পরীক্ষায় জালিয়াতি
এমপি বুবলীকে ‘বহিষ্কার’ জেলা আ. লীগের
নরসিংদী প্রতিনিধি | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়ায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত দলীয় বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্র ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করতে পারে না।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু (বীর প্রতীক) বলেন, তামান্না নুসরাত বুবলী বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দেশ ও বিদেশে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এতে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।
পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ ও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সংসদ সদস্যের বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এমপি বুবলী ২০১১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরসিংদী পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, বুবলী এইচএসসি পাস। তবে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নিতে তিনি বাউবির বিএ কোর্সে ভর্তি হন। বুবলী ঢাকায় থাকলেও তার হয়ে অন্যদের বিএ পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে গণমাধ্যমের খবরে। এ ঘটনায় বুবলীকে সব পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কোনো চিঠি পাইনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আমাকে সাংগঠনিকভাবে শোকজ করা হবে। আমি তার জবাব দেব। তার ভিত্তিতে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। তারা কীভাবে একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। তারা পক্ষপাতিত্ব করে আমাকে বাদ দিতে পারেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরুর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-২ আসনের সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দীলিপ, নরসিংদী-৩ আসনের সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়া, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নরসিংদী প্রতিনিধি | ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়ায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বাগানবাড়িতে অনুষ্ঠিত দলীয় বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্র ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করতে পারে না।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু (বীর প্রতীক) বলেন, তামান্না নুসরাত বুবলী বিএ পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দেশ ও বিদেশে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এতে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের সুনাম চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে আমাদের জানানো হয়েছে।
পরীক্ষায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ ও দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সংসদ সদস্যের বিষয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এমপি বুবলী ২০১১ সালে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরসিংদী পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেনের স্ত্রী। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, বুবলী এইচএসসি পাস। তবে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়িয়ে নিতে তিনি বাউবির বিএ কোর্সে ভর্তি হন। বুবলী ঢাকায় থাকলেও তার হয়ে অন্যদের বিএ পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি উঠে আসে গণমাধ্যমের খবরে। এ ঘটনায় বুবলীকে সব পরীক্ষা ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নরসিংদীর সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগ থেকে কোনো চিঠি পাইনি। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আমাকে সাংগঠনিকভাবে শোকজ করা হবে। আমি তার জবাব দেব। তার ভিত্তিতে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেবে। তারা কীভাবে একক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। তারা পক্ষপাতিত্ব করে আমাকে বাদ দিতে পারেনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরুর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-২ আসনের সাংসদ ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দীলিপ, নরসিংদী-৩ আসনের সাংসদ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভূঁইয়া, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক প্রমুখ।