ক্ষুব্ধ প্রার্থীদের তোপের মুখে ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা ক্ষুব্ধ নিজ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোটের আগের রাতে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি, পুলিশের হয়রানির কারণে একাধিক প্রার্থী কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পারা ও সর্বোপরি হামলার মুখে পড়ার কথা জেনেও তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেননি। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নেতাদের কাছে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক প্রার্থী। এমনটাই জানিয়েছেন দপ্তর সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজের আসনে হারলেও জয় পেয়েছেন বগুড়ায় খালেদা জিয়ার আসনে। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন বিজয়ী হয়েছেন ২,২৪,০৭৮ ভোট পেয়ে। এ আসনে মির্জা ফখরুল পেয়েছেন ১,২৫,৯০৯ ভোট। বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ২,০৬,৯৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ৩৯,৯৬১ ভোট।
বিএনপির নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা এক নেতা নাম প্রকাশ না করে দেশ রূপান্তরকে বলেন, সারা দিন বিএনপির অন্তত ছয়জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এর আগে দপ্তরে ফোন করেছিলেন। তারা মির্জা ফখরুলকে ফোনে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই মির্জা ফখরুলকে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। প্রার্থীরা লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুলের বিষয়ে।
বিএনপি নেতারা জানান, প্রার্থীদের ক্ষোভের মুখে সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরেন মির্জা ফখরুল। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় হয়ে সরাসরি চলে যান বেইলি রোডে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে। ততক্ষণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাতে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না ফ্রন্ট। এরপর মির্জা ফখরুল গণফোরাম ও ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাৎক্ষণিক ড. কামালকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। শুধু তাই নয়, ফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
এ সময় মির্জা ফখরুল নিজে বলেন, নির্বাচন ছিল প্রহসন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিল তা সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়েছে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আজ সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন মির্জা ফখরুল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। আজ বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা ক্ষুব্ধ নিজ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর। বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোটের আগের রাতে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি, পুলিশের হয়রানির কারণে একাধিক প্রার্থী কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে না পারা ও সর্বোপরি হামলার মুখে পড়ার কথা জেনেও তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেননি। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নেতাদের কাছে ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক প্রার্থী। এমনটাই জানিয়েছেন দপ্তর সংশ্লিষ্টরা। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ে তার নিজের আসনে হারলেও জয় পেয়েছেন বগুড়ায় খালেদা জিয়ার আসনে। ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেন বিজয়ী হয়েছেন ২,২৪,০৭৮ ভোট পেয়ে। এ আসনে মির্জা ফখরুল পেয়েছেন ১,২৫,৯০৯ ভোট। বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ২,০৬,৯৮৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর পেয়েছেন ৩৯,৯৬১ ভোট।
বিএনপির নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা এক নেতা নাম প্রকাশ না করে দেশ রূপান্তরকে বলেন, সারা দিন বিএনপির অন্তত ছয়জন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এর আগে দপ্তরে ফোন করেছিলেন। তারা মির্জা ফখরুলকে ফোনে পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই মির্জা ফখরুলকে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। প্রার্থীরা লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুলের বিষয়ে।
বিএনপি নেতারা জানান, প্রার্থীদের ক্ষোভের মুখে সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা ফেরেন মির্জা ফখরুল। গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় হয়ে সরাসরি চলে যান বেইলি রোডে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে। ততক্ষণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল রাতে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না ফ্রন্ট। এরপর মির্জা ফখরুল গণফোরাম ও ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাৎক্ষণিক ড. কামালকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও নতুন নির্বাচনের দাবি জানান। শুধু তাই নয়, ফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
এ সময় মির্জা ফখরুল নিজে বলেন, নির্বাচন ছিল প্রহসন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিল তা সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়েছে। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আজ সোমবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন মির্জা ফখরুল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর ২০ দলীয় জোটের বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। আজ বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে।