বগুড়া সেনানিবাসে জেনারেল আজিজ
রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণে সম্পৃক্ততা পেলে কঠোর ব্যবস্থা
বগুড়া প্রতিনিধি | ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরীকে ধর্ষণে কোনো সেনাসদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সেনাসদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তরা চাকরিচ্যুত তো হবেই, তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। বাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনা-টহলই ছিল না, অন্যান্য বাহিনীর টহলদলও ছিল। কিন্তু আমরা অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালতও গঠন করা হয়েছে। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ ঠেকাতে ও নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।’
এর আগে সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান। পরে তিনি বলেন, সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা দেশের যেকোনো দুর্যোগময় সময়ে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সমর সম্রাটখ্যাত সাঁজোয়া কোরের আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার অত্যাধুনিক যুদ্ধযান ট্যাঙ্ক এমবিটি-২০০০ ও রিকোভারি যান সংযোজন করেছে। দেশ ও দেশের বাইরের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার ও স্কুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও আর্মার্ড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তারা অংশ নেন।
শেয়ার করুন
বগুড়া প্রতিনিধি | ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরীকে ধর্ষণে কোনো সেনাসদস্যের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া সেনানিবাসে ষষ্ঠ সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সেনাসদস্যদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিললে অভিযুক্তরা চাকরিচ্যুত তো হবেই, তাদের সিভিল কারাগারেও পাঠানো হবে। বাহিনী বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে অস্বচ্ছতার কোনো সুযোগ নেই। ধর্ষণের ঘটনাস্থলে শুধু সেনা-টহলই ছিল না, অন্যান্য বাহিনীর টহলদলও ছিল। কিন্তু আমরা অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে টহলরত সেনাসদস্যদের ক্লোজড করেছি। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে তদন্ত আদালতও গঠন করা হয়েছে। যদি কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ ঠেকাতে ও নিরাপত্তা বিধানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে জেনারেল আজিজ বলেন, ‘শিগগিরই সাতটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ শুরু করবে সেনাবাহিনী।’
এর আগে সাঁজোয়া কোরের পুনর্মিলনী প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন সেনাপ্রধান। পরে তিনি বলেন, সাঁজোয়া কোরের সদস্যরা দেশের যেকোনো দুর্যোগময় সময়ে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। সমর সম্রাটখ্যাত সাঁজোয়া কোরের আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার অত্যাধুনিক যুদ্ধযান ট্যাঙ্ক এমবিটি-২০০০ ও রিকোভারি যান সংযোজন করেছে। দেশ ও দেশের বাইরের যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার ও স্কুলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তারা ছাড়াও আর্মার্ড কোরের অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিরত কর্মকর্তারা অংশ নেন।