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ১৯৭৩ সালের এমপি প্রয়াত মইন উদ্দীন আহমদের ছেলে। নওগাঁ-৫ আসনের নিজাম উদ্দিন জলিলের (জন) বাবা প্রয়াত আবদুল জলিল ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের তানভীর শাকিল জয় প্রয়াত মন্ত্রী ও নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। তার দাদা জাতীয় চার নেতার অন্যতম মনসুর আলী। সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ডা. হাবিবে মিল্লাত সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেয়ের জামাই। সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের তানভীর ইমাম প্রয়াত নেতা এইচ টি ইমামের ছেলে। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের মেরিনা জাহান দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত মযহারুল ইসলামের মেয়ে। তার ভাই চয়ন ইসলামও এমপি ছিলেন। পাবনা-২ আসনের আহমেদ ফিরোজ কবির প্রয়াত আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ১৯৭৩ ও ’৯৬ সালের এমপি ছিলেন। মেহেরপুর-১ আসনের ফরহাদ হোসেনের বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ সহিউদ্দিন ছিলেন ১৯৭০, ’৭৩ ও ’৮৬ সালের এমপি। কুষ্টিয়া-৪ আসনের এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের দাদা গোলাম কিবরিয়া ছিলেন এমপি। ঝিনাইদহ-২ আসনের তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বাবা প্রয়াত নুরে আলম সিদ্দিকী ছিলেন দলের নেতা। ঝিনাইদহ-৩ আসনের এমপি শফিকুল আজম খান। তার বাবা প্রয়াত শামসুল হুদা জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। যশোর-৫ আসনের স্বপন ভট্টাচার্যের ভাই পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য দলের নেতা। অবশ্য রাজনীতিতে স্বপনেরও অবদান রয়েছে। রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর বাবা প্রয়াত রফিকুল্লাহ চৌধুরী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। মাগুরা-১ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর। তার বাবা মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান তিনবারের এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা শেখ হেলালের ছেলে শেখ ফারহান নাসের তন্ময় বাগেরহাট-২ আসনের এমপি। বাগেরহাট-৩ আসনের হাবিবুন নাহার খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী। খুলনা-২ আসনের শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল শেখ নাসেরের ছেলে। খুলনা-৩ আসনের মন্নুজান সুফিয়ানের স্বামী আবু সুফিয়ান এ আসনের এমপি ছিলেন। তিনি নিজেও অবশ্য রাজনীতি করেছেন। ভোলা-২ আসনের আলী আজম মুকুল দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা। ভোলা-৪ আসনের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বাবা প্রয়াত এমএম নজরুল ইসলাম ১৯৭৯ ও ’৯১ সালের এমপি। টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলাম সাবেক এমপি হাজি মকবুল আহমেদের ছেলে। টাঙ্গাইলের আরেক আসনের এমপি খান আহমেদ শুভ দলের জেলা সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুকের ছেলে। ফারুক ১৯৭৩ সালে এমপি ছিলেন। ময়মনসিংহ-১ আসনের জুয়েল আরেং সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিনের ছেলে। ময়মনসিংহ-২ আসনের শরীফ আহমেদের বাবা শামসুল হক চারবারের এমপি। ময়মনসিংহ-১০ আসনের ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের বাবা প্রয়াত এমপি আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ। নেত্রকোনার এমপি সাজ্জাদ হাসানের বাবা প্রয়াত আখলাকুল হোসাইন আহমেদ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সৈয়দা জাকিয়া নূর চার জাতীয় নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন। কিশোরগঞ্জের আরেক এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে। অন্য এমপি নাজমুল হাসান পাপনের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুুর রহমান। তার মা মহিলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আইভি রহমান। মানিকগঞ্জের নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বাবা প্রয়াত সায়েদুর রহমান এমপি ছিলেন। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে নির্বাচিত নসরুল হামিদের বাবা হামিদুর রহমান দলের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। মা হাসনা হামিদও রাজনীতি করতেন। গাজীপুরের জাহিদ আহসান রাসেল প্রয়াত নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে। সিমিন হোসেন রিমি প্রয়াত জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে। মেহের আফরোজ চুমকির বাবা প্রয়াত ময়েজউদ্দিন ১৯৭০ ও ’৭৩ সালের এমপি। কাজী কেরামত আলীর বাবা কাজী হেদায়েত হোসেন গণপরিষদ সদস্য ছিলেন। মুজিবুর রহমান চৌধুরীর (নিক্সন) বাবা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মীয়। তার আরেক ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরীও এমপি। ফরিদপুর-৩ আসনের ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আত্মীয় পরিচয়ে এমপি হন। ফরিদপুরের আরেকটি আসনের এমপি শাহদাব আকবরের মা প্রয়াত এমপি দলের নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। নাহিম রাজ্জাকের বাবা প্রয়াত নেতা ও এমপি আবদুর রাজ্জাক। জয়া সেনগুপ্তা প্রয়াত এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। এ কে আবদুল মোমেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই। গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের (মিলাদ গাজী) বাবা প্রয়াত এমপি দেওয়ান ফরিদ গাজী। মাহবুব আলীর বাবা আছাদ আলী প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। আনিসুল হকের বাবা প্রয়াত সিরাজুল হক ১৯৭০ সালের এমপি ও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা। রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বাবা এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী ছিলেন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের এমপি। দীপু মনির বাবা প্রয়াত এমএ ওয়াদুদ ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আয়েশা ফেরদাউসের স্বামী প্রয়াত এমপি মোহাম্মদ আলী। মাহফুজুর রহমানের বাবা মুস্তাফিজুর রহমান ১৯৯১ ও ’৯৬ সালের এমপি ছিলেন। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাবা প্রয়াত ফজলুল কবির চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাবা চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বাবা প্রয়াত এমপি আখতারুজ্জামান চৌধুরী। সাইমুম সরওয়ার কমলের বাবা প্রয়াত ওসমান সরওয়ার চৌধুরী ছিলেন ১৯৭৩ সালের এমপি। শাহিনা আক্তার চৌধুরীর স্বামী সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি। শিরীন আহমেদের স্বামী প্রয়াত বজলুর রহমান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। নাহিদ ইজাহার খানের বাবা খন্দকার নাজমুল হুদা পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর নিহত সেনা কর্মকর্তা। খাদিজাতুল আনোয়ারের বাবা প্রয়াত এমপি রফিকুল আনোয়ার। ওয়াসিকা আয়শা খানের বাবা প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সার দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। কানিজ ফাতেমা আহমেদের স্বামী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী আওয়ামী লীগ নেতা। আঞ্জুম সুলতানা সীমার বাবা কুমিল্লার প্রয়াত নেতা আফজল খান। উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমের (শিউলী আজাদ) স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল আজাদ। রুমানা আলীর বাবা প্রয়াত এমপি রহমত আলী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের এমপি বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তার মামা খালেদ মোশাররফ। পারিবারিক পরিচয়ে এমপি হলেও সংগ্রাম এমপি হওয়ার আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। সুলতানা নাদিরার স্বামী প্রয়াত নেতা গোলাম সবুর টুলু। হাবিবা রহমান খান শেফালীর বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান খান তিনবারের এমপি ছিলেন। জাকিয়া পারভীন খানমের বাবা সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর রহমান খান চুন্নু মিয়া। তার স্বামী আওয়ামী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। অপরাজিতা হকের বাবা প্রয়াত খন্দকার আসাদুজ্জামান ছিলেন তিনবারের এমপি। তামান্না নুসরাত বুবলীর স্বামী প্রয়াত লোকমান হোসেন ছিলেন নরসিংদীর মেয়র। জাকিয়া তাবাসসুমের বাবা প্রয়াত আজিজুর রহমান দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ফরিদা খানম নারী মুক্তিযোদ্ধা। তার স্বামী নোয়াখালী জেলা মুজিব বাহিনী প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত। রাজবাড়ীর সালমা চৌধুরীর বাবা প্রয়াত আবদুল ওয়াজেদ চৌধুরী ছিলেন এমপি। সৈয়দা রাশিদা বেগমের স্বামী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সৈয়দ নিজাম উদ্দিন লাইট। ফেরদৌসী ইসলাম জেসীর বাবা প্রয়াত ভাষাসৈনিক ও সংসদ সদস্য আ আ ম মেসবাহুল হক বাচ্চু। পারভীন হক সিকদারের বাবা প্রয়াত ব্যবসায়ী জয়নুল হক সিকদার। জামালপুরের আবুল কালাম আজাদ শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভায়রা। এ ছাড়া শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলাল উদ্দীন, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও শামীম ওসমানের পারিবারিক পরিচয় থাকলেও তারা এখন প্রত্যেকে রাজনীতিতে স্বনামে প্রতিষ্ঠিত।
জাতীয় পার্টি : বিরোধী দলনেতা রওশন এরশাদ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী। তাদের ছেলে সাদ এরশাদও এমপি। আহসান আদেলুর রহমান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ভাগ্নে। জিএম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদেরও এমপি। নীলফামারী-৪ আসনে আদেলুর রহমান আদেল, তার বাবা ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি ছিলেন। নাসরীন জাহান রত্না দলের কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী। আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান।
অন্যান্য : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান সংরক্ষিত নারীর আসনে এমপি। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নিজে ও তার স্ত্রী বেগম আফরোজা হকও এমপি। মাহী বি চৌধুরীর বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সেলিনা ইসলামের স্বামী পদচ্যুত এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল।
সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ৫টি রোডমার্চসহ টানা ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করবে দলটি। তবে মাঝে তিন দিন ২০, ২৪ ও ২৮ সেপ্টেম্বর কোনো কর্মসূচি নেই। বিএনপির নতুন ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাবেশ, রোডমার্চ ও দোয়া মাহফিল।
গতকাল সোমবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আমাদের অনেক রাজনৈতিক জোট ও দল যুগপৎ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে আমরা কতগুলো কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় অসুস্থতার কারণে মহাসচিবের অনুরোধে সেটি পড়ে শোনান স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
পাঁচটি রোডমার্চ : ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব থেকে সিলেট (সিলেট বিভাগ), ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী (বরিশাল বিভাগ), ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ (ময়মনসিংহ বিভাগ) এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম (কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকায় হবে সমাবেশ : ১৯ সেপ্টেম্বর জিঞ্জিরা/কেরানীগঞ্জ, গাজীপুরের টঙ্গী; ২২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী, উত্তরা; ২৫ সেপ্টেম্বর নয়াবাজার, আমিনবাজার; ২৭ সেপ্টেম্বর গাবতলী এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। ঢাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর মহিলা সমাবেশ, ৩০ সেপ্টেম্বর শ্রমজীবী সমাবেশ এবং ২ অক্টোবর কৃষক সমাবেশ হবে। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
তবে ২০, ২৪ ও ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপির কোনো কর্মসূচি না থাকলেও যুগপৎ আন্দোলনের অংশীজনদের কর্মসূচি রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যে জোট ও দলগুলো আছে, তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থান থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করবে। তারা হয়তো সবগুলো করবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকাকেন্দ্রিক সমাবেশ-পদযাত্রার কর্মসূচি গণতন্ত্র মঞ্চের : এদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের দারুস সালাম ভবনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। নতুন এই কর্মসূচি হচ্ছে ১৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার কারওয়ান বাজারে পেট্রোবাংলার সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা; ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় খিলগাঁও তালতলা মার্কেটের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও পদযাত্রা।
সংবাদ সম্মেলনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম জোটের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির বাইরে জোটের নিজস্ব কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তারা বলছে, গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে সেমিনার ও আলোচনা সভাও হবে। সেসবের তারিখ-স্থানসহ বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির কর্মসূচি: ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা জিঞ্জিরা/কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে, ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার-সিলেট রোডমার্চ, ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেশাজীবী সমাবেশ, ২৩ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর-পটুয়াখালী রোডমার্চ, ২৫ সেপ্টেম্বর নয়াবাজার ও ঢাকা জেলার আমিনবাজারে সমাবেশ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগ রোডমার্চ, ২৭ সেপ্টেম্বর গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় জনসমাবেশ, ঢাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর মহিলা সমাবেশ ও ৩০ সেপ্টেম্বর কৃষক-শ্রমিক সমাবেশ, ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডমার্চ, ৩ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই-চট্টগ্রাম রোডমার্চের কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির নেতারা। এ ছাড়া আইনজীবীদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং আন্দোলনরত সব দল সমর্থন জানাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দলটি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০-৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির অঙ্ক কষছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করছে, সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রমুখী করতে পারলে নির্বাচন বিতর্ক সামাল দিতে কোনো বেগ পেতে হবে না।
আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেওয়া নানা পরিকল্পনার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা হলো ভোটের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। এ ছাড়া জনআকাক্সক্ষা পূরণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে নির্বাচন নিয়ে জনমত আওয়ামী লীগের পক্ষেই থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর আওয়ামী লীগ এ তিন পরিকল্পনাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দলের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান।
চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করেন। এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল সফর করে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর আওয়ামী লীগে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে দাবি করছেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা।
তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিগত দুই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আওয়ামী লীগ তথা সরকারকে দেশ-বিদেশে বেশ বিপাকে ফেলেছিল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে চায় না সরকারি দল। সেজন্য আগে থেকেই আটঘাট বেঁধে নামতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না ধরেই কমপক্ষে ৪০ ভাগ ভোটার উপস্থিতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়ে যাবে। সেই নির্বাচনে এ সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে এলে ভোটের পরে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করার যে চক্রান্ত বিএনপির রয়েছে, সেটি ব্যর্থ হয়ে যাবে। এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করার অন্যতম কারণ হলো এটি।
সরকারের ওপর অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের চাপ রয়েছে বিদেশিদের। গত আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফেরার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ ভোট দিতে পারলেই সেটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ৫০-৪০ শতাংশ ভোট কাস্টিং করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। তা সম্ভব হলেই ভোট বিতর্ক এড়ানো যাবে। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পরে সব নির্বাচনেই ভোটার উপস্থিতি হতাশাজনক ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে নানা সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে। কোনো কোনো ফোরামে আলোচনায় সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে কম ভোটার উপস্থিতির উদাহরণ। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির লক্ষ্য নির্ধারণ করে নির্বাচন প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।
দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা ধরে নিয়েই তিন পরিকল্পনায় সফল হতে পারবেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শেষে আওয়ামী লীগ মনে করে নির্বাচন পর্যন্ত জনআকাক্সক্ষা পূরণ ও দ্রব্যমূল্য বেঁধে রাখা পারলেই নির্বাচন পর্যন্ত আর সমস্যাগুলো বড় বাধা হয়ে আসবে না সরকারের সামনে। বাকিটা হলো ভোটের দিন লক্ষ্য অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি ঘটানো।
ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তেমন আধুনিক উদ্যোগ নেই। কম ভোট উপস্থিতির এটিও একটি কারণ। প্রত্যেক ভোটারকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে হবে এমনকি পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে, সেটি ইসিকে ভাবতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও কেন্দ্রে ভোটার আনতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন না। এ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে কী কী উপায় নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে গবেষণা চলছে। ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা বলেন, স্বল্প সময়ে যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা যায়, সেগুলো আগামী নির্বাচনে করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মানুষের কর্মব্যস্ততা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে সময় পেলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার চেয়ে পরিবারকে একটু সময় দেওয়াকে বেশি গুরুত্বের মনে করেন ভোটাররা।’ ভোট দেওয়ার প্রবণতা পৃথিবীর অনেক দেশেই কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি দল নির্বাচনে না যাওয়ায় নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে মনে করে না ভোটাররা। ফলে নির্বাচন বর্জন করা দলের ভোটাররা কেন্দ্রে যান না এবং দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন এ ভেবে আওয়ামী লীগের ভোটাররাও যান না। গত নির্বাচনগুলোতে ভোট কম পড়ার বড় কারণ এগুলো। তবে আগামী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, সেগুলো নিয়ে কাজ করছেন তারা। জাফরউল্যাহ আরও বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেড়ে যাবে।’
আওয়ামী লীগের হিসাবে মোট ভোটারের প্রায় ৩৫ শতাংশই তাদের ভোটার। এবার দলীয় ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
সরকারি দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ভোটার কেন্দ্রে আনার উদ্যোগ সফল হলে ভোট নিয়ে সব প্রশ্নই দূর করতে পারবে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ ও ’১৮ সালের দুটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্নের মধ্যে কম ভোটার উপস্থিতিও অন্যতম। তারা চান না এবার সেই প্রশ্ন উঠুক।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ছোট ছোট কিছু জনআকাক্সক্ষা পূরণেও ঘাটতি রয়েছে। ফলে সরকার বড় বড় কাজ করছে ঠিকই, ছোট কিছু জনআকাক্সক্ষা পূরণ করা সম্ভব হয়নি বলে সাধারণ জনগণের একটি অংশ সরকারের প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখতে পারছে না, এমনটাই মনে করছেন তারা। তাই ভোটের আগে বাকি সময়ে ছোট বিষয়গুলো আমলে নিয়ে তা পূরণ করা হলে সাধারণ জনগণের ওই অংশটি আওয়ামী লীগের ওপরই আস্থা রাখবে বলে তারা বিশ্বাস করেন।
সরকারি দলের নীতিনির্ধারকরা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষকে। সংসার জীবনের কশাঘাতে পড়ে সরকারের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন ওই শ্রেণির মানুষের কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। সংসার সামলাতে যে বিষয়গুলো বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সেগুলোকে নির্বাচন পর্যন্ত কড়া মনিটরিংয়ে রেখে সামাল দেওয়া সম্ভব হলে মধ্যবিত্ত/নিম্নবিত্ত অংশের আস্থা অর্জন করতে পারবে বলে তারা মনে করছেন। আর আস্থা অর্জন করতে পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তাদের বিশ্বাস।
জনআকাক্সক্ষা পূরণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর আরেক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বারবার একই চেহারা দেখছেন এলাকার মানুষ। অন্যদিকে জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে প্রতিবারই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন নির্বাচিত ওই জনপ্রতিনিধি। তাতে মানুষ বিরক্ত হন। এলাকার ভোটাররা মনে করেন, একজনকে কতবার ভোট দেব? এটি হলো জনআকাক্সক্ষা। এ জায়গায় নতুন মুখ নিয়ে আসা সম্ভব হলে মানুষের মধ্যে নতুন করে আশা জাগবে। রাজনীতিতে সক্রিয় নন, এমন লোকজনও আগ্রহী হবেন। নতুন প্রার্থীকে ভোট দিতে কেন্দ্রে ভোটাররা আসবেন।
এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি বিপাকে পড়েছে বলে মনে করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ফারুক খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘খুব ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়ে যাবে এ বিষয়টি বিএনপির কাছেও পরিষ্কার হয়ে গেছে। নির্বাচন সময়মতো হয়ে যাবে এটা এখন বিএনপিও বিশ্বাস করে। দলটি ভাবছে, আন্দোলন জমছে না, নির্বাচনও ঠেকানো যাবে না। আর সেটাই তাদের বিপাকের কারণ।’
রুবেলা বা জার্মান মিজেলস একটি সংক্রামক রোগ। এটি রুবেলাভাইরাস থেকে হয়ে থাকে। একে জার্মান হাম বা তিন দিনের হামও বলা হয়। এটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে একটি রোগ। করোনা ভাইরাসের মতই আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকেই এই রোগ ছড়ায়। গর্ভাবস্থায় এই রোগ গর্ভস্থ শিশুর নানা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
রুবেলা সাধারণত ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির ড্রপলেটসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় এবং পরবর্তীতে শ্বাসপ্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে আরেকজনকে আক্রান্ত করে। এ ছাড়া গর্ভবতী মা থেকে গর্ভস্থ সন্তানের রুবেলাভাইরাস হতে পারে।
তবে একবার এই রোগটি হয়ে গেলে সাধারণত স্থায়ীভাবে আর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
রুবেলার লক্ষণ বোঝা করা কঠিন, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। কারণ রোগের লক্ষণ প্রকাশের আগে ভাইরাসটি রোগীর দেহে সাত থেকে ২১ দিন পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে।
এই রোগের লক্ষণ এবং উপসর্গ সাধারণত ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দেখা যায় এবং সাধারণত ১ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হয়।
হালকা জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮.৯ C) বা তার কম
মাথাব্যথা
নাকে সর্দি বা বন্ধ নাক।
চোখ লাল হয়ে যাওয়া ও চুলকানি হওয়া।
মাথা ও ঘাড়ের পেছনের গ্রন্থি ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা হওয়া, কানের পিছনের লিম্ফ নড পিণ্ডর মতো ফুলে যাওয়া
লাল বা গোলাপি ফুসকুড়ি যা মুখে শুরু হয় এবং দ্রুত ঘাড়, শরীর, বাহু ও পায়ে ছড়িয়ে পড়ে
জয়েন্টগুলোতে ব্যথা, বিশেষ করে তরুণীদের মধ্যে
হাঁচি-কাশি এবং নাক দিয়ে পানি পড়া
শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা
ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা
রুবেলাভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে। এটি সাধারণত চিকিৎসা ছাড়াই ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
এমনকি গর্ভবতী নারী আক্রান্ত হলে মা বা শিশুর ও কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে গর্ভবতী নারী রুবেলা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলে তাকে ইমিউনোগ্লোবিউলিন দেওয়া যেতে পারে। তাই রুবেলাকে টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা খুব জরুরি।
তবে একবার আক্রান্ত হলে সে সময় যা যা করতে হবে,
১. যেহেতু রোগটি অনেক ছোঁয়াচে তাই আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
২. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং আক্রান্ত হলে কঠোর পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো
৩. সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে
৪. ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’ যুক্ত ফলমূল খেতে হবে বেশি করে।
৫. প্রতিদিন গোসল করাতে হবে, শরীরে জ্বর থাকলে ভেজা কাপড় একটু পর পর শরীর মুছতে হবে।
৬. কোনও ওষুধ খাওয়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
কেউ যদি গর্ভাবস্থায় রুবেলায় আক্রান্ত হন তবে রুবেলা অনাগত শিশুর ক্ষতি করার পাশাপাশি গর্ভপাতের ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া শিশুর জন্মের পরে তার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
হার্টের ত্রুটি
ছানি
বধিরতা
বিলম্বিত শেখা
লিভার এবং প্লীহার ক্ষতি
ডায়াবেটিস
থাইরয়েড সমস্যা
রুবেলার সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা না থাকায় টিকা হলো উত্তম প্রতিষেধক। এই রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল হাম-মাম্পস-রুবেলা (এমএমআর) টিকার দুই ডোজ টিকা প্রয়োগ। সব বয়সেই এই টিকা নেয়া যায়।
টিকার প্রথম ডোজটি সাধারণত শিশুর নয় থেকে ১৫ মাসের মধ্যে দেয়া হয় এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয় শিশুর সাড়ে তিন থেকে ছয় বছর বয়সের মধ্যে। এছাড়া প্রাপ্তবয়স্করা এই টিকা নিতে পারেন। সাধারণত প্রথম ডোজ নেয়ার কমপক্ষে এক মাস থেকে তিন মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়।
কিশোরীদের ১৫ বছর বয়সে টিটি টিকার সঙ্গে এক ডোজ হাম-রুবেলা টিকা দিতে হয়। এ ছাড়া গর্ভধারণে ইচ্ছুক নারীদের রুবেলা অ্যান্টিবডি টেস্ট করে প্রয়োজন হলে ৩ মাস ব্যবধানে ২ ডোজ টিকা দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সন্তান নিতে নিষেধ করা হয়।
১. অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ হাঁচি-কাশি দিলে তার থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে হবে।
২. হাত সবসময় সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।
৩. নাকে, চোখে, মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪. কাশি বা হাঁচি আসলে সে সময় টিস্যু ব্যবহার করতে হবে এবং ব্যবহৃত টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।
৫. যাদের শরীরে ফুসকুড়ি বা র্যাশ জাতীয় আছে তাদের সাথে শারীরিক যোগাযোগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
৬. অতিরিক্ত ভীর বা জনসমাগম এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে।