নতুন সরকারের ১০০ দিনের পরিকল্পনা চাই
সৈয়দ মনজুরুল
| ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পরপরই ১০০ দিনের একটি কর্মপরিকল্পনা ওই সরকারের নেওয়া উচিত। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ইশতেহার বাস্তবায়ন জরুরি। আমাদের আশা ছিল, নির্বাচনটি উৎসবমুখর হবে। কিন্তু বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন। তাই সেটি উৎসবমুখর হলো না। আর বিএনপির তো অনেক সমর্থক ও ভোটার রয়েছে। তারা কেন নির্বাচনী মাঠে থাকেনি? পোলিং এজেন্ট দেয়নি? তারা বলছে তাদের এজেন্ট সমর্থকদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু না কিছু তো ছিল? তারাই বা কোথায় গেল? এটি আমার কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়। যে দলের এত ভোট সেই দলের ভোটই বা কেন পড়ল না? নির্বাচনকে বিএনপি খুব যে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল সেটিও আমার কাছে মনে হয়নি।
আমাদের দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমাদের প্রতিদিনের চালিকাশক্তি এই মুক্তিযুদ্ধ। যে কারণে জামায়াতকে সবাই বর্জন করতে চেয়েছে ভোটের মাধ্যমে। সর্বোপরি দেশের অগ্রযাত্রাটাও আমাদের প্রয়োজন ছিল। দেশের তরুণ সমাজও এটি হয়তো চেয়েছে। যে কারণে ভোটাররা আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছে। যেখানে বিদ্যুতের মতো একটি বিষয় ২৪ ঘণ্টা পাই, সেখানে অন্য দলকে একজন কেন বেছে নেবে? দেশের যে সম্ভাবনাটুকু, সেটি হয়তো ভোটাররা নষ্ট করতে চায়নি।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার যেন মেনে চলে এটিই আমি চাই। এই ইশতেহার যেন শুধু কথার কথা না হয়। দুর্নীতির বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। সরকার গঠন করে ১শ দিনের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। যাতে মানুষ নতুন সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারে। এছাড়া বিএনপি সংসদে ছোট হলেও তাদের প্রতি যেন কোনো ধরনের প্রতিহিংসামূলক মনোভাব সরকারের না থাকে, সেটিও সরকারের লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলে আমি মনে করি।
শেয়ার করুন
সৈয়দ মনজুরুল
| ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠনের পরপরই ১০০ দিনের একটি কর্মপরিকল্পনা ওই সরকারের নেওয়া উচিত। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ইশতেহার বাস্তবায়ন জরুরি। আমাদের আশা ছিল, নির্বাচনটি উৎসবমুখর হবে। কিন্তু বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন। তাই সেটি উৎসবমুখর হলো না। আর বিএনপির তো অনেক সমর্থক ও ভোটার রয়েছে। তারা কেন নির্বাচনী মাঠে থাকেনি? পোলিং এজেন্ট দেয়নি? তারা বলছে তাদের এজেন্ট সমর্থকদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু না কিছু তো ছিল? তারাই বা কোথায় গেল? এটি আমার কাছে রহস্যজনক বলে মনে হয়। যে দলের এত ভোট সেই দলের ভোটই বা কেন পড়ল না? নির্বাচনকে বিএনপি খুব যে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিল সেটিও আমার কাছে মনে হয়নি।
আমাদের দেশের মানুষ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি সবসময় মাথায় রাখে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমাদের প্রতিদিনের চালিকাশক্তি এই মুক্তিযুদ্ধ। যে কারণে জামায়াতকে সবাই বর্জন করতে চেয়েছে ভোটের মাধ্যমে। সর্বোপরি দেশের অগ্রযাত্রাটাও আমাদের প্রয়োজন ছিল। দেশের তরুণ সমাজও এটি হয়তো চেয়েছে। যে কারণে ভোটাররা আওয়ামী লীগকে বেছে নিয়েছে। যেখানে বিদ্যুতের মতো একটি বিষয় ২৪ ঘণ্টা পাই, সেখানে অন্য দলকে একজন কেন বেছে নেবে? দেশের যে সম্ভাবনাটুকু, সেটি হয়তো ভোটাররা নষ্ট করতে চায়নি।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার যেন মেনে চলে এটিই আমি চাই। এই ইশতেহার যেন শুধু কথার কথা না হয়। দুর্নীতির বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার নীতি গ্রহণ করতে হবে। সরকার গঠন করে ১শ দিনের একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। যাতে মানুষ নতুন সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারে। এছাড়া বিএনপি সংসদে ছোট হলেও তাদের প্রতি যেন কোনো ধরনের প্রতিহিংসামূলক মনোভাব সরকারের না থাকে, সেটিও সরকারের লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে বলে আমি মনে করি।