নয়াপল্টনে ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০
ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দুপুর দেড়টার দিকে চলে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের কাছেই পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতেও কেউ আহত হয়নি। কার্যালয় থেকে চলে যাওয়ার আগে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা জানান, বয়সসীমা শিথিল করা, পুনঃতফসিল ও বহিষ্কৃতদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বয়সসীমা শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বয়সসীমা মেনে নেওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে সকাল ১০টার পর কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেন। এ সময় তারা ঘোষিত তফসিল স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আসেন। এরপর তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অবশ্য বিক্ষুব্ধরা মিছিল নিয়ে আসার আগেই বয়সসীমা মেনে নেওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধরা যখন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগান তখন ভেতরে থাকা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বা বের হতে চাইলে তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা ‘অবৈধ প্রেস রিলিজ মানি না, মানব না’, ‘সিন্ডিকেটের দালালদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, দালালেরা গেল কই’ ইত্যাদি সেøাগান দিতে থাকেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষেও স্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরই এক পর্যায়ে কার্যালয়ের সামনে আসেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তারা কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তাদের আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। তাদের একজন এ সময় মিলনের পাঞ্জাবি ধরেও টান দেন। এরপর ভেতর থেকে বের হওয়া কয়েকজন কর্মীকে মারধরও করেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। তখন কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ সাবেক ছাত্রনেতা ও কয়েকশ কর্মী অবস্থান করছিলেন।
মিলনকে কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী কাউন্সিলে আপনার জুনিয়রদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়। কিন্তু আপনাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদেই রাখা হয়। রিজভীকে দল থেকে বের করে দেন, তাহলে পার্টিতে শান্তি আসবে। পার্টিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
দুপুর ১টার দিকে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা। পরে তাদের পক্ষে ছাত্রদলের ভেঙে দেওয়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি, ২০০০ সালের বয়সসীমা উঠিয়ে দিতে হবে। যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তা বাতিল করে পুনঃতফসিল করতে হবে। বহিষ্কৃতদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি আদায়ে আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) আমরা কর্মসূচির জন্য কার্যালয়ের সামনে আসব। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলকে ভালোবাসি, রাজপথে জীবন-যৌবন সব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করে সুষ্ঠু সমাধান করবেন।’
এরপর সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ইখতিয়ার কবির, এজমল হোসেন পাইলট, মামুন বিল্লাহ, আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, দবিরউদ্দিন তুষার, জহিরউদ্দিন তুহিন ও রাজীব আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর দিকে চলে যান। তখন পেছন দিকে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
গত রবিবার সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিলের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তফসিল অনুযায়ী, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগামী ১৫ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে। এরই মধ্যে গতকাল খসড়া ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের আচরণবিধি ও যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের দুই বছর মেয়াদি কমিটি দেওয়া হয়। গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটি ভেঙে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। এরপর বয়সসীমা উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ জুন, ২০১৯ ০০:০০

ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলের দাবিতে আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা দুপুর দেড়টার দিকে চলে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের কাছেই পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতেও কেউ আহত হয়নি। কার্যালয় থেকে চলে যাওয়ার আগে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা জানান, বয়সসীমা শিথিল করা, পুনঃতফসিল ও বহিষ্কৃতদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, বয়সসীমা শিথিল করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বয়সসীমা মেনে নেওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কাউন্সিলকে স্বাগত জানিয়ে সকাল ১০টার পর কার্যালয়ের সামনে মিছিল করেন। এ সময় তারা ঘোষিত তফসিল স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কার্যালয়ের সামনে আসেন। এরপর তারা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অবশ্য বিক্ষুব্ধরা মিছিল নিয়ে আসার আগেই বয়সসীমা মেনে নেওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধরা যখন কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগান তখন ভেতরে থাকা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বা বের হতে চাইলে তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা ‘অবৈধ প্রেস রিলিজ মানি না, মানব না’, ‘সিন্ডিকেটের দালালদের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ, দালালেরা গেল কই’ ইত্যাদি সেøাগান দিতে থাকেন। তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষেও স্লোগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এরই এক পর্যায়ে কার্যালয়ের সামনে আসেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। তারা কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে তাদের আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। তাদের একজন এ সময় মিলনের পাঞ্জাবি ধরেও টান দেন। এরপর ভেতর থেকে বের হওয়া কয়েকজন কর্মীকে মারধরও করেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। তখন কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ সাবেক ছাত্রনেতা ও কয়েকশ কর্মী অবস্থান করছিলেন।
মিলনকে কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী কাউন্সিলে আপনার জুনিয়রদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়। কিন্তু আপনাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদেই রাখা হয়। রিজভীকে দল থেকে বের করে দেন, তাহলে পার্টিতে শান্তি আসবে। পার্টিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।’
দুপুর ১টার দিকে দিনের কর্মসূচি শেষ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা। পরে তাদের পক্ষে ছাত্রদলের ভেঙে দেওয়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দাবি, ২০০০ সালের বয়সসীমা উঠিয়ে দিতে হবে। যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, তা বাতিল করে পুনঃতফসিল করতে হবে। বহিষ্কৃতদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। দাবি আদায়ে আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) আমরা কর্মসূচির জন্য কার্যালয়ের সামনে আসব। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রদলকে ভালোবাসি, রাজপথে জীবন-যৌবন সব দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলাপ করে সুষ্ঠু সমাধান করবেন।’
এরপর সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ইখতিয়ার কবির, এজমল হোসেন পাইলট, মামুন বিল্লাহ, আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, দবিরউদ্দিন তুষার, জহিরউদ্দিন তুহিন ও রাজীব আহমেদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁর দিকে চলে যান। তখন পেছন দিকে পরপর কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
গত রবিবার সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিলের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তফসিল অনুযায়ী, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগামী ১৫ জুলাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ হবে। এরই মধ্যে গতকাল খসড়া ভোটার তালিকা, প্রার্থীদের আচরণবিধি ও যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের দুই বছর মেয়াদি কমিটি দেওয়া হয়। গত ৩ জুন বিএনপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটি ভেঙে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২০০০ সালের পরের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়। এরপর বয়সসীমা উঠিয়ে দেওয়ার দাবিতে ১০ জুন থেকে বিক্ষোভ করে আসছে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের একাংশ।