‘করোনা’ ধাক্কায় পূর্তের অর্ধশত প্রকল্প বন্ধ
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে সরকারের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গণপূর্তেও। সংস্থাটির অর্ধশত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত শ্রমিক ও নির্মাণ উপকরণের জোগান না পেয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে এসব কাজ বন্ধ হয়েছে। এতে নির্ধারিত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে না। আবার উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট সংশোধনের জন্যও তৈরি হতে পারে জটিলতা। তবে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন এবং স্থাপনাগুলোতে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের কাজ চলছে। এসব কাজ করতে গিয়ে এরই মধ্যে গণপূর্তের দুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরও অন্তত ১৫ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই মুহূর্তে উন্নয়নকাজ চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যেসব শ্রমিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তারা এখন আসছেন না। এমনও হয়েছে কোনোভাবে শ্রমিক ম্যানেজ করে আনা গেলও নির্মাণ উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এ পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বড় বড় কাজ এখন বন্ধ আছে। বাজেটও সংশোধন হচ্ছে। মনে হচ্ছে করোনা ধাক্কার কারণে কিছু কাজ পিছিয়ে যাবে। তবে আমাদের অন্যান্য দরপত্রের কাজ আমরা অনলাইনের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালীন গণপূর্তের লোকজন ঢাকাসহ সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের দুজন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। আরও কমপক্ষে ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে সরকারের চলমান উন্নয়নকাজ কীভাবে শেষ করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪৩৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্প, ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে মুসলিম ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্প, ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, গণপূর্ত নগর বিভাগের (সিটি ডিভিশন) অধীনে চেয়ারম্যানের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প, গণপূর্ত নগর বিভাগের অধীনে স্যুট ও ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম হিলট্র্যাক কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, র্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, নগর বিভাগের অধীনে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সচিবালয়ে ২০তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সিলেট গণপূর্ত বিভাগে জেলা হাসপাতাল প্রকল্প, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সচিবালয়ে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগে ২০তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মিরপুরে ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
গণপূর্তের প্রকৌশলীরা জানান, বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকলেও কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন ছাড়াও এসব স্থাপনাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজটিও নিয়মিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা মেডিকেলসহ ১৮টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ ৪৭টি হাসপাতালে ৯৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-২) মো. খালেদ হোসেন বলেন, ‘বার কাউন্সিল ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্কসহ আমাদের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। মাঠপর্যায় থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীরা কাজ বন্ধের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে অবগত করে চিঠিও দিয়েছেন।’
গণপূর্তের আজিমপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ বলেন, ‘আজিমপুরে গণপূর্তের সরকারি আবাসনের জন্য ২০টি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ৯টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুই মাস ধরে এই কাজগুলো প্রায় বন্ধ আছে। তবে আমাদের কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করতে পারব। কারণ অনেক কাজ আমরা আগে এগিয়ে রেখেছিলাম।’
এ প্রসঙ্গে গণপূর্তের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী দেশ রূপান্তরকে বলেন, গণপূর্তের চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ আছে। গত ২৫ মার্চ থেকে এই প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ২০তলা ভবনের পাইলিং করা হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের কাজও বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকল্পগুলোর কাজের সঙ্গে করোনা সম্পর্কিত কিছু হাসপাতালের কাজও করছিলাম। এ সময় গণপূর্ত ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর ঠিকাদার কাজ থেকে তাদের শ্রমিক উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।’
শেয়ার করুন
তোফাজ্জল হোসেন রুবেল | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে সরকারের নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গণপূর্তেও। সংস্থাটির অর্ধশত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূলত শ্রমিক ও নির্মাণ উপকরণের জোগান না পেয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে এসব কাজ বন্ধ হয়েছে। এতে নির্ধারিত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে না। আবার উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট সংশোধনের জন্যও তৈরি হতে পারে জটিলতা। তবে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন এবং স্থাপনাগুলোতে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের কাজ চলছে। এসব কাজ করতে গিয়ে এরই মধ্যে গণপূর্তের দুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আরও অন্তত ১৫ জন আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, এই মুহূর্তে উন্নয়নকাজ চলমান রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যেসব শ্রমিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তারা এখন আসছেন না। এমনও হয়েছে কোনোভাবে শ্রমিক ম্যানেজ করে আনা গেলও নির্মাণ উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে এ পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বড় বড় কাজ এখন বন্ধ আছে। বাজেটও সংশোধন হচ্ছে। মনে হচ্ছে করোনা ধাক্কার কারণে কিছু কাজ পিছিয়ে যাবে। তবে আমাদের অন্যান্য দরপত্রের কাজ আমরা অনলাইনের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাকালীন গণপূর্তের লোকজন ঢাকাসহ সারা দেশে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের দুজন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। আরও কমপক্ষে ১৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর মধ্যে সরকারের চলমান উন্নয়নকাজ কীভাবে শেষ করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৪৩৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে র্যাব সদর দপ্তর নির্মাণ প্রকল্প, ১৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামে মুসলিম ইনস্টিটিউট নির্মাণ প্রকল্প, ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় নির্মাণ প্রকল্প, গণপূর্ত নগর বিভাগের (সিটি ডিভিশন) অধীনে চেয়ারম্যানের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প, গণপূর্ত নগর বিভাগের অধীনে স্যুট ও ডরমিটরি নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম হিলট্র্যাক কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, র্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, নগর বিভাগের অধীনে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সচিবালয়ে ২০তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সিলেট গণপূর্ত বিভাগে জেলা হাসপাতাল প্রকল্প, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প, আজিমপুরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ২০তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, সচিবালয়ে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগে ২০তলা ভবন নির্মাণ প্রকল্প, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মিরপুরে ২৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
গণপূর্তের প্রকৌশলীরা জানান, বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকলেও কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ, আইসোলেশন ইউনিট, কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, করোনা ইউনিট স্থাপন ছাড়াও এসব স্থাপনাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণসহ জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজটিও নিয়মিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, খুলনা মেডিকেলসহ ১৮টি হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ জেলা হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ ৪৭টি হাসপাতালে ৯৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ঢাকা ডিভিশন-২) মো. খালেদ হোসেন বলেন, ‘বার কাউন্সিল ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্কসহ আমাদের বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ আছে। মাঠপর্যায় থেকে নির্বাহী প্রকৌশলীরা কাজ বন্ধের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে অবগত করে চিঠিও দিয়েছেন।’
গণপূর্তের আজিমপুর ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ বলেন, ‘আজিমপুরে গণপূর্তের সরকারি আবাসনের জন্য ২০টি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ৯টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দুই মাস ধরে এই কাজগুলো প্রায় বন্ধ আছে। তবে আমাদের কাজগুলো যথাসময়ে শেষ করতে পারব। কারণ অনেক কাজ আমরা আগে এগিয়ে রেখেছিলাম।’
এ প্রসঙ্গে গণপূর্তের চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী দেশ রূপান্তরকে বলেন, গণপূর্তের চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বন্ধ আছে। গত ২৫ মার্চ থেকে এই প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ২০তলা ভবনের পাইলিং করা হয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে ফ্ল্যাট নির্মাণকাজ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের কাজও বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রকল্পগুলোর কাজের সঙ্গে করোনা সম্পর্কিত কিছু হাসপাতালের কাজও করছিলাম। এ সময় গণপূর্ত ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর ঠিকাদার কাজ থেকে তাদের শ্রমিক উঠিয়ে নিয়ে গেছেন।’