লকডাউন উত্তম পন্থা : হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার-নার্সসহ সরাসরি সম্পৃক্তদের কেন জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে যারা মৃত্যুবরণ করবেন তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদার ঘোষণাসহ তাদের পরিবারকে কেন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও সম্ভাব্য মৃত্যু ঠেকাতে ‘লকডাউন’ একটি উত্তমপন্থা বলে মনে করে হাইকোর্ট।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য সারা দেশে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে হাইকোর্ট রুলসহ এ অভিমত দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রতিকার চাকমা জানান, করোনা মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে বলেছে হাইকোর্ট। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যেসব নির্দেশনা দেবেন সেগুলো সবাইকে পালনের পরামর্শ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘লকডাউন’ একটি উত্তমপন্থা বলে মনে করে হাইকোর্ট। আদালতের বরাতে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে তাইওয়ান, হংকংসহ পৃথিবীর বেশকিছু দেশ করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এখন এ মডেলটি অনুসরণ করতে হবে। যেহেতু এখনো করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই এ পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউনই উত্তমপন্থা হতে পারে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ মার্চ, ২০২০ ০০:০০

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডাক্তার-নার্সসহ সরাসরি সম্পৃক্তদের কেন জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে যারা মৃত্যুবরণ করবেন তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদার ঘোষণাসহ তাদের পরিবারকে কেন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে না রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। দেশে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ও সম্ভাব্য মৃত্যু ঠেকাতে ‘লকডাউন’ একটি উত্তমপন্থা বলে মনে করে হাইকোর্ট।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য সারা দেশে ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানিতে হাইকোর্ট রুলসহ এ অভিমত দেয়। আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রতিকার চাকমা জানান, করোনা মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে বলেছে হাইকোর্ট। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যেসব নির্দেশনা দেবেন সেগুলো সবাইকে পালনের পরামর্শ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘লকডাউন’ একটি উত্তমপন্থা বলে মনে করে হাইকোর্ট। আদালতের বরাতে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে তাইওয়ান, হংকংসহ পৃথিবীর বেশকিছু দেশ করোনা পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। এখন এ মডেলটি অনুসরণ করতে হবে। যেহেতু এখনো করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি তাই এ পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউনই উত্তমপন্থা হতে পারে।’