মসলার বাজার চড়া
ফিরোজ মিয়াজী | ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০
কোরবানির ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকা মসলার দাম বেড়ে গেছে। দেড় মাস আগে বাজেটে পণ্যের দাম বাড়ায় এক ধাপ বেড়েছিল বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দাম আরেক ধাপ বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজেট উপলক্ষে কিছু মসলার দাম বাড়ছে। তা ছাড়া দেশের বাইরেও দাম বেড়েছে রান্নায় নিত্যব্যবহৃত সামগ্রীটির।
ঈদের মাত্র এক দিন বাকি। এরই মধ্যে অনেকেই কোরবানির পশু কিনেছেন। তারা এখন ভিড় জমিয়েছেন মসলার বাজারে। গতকাল শনিবার তাই মসলার বাজারে ছিল উপচেপড়া ভিড়। এদিন খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজারের মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। সারা বছর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মসলা গুঁড়ার প্যাকেট কিনলেও বছরের এই একটি সময়েই বেশি পরিমাণে খোলা মসলা কিনে থাকেন অনেক ক্রেতা। এ জন্য খোলা মসলার দাম বাড়ল না কমল এ সম্পর্কে তাদের ধারণা কম থাকে। ফলে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে থাকলেও ক্রেতাদের তেমন জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে না।
কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মসলার দামই বেশি। দেড় মাস আগে যে এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মানভেদে ২ হাজার ২০০ ও ২ হাজার ৬০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে এলাচ। ৩৫০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। ২৮০ টাকা কেজির আলুবোখারা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। ৮০০ টাকার কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিতে। আর কাজুবাদাম প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লবঙ্গ ২৮০, গোলমরিচ ৪০০, পেস্তাবাদাম ১ হাজার, জিরা ৪০০, চীনাবাদাম ১২০ ও কিশমিশ ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চকবাজারের মৌলভীবাজার মার্কেটের পাইকারি দোকান থেকে মসলা কিনে আনেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারেই দাম বাড়ছে। আমরা কী করব? পাইকাররা বলে গরম মসলার দাম বেশি। দেশের বাইরেও দাম বাড়ছে।’
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে ওরা অতি মুনাফা লাভের জন্য এ সময় দাম বাড়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন দাম বাড়লে তাদের তো আগের কেনা মসলাই আছে। সেগুলো কেন বেশি দামে বিক্রি করবে?’ সরকারের করণীয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার তো সরাসরি মসলা বিক্রি করে না। তা ছাড়া সব মসলা দেশে উৎপাদনও সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যথাসময়ে উপযুক্ত মসলা আমদানি নিশ্চিত এবং বাজার তদারকি করা।’
শেয়ার করুন
ফিরোজ মিয়াজী | ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০

কোরবানির ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকা মসলার দাম বেড়ে গেছে। দেড় মাস আগে বাজেটে পণ্যের দাম বাড়ায় এক ধাপ বেড়েছিল বিভিন্ন ধরনের মসলার দাম। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দাম আরেক ধাপ বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজেট উপলক্ষে কিছু মসলার দাম বাড়ছে। তা ছাড়া দেশের বাইরেও দাম বেড়েছে রান্নায় নিত্যব্যবহৃত সামগ্রীটির।
ঈদের মাত্র এক দিন বাকি। এরই মধ্যে অনেকেই কোরবানির পশু কিনেছেন। তারা এখন ভিড় জমিয়েছেন মসলার বাজারে। গতকাল শনিবার তাই মসলার বাজারে ছিল উপচেপড়া ভিড়। এদিন খিলগাঁও সিটি করপোরেশন কাঁচাবাজারের মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। সারা বছর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মসলা গুঁড়ার প্যাকেট কিনলেও বছরের এই একটি সময়েই বেশি পরিমাণে খোলা মসলা কিনে থাকেন অনেক ক্রেতা। এ জন্য খোলা মসলার দাম বাড়ল না কমল এ সম্পর্কে তাদের ধারণা কম থাকে। ফলে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে থাকলেও ক্রেতাদের তেমন জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে না।
কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মসলার দামই বেশি। দেড় মাস আগে যে এলাচের কেজি ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা। মানভেদে ২ হাজার ২০০ ও ২ হাজার ৬০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে এলাচ। ৩৫০ টাকার দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। ২৮০ টাকা কেজির আলুবোখারা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। ৮০০ টাকার কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা কেজিতে। আর কাজুবাদাম প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লবঙ্গ ২৮০, গোলমরিচ ৪০০, পেস্তাবাদাম ১ হাজার, জিরা ৪০০, চীনাবাদাম ১২০ ও কিশমিশ ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
চকবাজারের মৌলভীবাজার মার্কেটের পাইকারি দোকান থেকে মসলা কিনে আনেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারেই দাম বাড়ছে। আমরা কী করব? পাইকাররা বলে গরম মসলার দাম বেশি। দেশের বাইরেও দাম বাড়ছে।’
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে ওরা অতি মুনাফা লাভের জন্য এ সময় দাম বাড়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন দাম বাড়লে তাদের তো আগের কেনা মসলাই আছে। সেগুলো কেন বেশি দামে বিক্রি করবে?’ সরকারের করণীয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার তো সরাসরি মসলা বিক্রি করে না। তা ছাড়া সব মসলা দেশে উৎপাদনও সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যথাসময়ে উপযুক্ত মসলা আমদানি নিশ্চিত এবং বাজার তদারকি করা।’