অন্য কেউ দরপত্রে অংশ নিলেই হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
‘বছর দশেক আগে জি কে শামীম পূর্ত ভবনে বিভিন্ন প্রকৌশলীর দপ্তরে যেতেন কাজের জন্য। রিপেয়ারিং (মেরামত) থেকে ৫০ হাজার বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার কাজ করতেন তিনি। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর মহানগর যুবলীগে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। আগে তার রাজনৈতিক পরিচয় ছিল যুবদল নেতার। সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সহযোগী হিসেবে পরিচিত শামীম জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা মহানগরের সহ-সম্পাদক ছিলেন। যুবলীগে যোগ দিয়ে দলের নেতাদের আশীর্বাদে কয়েক বছর চলে তার ঠিকাদারি। যুবলীগে থাকলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার আশীর্বাদ নিয়ে প্রচন্ড দাপুটে হয়ে ওঠেন। সামনে পেছনে গাড়িতে দেহরক্ষী নিয়ে পূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান ‘জি. কে বি’ ছাড়া আর কেউ কাজই পায় না। শামীমের নিজ প্রতিষ্ঠানের নামেই শুধু গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি কাজ রয়েছে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চাইলেও জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার করতে হয়।’ গতকাল শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরে কাজ করা একজন ঠিকাদার। তিনি বলেন, ‘গণপূর্তের বেশকিছু নান্দনিক ভবন করেও আমরা শামীমকে টাকা না দিয়ে কাজ পাই না।’ শামীমের গ্রেপ্তারের পর প্রকৌশলী আর সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ৫-৬ বছর ধরে প্রকৌশলীরা দরপত্রে এমন সব শর্ত জুড়ে দেন, যা শামীমের প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারও থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে শামীমকে সঙ্গে নিয়েই করতে হয়। আর যদিও কারও দরপত্রের যোগ্যতা থাকে, তাকে হুমকি দিয়ে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এক কথায় শামীমের কথা ছাড়া পূর্তের পাতাও নড়ে না।’
গণপূর্তের প্রকৌশলীরা জানান, জি কে শামীম প্রথমে অন্যের ঠিকাদারি ব্যবসা দেখাশোনা করলেও এখন পুরো দপ্তরের কাজকর্ম তিনি ভাগ-বণ্টন করেন। এ কাজটি বাইরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ভবনে প্রবেশ করলে সামনে-পেছনে দুটি গাড়ি থাকে। সেই গাড়িতে ৬-৮ জন দেহরক্ষী থাকে। পূর্ত ভবনে প্রবেশ করলে তিনি শুধু প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে অবস্থান করেন। কাজ শেষে আবার নিজস্ব নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যান। নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গণপূর্তে বিলবোর্ডও লাগিয়ে রেখেছেন তিনি। তিনি যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক।
প্রকৌশলীরা বলেন, এই মুহূর্তে গণপূর্তে শামীমের কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। এরমধ্যে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বহুতল দুটি ভবন নির্মাণের ৬শ’ কোটি টাকা। এ ছাড়া আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণে ৩শ’ ২৫ কোটি, উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণে প্রায় ৪শ’ কোটি, মিন্টো রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্স ১শ’ কোটি আজিমপুর ২০ তলা ভবন নির্মাণে ১৯০ কোটি, আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতাল ভবন নির্মাণে ১১২ কোটি, মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালের জন্য বহুতল ভবন এবং অ্যাজমা হাসপাতালের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজও জি কে শামীম করছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পর্যায়ে কর্মকর্তা বলেন, এ শামীমদের জন্য অনেক সময় ইচ্ছার বাইরে গিয়েও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অন্যায় কাজ করতে হয় প্রকৌশলীদের। যে কাজের জন্য মাঝেমধ্যে চাকরি হারানোসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পেশাদার ঠিকাদাররা যদি কাজ করে সেখানে অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। শামীমদের মতো পেশি শক্তিওয়ালাদের কাজে অনিয়ম হলেও কিছু বলা যায় না। তা মেনে নিয়ে বিলও দিতে হয়।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত বছর আজিমপুরে গণপূর্তের ২০ তলাবিশিষ্ট ১৭টি আবাসিক ভবনের জন্য বিশ্বাস বিল্ডার্স দরপত্রে অংশ নেয়। সেখানে জি. কে শামীম বিশ্বাস বিল্ডার্সের মালিককে ফোন করে দরপত্র জমা না দিতে বলে। কিন্তু বিশ্বাস বিল্ডার্সের পক্ষ থেকে দরপত্র জমার বিষয়ে অনড় অবস্থানে থাকলে শামীম তার লোকজন দিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় থাকা বিশ্বাস বিল্ডার্সের অফিসে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারের কাছ থেকে দরপত্রে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। জি কে শামীম না চাইলে গণপূর্তে কেউ ব্যবসা করতে পারে না।’
গতকাল শুক্রবার গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, জি কে শামীমের গ্রেপ্তারের পর তার প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাজের বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশয়ে পড়েছি। এ কাজ কীভাবে ওঠানো হবে তা-ও বুঝতে পারছি না।
রাজধানী ঢাকার নিকেতন থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক আফসার উদ্দিনের ছেলে এই জি কে শামীম। তার বাবা ওই ইউনিয়নের হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান তিনি। স্কুলশিক্ষক আফসার উদ্দিনের তিন ছেলের মধ্যে শামীম মেঝো। উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরুনোর আগেই সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় চলে যান শামীম। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি সোনারগাঁয়ে আসতেন। হঠাৎ করে শামীমের অর্থনৈতিক উত্থানে স্থানীয়রা আশ্চর্য হলেও এ ব্যাপারে কেউ বিস্তারিত তেমন কিছু জানতেন না। স্থানীয়রা তাকে একজন বড় মাপের ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনতেন।
সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জি কে শামীম সনমান্দি ইউনিয়নে নামে বেনামে কয়েকশ’ বিঘা জমি কিনেছেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

‘বছর দশেক আগে জি কে শামীম পূর্ত ভবনে বিভিন্ন প্রকৌশলীর দপ্তরে যেতেন কাজের জন্য। রিপেয়ারিং (মেরামত) থেকে ৫০ হাজার বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার কাজ করতেন তিনি। আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর মহানগর যুবলীগে সক্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। আগে তার রাজনৈতিক পরিচয় ছিল যুবদল নেতার। সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সহযোগী হিসেবে পরিচিত শামীম জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা মহানগরের সহ-সম্পাদক ছিলেন। যুবলীগে যোগ দিয়ে দলের নেতাদের আশীর্বাদে কয়েক বছর চলে তার ঠিকাদারি। যুবলীগে থাকলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার আশীর্বাদ নিয়ে প্রচন্ড দাপুটে হয়ে ওঠেন। সামনে পেছনে গাড়িতে দেহরক্ষী নিয়ে পূর্ত ভবনে প্রবেশ করেন। অল্প সময়ের মধ্যে জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠান ‘জি. কে বি’ ছাড়া আর কেউ কাজই পায় না। শামীমের নিজ প্রতিষ্ঠানের নামেই শুধু গণপূর্ত অধিদপ্তরের দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি কাজ রয়েছে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ করতে চাইলেও জি কে শামীমের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার করতে হয়।’ গতকাল শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন গণপূর্ত অধিদপ্তরে কাজ করা একজন ঠিকাদার। তিনি বলেন, ‘গণপূর্তের বেশকিছু নান্দনিক ভবন করেও আমরা শামীমকে টাকা না দিয়ে কাজ পাই না।’ শামীমের গ্রেপ্তারের পর প্রকৌশলী আর সাধারণ ঠিকাদারদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ৫-৬ বছর ধরে প্রকৌশলীরা দরপত্রে এমন সব শর্ত জুড়ে দেন, যা শামীমের প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কারও থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে শামীমকে সঙ্গে নিয়েই করতে হয়। আর যদিও কারও দরপত্রের যোগ্যতা থাকে, তাকে হুমকি দিয়ে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এক কথায় শামীমের কথা ছাড়া পূর্তের পাতাও নড়ে না।’
গণপূর্তের প্রকৌশলীরা জানান, জি কে শামীম প্রথমে অন্যের ঠিকাদারি ব্যবসা দেখাশোনা করলেও এখন পুরো দপ্তরের কাজকর্ম তিনি ভাগ-বণ্টন করেন। এ কাজটি বাইরে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। ভবনে প্রবেশ করলে সামনে-পেছনে দুটি গাড়ি থাকে। সেই গাড়িতে ৬-৮ জন দেহরক্ষী থাকে। পূর্ত ভবনে প্রবেশ করলে তিনি শুধু প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে অবস্থান করেন। কাজ শেষে আবার নিজস্ব নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যান। নিজেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গণপূর্তে বিলবোর্ডও লাগিয়ে রেখেছেন তিনি। তিনি যুবলীগের সমবায়বিষয়ক সম্পাদক।
প্রকৌশলীরা বলেন, এই মুহূর্তে গণপূর্তে শামীমের কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। এরমধ্যে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে বহুতল দুটি ভবন নির্মাণের ৬শ’ কোটি টাকা। এ ছাড়া আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণে ৩শ’ ২৫ কোটি, উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণে প্রায় ৪শ’ কোটি, মিন্টো রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্স ১শ’ কোটি আজিমপুর ২০ তলা ভবন নির্মাণে ১৯০ কোটি, আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতাল ভবন নির্মাণে ১১২ কোটি, মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালের জন্য বহুতল ভবন এবং অ্যাজমা হাসপাতালের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজও জি কে শামীম করছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পর্যায়ে কর্মকর্তা বলেন, এ শামীমদের জন্য অনেক সময় ইচ্ছার বাইরে গিয়েও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অন্যায় কাজ করতে হয় প্রকৌশলীদের। যে কাজের জন্য মাঝেমধ্যে চাকরি হারানোসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পেশাদার ঠিকাদাররা যদি কাজ করে সেখানে অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। শামীমদের মতো পেশি শক্তিওয়ালাদের কাজে অনিয়ম হলেও কিছু বলা যায় না। তা মেনে নিয়ে বিলও দিতে হয়।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একজন কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত বছর আজিমপুরে গণপূর্তের ২০ তলাবিশিষ্ট ১৭টি আবাসিক ভবনের জন্য বিশ্বাস বিল্ডার্স দরপত্রে অংশ নেয়। সেখানে জি. কে শামীম বিশ্বাস বিল্ডার্সের মালিককে ফোন করে দরপত্র জমা না দিতে বলে। কিন্তু বিশ্বাস বিল্ডার্সের পক্ষ থেকে দরপত্র জমার বিষয়ে অনড় অবস্থানে থাকলে শামীম তার লোকজন দিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় থাকা বিশ্বাস বিল্ডার্সের অফিসে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারের কাছ থেকে দরপত্রে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। জি কে শামীম না চাইলে গণপূর্তে কেউ ব্যবসা করতে পারে না।’
গতকাল শুক্রবার গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, জি কে শামীমের গ্রেপ্তারের পর তার প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাজের বিষয়টি নিয়ে আমরা সংশয়ে পড়েছি। এ কাজ কীভাবে ওঠানো হবে তা-ও বুঝতে পারছি না।
রাজধানী ঢাকার নিকেতন থেকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া ওরফে জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক আফসার উদ্দিনের ছেলে এই জি কে শামীম। তার বাবা ওই ইউনিয়নের হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে মারা যান তিনি। স্কুলশিক্ষক আফসার উদ্দিনের তিন ছেলের মধ্যে শামীম মেঝো। উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরুনোর আগেই সোনারগাঁ থেকে ঢাকায় চলে যান শামীম। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি সোনারগাঁয়ে আসতেন। হঠাৎ করে শামীমের অর্থনৈতিক উত্থানে স্থানীয়রা আশ্চর্য হলেও এ ব্যাপারে কেউ বিস্তারিত তেমন কিছু জানতেন না। স্থানীয়রা তাকে একজন বড় মাপের ব্যবসায়ী হিসেবেই চিনতেন।
সনমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জি কে শামীম সনমান্দি ইউনিয়নে নামে বেনামে কয়েকশ’ বিঘা জমি কিনেছেন।