মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়াল
রূপান্তর ডেস্ক | ২৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২৩ হাজার ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ জন। এদের মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ জন। জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়ালেও সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ইউরোপের। ইতালি, স্পেন বা ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও পর্তুগালে। বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আগের দিনের একই সময় থেকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৯ হাজার। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার। গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আক্রান্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্র্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইউরোপে। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত অঞ্চলটির দেশ স্পেনে মৃত্যু বাড়ছেই। দেশটিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সব মিলে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯ জনে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮৮ জনে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে স্পেনে চলমান নজিরবিহীন লকডাউন ১২ দিনে পড়েছে। তারপরও চক্রবৃদ্ধি হারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইতালি মৃত্যু সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করে ভাইরাসটি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তা দেখাচ্ছে। ইতালির আক্রান্তের সংখ্যা সম্ভবত সরকারি হিসাবের ১০ গুণ বেশি বলে দেশটির তথ্য সংগ্রাহক সংস্থার প্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯ জন, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ১৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন।
ফ্রান্স কভিড-১৯ এ মৃত্যুর দিক দিয়ে পঞ্চম দেশ হিসেবে এক হাজারের কোটা পার করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩৩ জন, মৃতের সংখ্যা ১৩৩১ জন।
জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২২৯ জন।
যুক্তরাজ্যের নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৪৯ জন, মৃতের সংখ্যা ৪৭৭ জন। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ১১ হাজার ৫৭৫, মৃত্যু ১৭২ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৩১, মৃত্যু ৪৩৪ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৬ হাজার ২৩৩ জন, মৃত্যু ২২০ জন।
চীনে গতকাল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আরও হ্রাস পেয়েছে, বিদেশ প্রত্যাগতদের মধ্যে আক্রান্ত কমেছে এবং স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
এ পর্যন্ত চীনে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৬৬১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৭০ জন।
এশিয়ার অন্যতম প্রাদুর্ভাব আক্রান্ত দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪০০, মৃত্যু হয়েছে ২২৩৪ জনের।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত ৯ হাজার ২৪১ জন, মৃত্যু ১৩১ জনের। জাপানে আক্রান্ত ১ হাজার ৩০৭, মৃত্যু ৪৫ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৩, মৃতের সংখ্যা ৭৮ জন। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৬ ও মৃতের সংখ্যা ৯ জন। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত মোট ২০৩১ জন, মৃত্যু ২৩ জন। সৌদি আরবে আক্রান্ত ১০১২ জন মারা গেছেন ৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্র নভেল করোনাভাইরাস মহামারী ছড়ানোর নতুন বিশ্বকেন্দ্র হতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে। দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৯০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৭ জনের। কানাডায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৪০৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত ২ হাজার ৫৮৯ জন। দেশটিতে মারা গেছে ৬১ জন। ওই অঞ্চলের আরেক দেশ ইকুয়েডরে আক্রান্ত ১০৮২ জন, মৃতের সংখ্যা ২৭ জন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৭ মার্চ, ২০২০ ০০:০০

বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ২৩ হাজার ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ জন। এদের মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ জন। জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ভাইরাসটি ছড়ালেও সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ইউরোপের। ইতালি, স্পেন বা ফ্রান্সে মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও পর্তুগালে। বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। আগের দিনের একই সময় থেকে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৯ হাজার। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭০ হাজার। গতকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ২৪৫ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আক্রান্ত দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্র্তৃপক্ষের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইউরোপে। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত অঞ্চলটির দেশ স্পেনে মৃত্যু বাড়ছেই। দেশটিতে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ সব মিলে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯ জনে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮৮ জনে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে স্পেনে চলমান নজিরবিহীন লকডাউন ১২ দিনে পড়েছে। তারপরও চক্রবৃদ্ধি হারে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইতালি মৃত্যু সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করে ভাইরাসটি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে তা দেখাচ্ছে। ইতালির আক্রান্তের সংখ্যা সম্ভবত সরকারি হিসাবের ১০ গুণ বেশি বলে দেশটির তথ্য সংগ্রাহক সংস্থার প্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৩৯ জন, মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ১৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৬১ জন।
ফ্রান্স কভিড-১৯ এ মৃত্যুর দিক দিয়ে পঞ্চম দেশ হিসেবে এক হাজারের কোটা পার করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশটির আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ২৩৩ জন, মৃতের সংখ্যা ১৩৩১ জন।
জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ২২৯ জন।
যুক্তরাজ্যের নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৮৪৯ জন, মৃতের সংখ্যা ৪৭৭ জন। এছাড়া ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ১১ হাজার ৫৭৫, মৃত্যু ১৭২ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৩১, মৃত্যু ৪৩৪ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৬ হাজার ২৩৩ জন, মৃত্যু ২২০ জন।
চীনে গতকাল নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আরও হ্রাস পেয়েছে, বিদেশ প্রত্যাগতদের মধ্যে আক্রান্ত কমেছে এবং স্থানীয়ভাবে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
এ পর্যন্ত চীনে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৬৬১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৫ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৭০ জন।
এশিয়ার অন্যতম প্রাদুর্ভাব আক্রান্ত দেশ ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪০০, মৃত্যু হয়েছে ২২৩৪ জনের।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত ৯ হাজার ২৪১ জন, মৃত্যু ১৩১ জনের। জাপানে আক্রান্ত ১ হাজার ৩০৭, মৃত্যু ৪৫ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯৩, মৃতের সংখ্যা ৭৮ জন। পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১৬ ও মৃতের সংখ্যা ৯ জন। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত মোট ২০৩১ জন, মৃত্যু ২৩ জন। সৌদি আরবে আক্রান্ত ১০১২ জন মারা গেছেন ৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্র নভেল করোনাভাইরাস মহামারী ছড়ানোর নতুন বিশ্বকেন্দ্র হতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে। দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ৯০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৭ জনের। কানাডায় আক্রান্ত ৩ হাজার ৪০৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে আক্রান্ত ২ হাজার ৫৮৯ জন। দেশটিতে মারা গেছে ৬১ জন। ওই অঞ্চলের আরেক দেশ ইকুয়েডরে আক্রান্ত ১০৮২ জন, মৃতের সংখ্যা ২৭ জন।