পুনর্নির্বাচন চেয়ে ইসিতে স্মারকলিপি দেবে ঐক্যফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নির্বাচনকে প্রহসনমূলক অভিযোগ করে পুনর্নির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। গত রবিবার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ৭ আসন পান। এ নির্বাচনের এক দিন পর গতকাল গণফোরাম সভাপতি জানান, নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী দলের সব প্রার্থী ইসিতে স্মারকলিপি দেবেন।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে নাটক সমগ্র দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছেন। একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
ফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে বর্ষীয়ান এ আইনজীবী ও রাজনীতিক বলেন, ‘কথিত এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারকে বিজয়ী দেখালেও প্রকারান্তরে হেরেছে বাংলাদেশ ও তার ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্য দিয়ে কবর রচিত হয়েছে আমাদের বহু আকাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কথিত নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।’
এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নির্বাচনকে প্রহসনমূলক অভিযোগ করে পুনর্নির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। গত রবিবার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পায় ২৮৮টি আসন। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা ৭ আসন পান। এ নির্বাচনের এক দিন পর গতকাল গণফোরাম সভাপতি জানান, নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী দলের সব প্রার্থী ইসিতে স্মারকলিপি দেবেন।
ওই সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে নাটক সমগ্র দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করেছেন। একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
ফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে বর্ষীয়ান এ আইনজীবী ও রাজনীতিক বলেন, ‘কথিত এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারকে বিজয়ী দেখালেও প্রকারান্তরে হেরেছে বাংলাদেশ ও তার ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্য দিয়ে কবর রচিত হয়েছে আমাদের বহু আকাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কথিত নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।’
এর আগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ড. কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।